আজ শুক্রবার | ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২৫শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৩:৪৭
বিডি দিনকাল ডেস্ক :- পাসপোর্ট ক্লিয়ারেন্সে মান্ধাতা পদ্ধতি অনুসরণ করায় ভোগান্তিতে পড়ছেন গ্রাহকরা। এতে পাসপোর্ট অফিসে ডেলিভারি জট বাড়ছে। ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দ্রুত পাসপোর্ট ডেলিভারি দেয়ার জন্য পুলিশের বিশেষ শাখাকে অনলাইনে ক্লিয়ারেন্স দেয়ার জন্য বারবার বলা হলেও তারা সেই মান্ধাতার আমলের মতো নথিতেই ক্লিয়ারেন্স দিয়ে থাকেন। এতে দিনদিন অধিদপ্তরে পাসপোর্ট জট বাড়ছেই। অনেক আবেদনকারী ঠিক সময় পাচ্ছেন না তাদের কাঙ্ক্ষিত পাসপোর্ট। এছাড়াও যদি কোনো আবেদনকারীর মামলা কেন্দ্রিক বা আইনগত জটিলতা হয় তাহলে তার জন্য পুলিশি ক্লিয়ারেন্স পাওয়া সোনার হরিণ হয়ে দাঁড়ায়। এক্ষেত্রে আবেদনকারীকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। দেশের প্রত্যেক পাসপোর্ট অফিসে অনলাইন ক্লিয়ারেন্সের জন্য আলাদা মেশিন রয়েছে।
কিন্তু সেখানে কোনো বার্তা পাঠানো হয় না। পাসপোর্ট অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, অনলাইনে পুলিশি ক্লিয়ারেন্সের বার্তা পাঠানো হলে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের জট কমে যাবে। গতি আসবে অধিদপ্তরে। ভোগান্তির শিকার হবেন না আবেদনকারীরা।
এ বিষয়ে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ূব চৌধুরী এনডিসি জানান, পুলিশি ক্লিয়ারেন্স দেরিতে আসার কারণে পাসপোর্ট ডেলিভারি দেরিতে হয়। ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের প্রত্যেক বিভাগীয় ও জোনাল অফিসে অনলাইন ই-বার্তা প্রেরণের মেশিন আছে। কিন্তু পুলিশ আগের মতোই নথিতে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পাঠায়।
ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দেশে বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিস রয়েছে ৭টি। আর রয়েছে ৬২টি আঞ্চলিক অফিস। এছাড়াও দেশের বাইরে ৬৫টি দূতাবাস ও মিশনের মাধ্যমে পাসপোর্টের সেবা দেয়া হয়ে থাকে। বিদেশ থেকেও কেউ পাসপোর্টের আবেদন করলে পুলিশি ক্লিয়ারেন্স লাগে। আবেদনকারীর ক্লিয়ারেন্স তখন পুলিশের পক্ষ থেকে অধিদপ্তরে ডাকযোগে পাঠানো হয়ে থাকে।
সূত্র জানায়, ২০২০ সালের ৩১শে আগস্ট পর্যন্ত ২,৮১,৯৬,৫৯৪টি মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) ও ১৪,৯৮,৩১৩টি মেশিন রিডেবল ভিসা (এমআরভি) সেবা দিয়েছে পাসপোর্ট অধিদপ্তর। এ সেবা আরও বেশি হতো। কিন্তু প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের থাবা পড়ে পাসপোর্ট কার্যক্রমে। এতে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের গতি কমে যায়। প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার আবেদন আটকা পড়ে। তবে গত জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে এই জট কমতে শুরু করেছে।
পাসপোর্ট অধিদপ্তরের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, পাসপোর্ট জটের অন্যতম কারণ পুলিশি ক্লিয়ারেন্স। অফিসে সব ধরনের কাজ সম্পন্ন হয়ে গেলেও শুধু মাত্র পুলিশি ক্লিয়ারেন্সে কারণে আবেদনকারী পাসপোর্ট অধিদপ্তরে আটকা থাকে। অনেক আবেদনকারী অফিসে এসে হতাশ হয়ে ঘুরে যান। পুলিশি ক্লিয়ারেন্স হয়েছে কি হয়নি তারও বার্তা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বা সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের মাধ্যমে জানানো হয় না। এজন্য আবেদনকারী পাসপোর্ট অফিসে বারবার ঘুরতে থাকেন। শুধুমাত্র আবেদনকারীর পাসপোর্ট সব কিছুর বিষয় সম্পন্ন হলে তাকে মোবাইল ফোন বা ই-মেইলে ক্ষুদে বার্তা দিয়ে বিষয়টি জানানো হয়। কিন্তু আবেদনকারী আগের লম্বা সময় পুলিশি ক্লিয়ারেন্সের কারণে অসহ্য ভোগান্তির মধ্যে পড়েন।
সূত্র জানায়, পাসপোর্ট পেতে হলে আবেদনকারীর অবশ্যই পুলিশি ক্লিয়ারেন্স লাগবে। এতেই তখন ভোগান্তি শুরু হয়। পাসপোর্ট অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে আবেদনকারী সঠিক ঠিকানা ও আইনগত তার জটিলতা আছে কি-না তা ডাকযোগে খামে সংশ্লিষ্ট থানায় পাঠানো হয়। যে তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয় সেই তদন্তকারী কর্মকর্তা কখন সেই ক্লিয়ারেন্স দিবেন তার সঠিক দিন ও মাস দেয়া থাকে না। ক্লিয়ারেন্স সম্পন্ন হওয়ার পর তিনি আবার ডাকযোগে পাসপোর্ট অফিসে পাঠান। এতে লম্বা সময় চলে যায়।সূত্র জানায়, প্রত্যেক পাসপোর্ট অফিসে রয়েছে ক্লিয়ারেন্সের জন্য আলাদা মেশিন। সেখান থেকে পুলিশের ক্ষুদে বার্তা পাঠালেই দ্রুত ক্লিয়ারেন্সের কাজ সম্পন্ন হয়ে যায়। কিন্তু প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার করা হচ্ছে না।
সূত্র জানায়, এই দেরিতে পুলিশি ক্লিয়ারেন্সের কারণে পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা এক প্রকার দায়সারা ভাব নিয়ে কাজ করে থাকেন। অনেকেই ভেবে থাকেন পাসপোর্টের ক্লিয়ারেন্স দেরিতে আসবে তখন সেটি ডেলিভারি দেয়া হবে। এতে কাজের গতি থমকে আছে আগের মতো। সূত্র জানায়, অনলাইনের ক্লিয়ারেন্সের আপডেটের বিষয়টি দ্রুত করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর। তারা আশা করছেন দ্রুত এই ভোগান্তির অবসান হবে।সূত্র :মানবজমিন
Dhaka, Bangladesh বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:18 AM |
Sunrise | 6:39 AM |
Zuhr | 11:59 AM |
Asr | 2:59 PM |
Magrib | 5:20 PM |
Isha | 6:40 PM |