আজ বৃহস্পতিবার | ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ১১:০৬
বিডি দিনকাল ডেস্ক:- কম্পিউটারের মাধ্যমে পাসপোর্টের ঠিকানা পরিবর্তন ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরের ভুয়া প্রত্যয়নপত্র সংযুক্ত করে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স জালিয়াতি চেষ্টা করার অভিযোগে মোঃ মাসুদ মিয়া, মোঃ কামাল হোসেন ও গোলাম কিবরিয়া নামে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর পল্টন মডেল থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (৩১ মে ২০২২) বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে রাজধানীর ফার্মগেট, খিলক্ষেত ও কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে পল্টন মডেল থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতদের অপরাধ প্রক্রিয়া ও গ্রেফতার সম্পর্কে আজ বুধবার (১ জুন ২০২২) দুপুরে পল্টন মডেল থানায় সাংবাদিকদের সামনে বিস্তারিত জানান মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ আঃ আহাদ, বিপিএম, পিপিএম (বার)।
উপ-পুলিশ কমিশনার বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি জনবান্ধব নাগরিক সেবা হলো পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সেবা। সম্মানিত নাগরিকদের বিদেশ গমনের ক্ষেত্রে সেবাটি প্রয়োজন হয়ে থাকে। অনলাইনের মাধ্যমে নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করে ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে সেবাটি অত্যন্ত সরল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পাদিত হয়। নাগরিক এ সেবাটি ডিএমপি অত্যন্ত সুনাম এবং স্বচ্ছতার সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রদান করছে।
তাদের গ্রেফতার সম্পর্কে তিনি বলেন, গত ২০ এপ্রিল ২০২২ মোঃ মাসুদ মিয়া নাম জনৈক ব্যক্তি পুলিশ কমিশনার বরাবর অনলাইনে একটি পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য আবেদন করেন। যা যাচাই বাছাইকালে আবেদনে প্রদত্ত ঠিকানা ভুয়া পরিলক্ষিত হয়। তখন আবেদনে সংযুক্ত ওয়ার্ড কাউন্সিলের প্রত্যয়নপত্রটি যাচাই করে প্রত্যয়নপত্রটির স্বাক্ষর ও প্রত্যয়নপত্রটি সঠিক নয় মর্মে ওয়ার্ড কাউন্সিলর জানান। যার প্রেক্ষিতে বুধবার বিকালে ফার্মগেট থেকে আবেদনকারী মোঃ মাসুদ মিয়াকে এবং তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে খিলক্ষেত থেকে কামাল হোসেন ও কেরানীগঞ্জ থেকে মোঃ গোলাম কিবরিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত মাসুদ মিয়ার বিদেশ যাওয়ার প্রয়োজনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের জন্য ৩০ হাজার টাকায় কামাল হোসেনের সাথে চুক্তি করে। কারণ তার নামে নরসিংদীর মাধবদী থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। কামাল হোসেন আবার ২৮ হাজার টাকায় গোলাম কিবরিয়ার সাথে চুক্তি করে।
গ্রেফতারকৃতদের অপরাধের প্রক্রিয়া সম্পর্কে পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, গ্রেফতারকৃতরাসহ অজ্ঞাতনামারা পরস্পর যোগসাজশে মূল পাসপোর্টের তথ্য পাতা স্ক্যান করে। এরপর কম্পিউটারের মাধ্যমে জরুরী যোগাযোগের ঠিকানা পরিবর্তন করে। পরবর্তী সময়ে পল্টন মডেল থানা এলাকার ঠিকানা ব্যবহার করে এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের ভুয়া প্রত্যয়নপত্র সংযুক্ত করে। এডিটকৃত পাসপোর্টের ফটোকপিতে সত্যায়নকারী ডাক্তারের জাল সীল মোহর ও জাল স্বাক্ষর সত্যায়ন করে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য অনলাইনে আবেদন করে। গ্রেফতারকৃত ও পলাতকদের বিরুদ্ধে পল্টন মডেল থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, গ্রেফতারকৃতরা একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক এবং জালিয়াতি চক্র। কিছুদিন আগেও পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য ছয়টি ভুয়া আবেদন পল্টন থানা থেকে প্রত্যাখাত (রিজেক্ট) হয়।
সম্মানিত মহানগরবাসীর জ্ঞাতার্থে তিনি বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মহোদয়ের নির্দেশে ডিএমপির প্রতিটি বিভাগ স্বচ্ছতার সাথে অত্যন্ত দ্রুত ও স্বল্প সময়ে সম্মানিত নাগরিকদের এ সেবাটি দীর্ঘদিন যাবৎ অব্যাহত রেখেছে। পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য ব্যাংকে ৫০০ টাকা জমা দেওয়া ছাড়া অন্য কোন অর্থ প্রদান করতে হয়না। ডিএমপি এ ধরনের যে কোন প্রতারণা এবং জালিয়াতির বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
Dhaka, Bangladesh বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:18 AM |
Sunrise | 6:39 AM |
Zuhr | 11:59 AM |
Asr | 2:59 PM |
Magrib | 5:20 PM |
Isha | 6:40 PM |