আজ বৃহস্পতিবার | ২রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৬ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |১৬ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | দুপুর ১:৪২
বিডি দিনকাল ডেস্ক:- ইউক্রেনে যেভাবে সফলতা আশা করেছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, তিনি ততটা সফল হননি। তার এই সফলতায় ঘাটতির ফলে যৌক্তিকভাবে হতাশা দেখা দিয়েছে। হয়তো, সে কারণেই তিনি পারমাণবিক অস্ত্র সতর্ক অবস্থায় রেখেছেন। এতে প্রশ্ন উঠেছে, তার পারমাণবিক হুমকি কতটা যৌক্তিক বা বাস্তবসম্মত? ওদিকে তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এক মন্তব্যের জবাবে বলেছেন, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হলে তা হবে পারমাণবিক যুদ্ধ। এসব নিয়ে অনলাইন আল জাজিরায় একটি প্রতিবেদন লিখেছেন থমাস ও ফক।
তিনি আরও লিখেছেন, এই যুদ্ধে উস্কানি দেয়ার সময় থেকেই অধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হয়ে উঠেছে- রাশিয়ার হাতে কি পরিমাণ পারমাণবিক অস্ত্র আছে? এসব অস্ত্র কি পুতিনের জন্য বাস্তবসম্মত কোনো অপশন? ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটির মেরশোন সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি স্টাডিজের সহযোগী প্রফেসর ডাকোতো এস রুদেসিল বলেন, নিজের পারমাণবিক অস্ত্রগুলো এইভাবে ব্যবহার করতে পারেন পুতিন। কারণ, এসব অস্ত্র তার কাছে আছে। এসব অস্ত্র রহস্যময় এবং অতি মাত্রায় ভয়ঙ্কর। উপরন্তু এখন পর্যন্ত ইউক্রেনে রাশিয়া যে প্রতিরোধের মুখোমুখি হয়েছে, তাতে এমন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা আছে।
তিনি আরও বলেন, পুতিন এই সময়ে এসব অস্ত্রের ব্যবহার করতে চাইছেন। কারণ, তিনি যেভাবে চেয়েছিলেন, তা সম্ভবত সফলতার সঙ্গে অগ্রসর হয়নি। তিনি এই খেলা পাল্টে দিতে চান এবং গতি অর্জন করতে চান। তিনি চান তার শত্রুদের ভারসাম্যহীন এবং ভীত করে দিতে। তিনি তাদেরকে বিস্মিত করে দিতে চান যে, তিনি কত ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন।
ইউনিভার্সিটি অব ওয়াটারলু’র রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী প্রফেসর আলেক্সান্দার ল্যানোসজকা বলেন, যেকেউ যুক্তি দেখাতে পারেন যে, পুতিনের পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের কৌশল ভুল ঘোষণা হয়েছে। দৃশ্যত, এটা অতি তাড়াতাড়ি একটি অপরিহার্য কৌশল ব্যবহার করা হয়েছে। পুতিনের জন্য এটা সমস্যাবহুল হতে পারে। কারণ, ভবিষ্যত হুমকি সম্পর্কে বিশ্বাস রাখা যায় না। তার এ ঘোষণায় দৃশ্যত যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো বা ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন অতোটা বিচলিত নয়। কারণ যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও বৃটিশদের পারমাণবিক অপারেশনে কোনো পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়নি।
কি পরিমাণ পারমাণবিক অস্ত্র আছে কার কাছে
আল জাজিরার হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বের মধ্যে ২০২২ সাল নাগাদ নয়টি দেশের কাছে প্রায় ১২,৭০০ পারমাণবিক অস্ত্র আছে। এর মধ্যে সারাবিশ্বের কাছে যে পরিমাণ পারমাণবিক অস্ত্র আছে, তার শতকরা ৯৩ ভাগ আছে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের হাতে। রাশিয়ার হাতে আছে ৫৯৭৭টি পারমাণবিক অস্ত্র। যুক্তরাষ্ট্রের হাতে আছে ৫৪২৮টি, চীনের কাছে ৩৫০টি, ফ্রান্সের কাছে ২৯০টি, বৃটেনের কাছে ২২৫টি, পাকিস্তানের কাছে ১৬৫টি, ভারতের কাছে ১৬০টি, ইসরাইলের কাছে ৯০টি এবং উত্তর কোরিয়ার কাছে ২০টি। রাশিয়ার কাছে পারমাণবিক অস্ত্র ছাড়াও আছে বিপুল পরিমাণ ব্যাপক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র। তা যুদ্ধাস্ত্র বহনে সক্ষম। আছে আধুনিক ক্রুজ এবং স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এবং হাইপারসনিক অস্ত্র।
আলেক্সান্দার ল্যানোসজকা বলেন, রাশিয়ার কাছে সব মিলে পারমাণবিক অস্ত্রসহ মোট পারমাণবিক সংক্রান্ত ১৪,০০০ অস্ত্রের বিশাল মজুদ আছে। এই বিপুল পরিমাণ অস্ত্রের বেশির ভাগই তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবহার উপযোগী নয়। বাস্তবতা হলো, রাশিয়ার কাছে কমপক্ষে ২৪০০ কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র আছে। এর মধ্যে বেশির ভাগই আন্তঃমহাদেশীয় ব্যাপক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র বিষয়ক শক্তি। তাদের হাতে আছে অনুমেয় ১৬০০ কৌশলগত মোতায়েনযোগ্য পারমাণবিক অস্ত্র। এর বেশির ভাগই সমুদ্র থেকে ব্যবহার উপযোগী। বাকিগুলো আকাশ ও স্থলভাবে ব্যবহারের জন্য। এসব অস্ত্র জমা থাকার ফলে বিশ্বে সবচেয়ে বড় পারমাণবিক শক্তিধর দেশ রাশিয়া। তাদের আছে সবচেয়ে বেশি এসব অস্ত্রের মজুদ। এরপরেই আছে যুক্তরাষ্ট্র। এই দুটি দেশ মিলে বিশ্বের মোট পারমাণবিক অস্ত্রের শতকরা প্রায় ৯৩ ভাগের অধিকারী। যুক্তরাষ্ট্রের মজুদে আছে ৩৭৫০টি সক্রিয় এবং সক্রিয় নয় এমন পারমাণবিক ওয়ারহেড। এর মধ্যে ১৫০টি আছে ইউরোপের বিভিন্ন স্থানে। বৃটেনের আছে সমুদ্রভিত্তিক পারমাণবিক অস্ত্র। তাদের মোট ২২৫টি পারমাণবিক ওয়ারহেড আছে। এর মধ্যে প্রায় অর্ধেকই তাদের চারটি সাবমেরিনে অপারেশনের জন্য রাখা হয়েছে। আর ফ্রান্সের কাছে আছে প্রায় ৩০০ পারমাণবিক অস্ত্র।সূএ-আল জাজিরা
Dhaka, Bangladesh বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:23 AM |
Sunrise | 6:43 AM |
Zuhr | 12:08 PM |
Asr | 3:13 PM |
Magrib | 5:34 PM |
Isha | 6:53 PM |