বিডি দিনকাল ডেস্ক:- গত ২৯ মার্চ ২০২২ তারিখ, মঙ্গলবার, রাত ৭.০০ টায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি এর জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান। সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য যথাক্রমেÑ
১. ব্যরিষ্টার জমির উদ্দিন সরকার
২. মির্জা আব্বাস
৩. বাবু গয়েশ^র চন্দ্র রায়
৪. ড. আব্দুল মঈন খান
৫. মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
৬. আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী
৭. বেগম সেলিমা রহমান
সভায় আলোচ্য বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা শেষে নি¤েœ বর্ণিত সিদ্ধান্ত সমূহ গৃহীত হয়।
১। সভায় বিগত ২১ মার্চ ২০২২ অনুষ্ঠিত জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ পঠিত ও অনুমোদিত হয়।
২। সভায়, গত ২৭ মার্চ ২০২২ পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচী অনুযায়ী মহসচিব, ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ মুক্তিযোদ্ধা নেতৃবৃন্দ ও চট্টগ্রামের নেতা-কর্মীদের চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে গিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনে পুলিশের বাধার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। সভা মনে করে, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের পূর্ব ঘোষিত এই কর্ম সূচীতে বাধা দিয়ে পুলিশ মুক্তিযুদ্ধের অসম্মান করেছে এবং সংবিধানে সম্মত মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করেছে।
৩। সভায়, অতি সম্প্রতি লন্ডনের এক সভায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রদত্ত বক্তব্যে সুস্পষ্ট ভাবে রাজনৈতিক দিক নির্দেশনা ব্যক্ত করা হয়েছে। নির্বাচনকালীন সময়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের পরে আন্দোলনে অংশ গ্রহনকারী সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে জাতীয় সরকার গঠন ও বিদ্যমান রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সংকট নিরসনের উদ্যোগের বক্তব্যে জনগণের মধ্যে আশার আলো সঞ্চারিত হয়েছে এবং একটি স্পষ্ট দিক নির্দেশনা পাওয়া গেছে, বিধায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে ধন্যবাদ জানানো হয়।
৪। সভায়, সম্প্রতি বিচার বর্হিভূত হত্যা ও গুমের অপরাধে অভিযুক্ত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্ত পুলিশের আইজিপি ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার এর উদ্ধত্যপূর্ণ উক্তি, অপেশাদারী আচরণ, হুমকি ও অব্যাহত মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। এই ধরনের মন্তব্য শুধু শিষ্টাচার বিবর্জিতই নয় তা রাষ্ট্রের জন্য এবং গণতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত বিপদ জনক। অবিলম্বে এই ধরনের বক্তব্যের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবার আহ্বান জানানো হয়।
৫। সভায়, সরকার কতৃক হঠাৎ করে ১৭ হাজার ২৮২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার মাসিক ভাতা বন্ধে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সভা মনে করে একদিকে যখন দ্রব্যমূল্য অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে তখন এই ধরনের পদক্ষেপ সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের চরম আর্থিক সংকটের মধ্যে ফেলবে। অন্যদিকে শত বার্ষিকী পালনের অজুহাতে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে ভারতীয় শিল্পিকে নিয়ে কনর্সাটে প্রধানমন্ত্রীর অংশ গ্রহণ দেশবাসীকে হতাশ করেছে।
৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বিমানের ঢাকা-টরেন্টো পরীক্ষামূলক ফ্লাইটে কর্মকর্তাদের প্রমোদ ভ্রমণ অন্যদিকে টিসিবির ট্রাকের পেছনে অভাবী মানুষের দীর্ঘ লাইন, আওয়ামী স্বচ্ছল পরিবারদের ন্যয্য মূল্যে পণ্য ক্রয়ের কার্ড বিতরণ জনগণের সঙ্গে চরম প্রতারণা ছাড়া কিছু নেই। যেহেতু এই অনির্বাচিত সরকারের কোনও দায় বদ্ধতা নেই সেইহেতু জনগণের দুর্ভোগ ও দুঃখ কষ্ট লাঘবের কোনও উদ্যোগও এই সরকারের নেই বলে সভা মনে করে।
৬। সভা শেষে সভাপতি সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মহাসচিব
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি