আজ শনিবার | ২৭শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১১ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |১১ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৪:৩৮
নজরুল ইসলাম মানিক, সাভার ও আশুলিয়া (ঢাকা) প্রতিনিধি : আশুলিয়া ডিইপিজেড সংলগ্ন বিজনেজ ট্রেড সেন্টার নামক ভবনের ৭ তলা ফ্লোরে এস এম এম ফ্যাশন কারখানায় কয়েকজন শ্রমিক নেতা বহিরাগত শ্রমিক নিয়ে অনাধিকার প্রবেশ চরমভাবে বিশৃংখলা সৃষ্টি করে টাকা দাবী করে এবং কারখানা ও ব্যবসা বন্ধ করে দেয়ার হুমকী দেয় এই রিপোর্ট পত্রিকায় প্রকাশ করায় ফ্যাসবুকে সাংবাদিককে হুমকী দিয়েছে শ্রমিক নেতা ইমন সিকদার। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করার প্রস্তুতি চলছে।
সম্প্রতি আশুলিয়া ডিইপিজেড সংলগ্ন বিজনেজ ট্রেড সেন্টার নামক ভবনের ৭ তলা ফ্লোরে এস এম এম ফ্যাশন কারখানায় কয়েকজন শ্রমিক নেতা বহিরাগত শ্রমিক নিয়ে অনাধিকার প্রবেশ চরমভাবে বিশৃংখলা সৃষ্টি করে টাকা দাবী করায় কারখানা কর্তৃপক্ষ আশুলিয়া থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেছে। কারখানা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আশুলিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরী ও ওই কারখানার এক শ্রমিককে মারধরের প্রমান এবং মাহবুবা নীটওয়্যারের এমডি খাইরুল ইসলামের বক্তব্য অনুযায়ী দৈনিক দিনকাল পত্রিকা ও বাংলাদেশ দিনকাল অনলাইন পত্রিকায় সত্য তথ্য গুলো প্রকাশ করা হয়। এ ঘটনায় শ্রমিক নেতা ইমন শিকদার শনিবার দুপুর আনুমানিক ২ টা থেকে আড়াইটার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম লাইভে এসে নিজের দোষকে আড়াল করতে দৈনিক দিনকাল পত্রিকা ও বাংলাদেশ দিনকাল অনলাইন পত্রিকায় রিপোর্টার নজরুল ইসলাম মানিককে নিয়ে অবাঞ্চিত কথা বলে এবং মাহবুবা নীটওয়্যারের কর্তৃপক্ষের সাথে জড়িয়ে দেয় সেই সাথে মামলা, হামলাসহ বিভিন্ন হুমকী ধামকী দিয়ে বলেন আপনি তাদের পাশে দাড়াবেননা। এ বিষয়টি নিয়ে আশুলিয়া প্রেসক্লাবের কয়েকজ সিনিয়র নেতৃৃবৃন্ধ ও সাংবাদিকের সাথে আলোচনা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
উল্লেখ থাকে, ১৯ আগষ্ট বুধবার দুপুরে ওই কারখানার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন এবং ডিইপিজেড সংলগ্ন বিজনেজ ট্রেড সেন্টার নামক ভবনের ৭ তলা ফ্লোরে মূল ফটকের সামনে গিয়ে চরমভাবে বিশৃংখলা সৃষ্টি করে খারখানা বন্ধ করে দেয়ার হুমকী দেয়। একপর্যায়ে বাহির থেকে কেচি গেটে তালা লাগানোর সময় ওই কারখানার সুইং হেলপার আরিফের উপর হামলা করে এবং দাতের কামড়ে তার বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম করে। তার কয়েকদিন পুর্বে লখাইরুল ইসলাম মালিকানা মাহবুবা নিটওয়্যার নামক কারখানায় পাওনাদী বকেয়া বেতনের দাবী নিয়ে কয়েক শ্রমিক আশুলিয়া শ্রমিক নেতা সারোয়ার ও ইমনসহ কয়েকজন বহিরাগত শ্রমিকরা ভেতরে আশুলিয়া নেতা সারোয়ার ও ইমনসহ কয়েকজন বহিরাগত শ্রমিকদের সহযোগিতা নিয়ে এস এম এম ফ্যাশন কারখানায় অনাধিকার প্রবেশ করে মাহবুবা নিটওয়্যার নামক কারখানার পেডে পুর্বের মালিক থেকে পাওনাদি পরিশোধের জোর পুর্বক লিখিত স্বাক্ষর নেন এস এম এম ফ্যাশনের পরিচালক মুক্তার হোসেনের নিকট থেকে।
সম্প্রতি কোরবানী ঈদের কয়েকদিন পুর্বে এস এম এম ফ্যাশন কারখানা হওয়ার আগে খাইরুল ইসলাম মালিকানা মাহবুবা নিটওয়্যার নামক কারখান ছিলো। সেসময় ওই কারখানায় শ্রমিক ফেডারেশনের কয়েক জন শ্রমিক চাকুরী নেয়। তারা বিভিন্ন সময় কারখানার ভেতরে কাজ না করে সময় নষ্ট করতো এবং অন্যান্য শ্রমিকদের নিয়ে বিশৃংখা সৃষ্টি করে। এতে কোম্পানির সিপমেন্ট সময় মতো না দেওয়ায় কর্তৃপক্ষ অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে শ্রমিকদের বেতন দিতে অপারগতা স্বীকার করে। এ ঘটনায় ওই শ্রমিকরা আশুলিয়া শ্রমিকলীগ নেতা সারোয়ার ও ইমনকে নিয়ে কারখানার সামনে বিক্ষোভ করে। ওই শ্রমিক নেতারা খাইরুল ইসলামকে শ্রমিকদের তোপের মুখে ফেলে জিম্মি করে আড়াই লক্ষ টাকা দাবী করেন সবাই মিলে ঈদ করার জন্য। । এ বিষয়ে খাইরুল ইসলাম বলেন, শ্রমিক নেতা সারোয়ার ও ইমন সিকদারের দাবী অনুযায়ী ব্যক্তিগত ভাবে ঈদ করার জন্য ৩০ হাজার টাকা নেন। তিনি আরোও বলেন তাদের পার্সোনাল মোবাইল বিকাশেও টাকা প্রদান করেছে যার প্রমান কললিষ্ট উঠিয়ে আইনের নিকট সোপর্দ করবেন। পরে ঈদ পার হওয়ার পর কারখানাটি দেওলিয়া হয়ে পড়ায় এস এম এম ফ্যাশন নামক কোম্পানির নিকট বুঝিয়ে দেন। গত ২৫ আগষ্ট সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাইপাইল খান হোটেলে ৪ নম্বর টেবিলে বসে মুক্তার, ইকবাল , আনোয়ার, মামুনসহ ৮/১০ জন গন্যমান্য ব্যক্তি সামনে শ্রমিকলীগ নেতা সারোয়ার ও ইমন সিকদারকে ১লক্ষ ৭০ হাজার টাকা শ্রমিকদের পাওনাদী বুঝিয়ে দেন। এসময় খাইরুল ইসলাম শ্রমিকদের পাওনাদি প্রমানসহ বুঝিয়ে দেয়ার ব্যাপারে প্রশ্ন তুললে শ্রমিক নেতা ইমন বলেন শ্রমিকরা টাকার জন্য আপনাদের নিকট আবেদন করেনি । তারা আমাদের অর্গানাইজেশনে আবেদন করেছে সেইহেতু আমরাই বুঝবো কিভাবে তাদের ম্যানেজ করতে হবে। আপনাদের আর কোন চিন্তা ও ভয়ের কিছু নেই । বেশ কিছুদিন পরে ওই শ্রমিকরা ওই কারখানার সামনে গিয়ে বকেয়া বেতন দাবী করলে কারখানা কর্তৃপক্ষ বলেন তোমাদের পাওনাদি তোমাদের নেতাদের নিকট আছে। বারবার শ্রমিক ও শ্রমিক নেতারা এস এম এম ফ্যাশন কারখানায় গিয়ে ঝামেলা করেন। এ ব্যাপারে মাহবুবা নীটওয়্যারের এমডি খাইরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ওই শ্রমিক নেতাদের টাকার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে শ্রমিক নেতারা বলেন আবারোও নতুন করে সব পাওনাদি দিতে হবে। অন্যথায় কিভাবে ব্যবসা করেন এবং কারখানা পরিচালনা করেন আমরা দেখবো । শ্রমিক নেতারা শ্রমিকদের পাওনাদি বুঝে নেয়ার পর অস্বীকার করায় আবারোও অভিযোগ করেছি বর্থমানে মামলা প্রক্রিয়াধিন রয়েছে।
Dhaka, Bangladesh শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:23 AM |
Sunrise | 6:43 AM |
Zuhr | 12:06 PM |
Asr | 3:09 PM |
Magrib | 5:29 PM |
Isha | 6:49 PM |