আজ বৃহস্পতিবার | ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | সন্ধ্যা ৭:৪১
মেহেরপুর থেকে জাহিদ মাহমুদঃ অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন দোদুল যাকে বলা হয় মেহেরপুর মুজিবনগরের স্বপ্নদ্রষ্টা ও আধুনিক মেহেরপুরের জনক যিনি স্বপ্ন দেখেন অত্যাধুনিক মেহেরপুর বিশেষ করে স্বাধীনতার সূতিকাগার মুজিবনগর গড়ার। সেই স্বপ্নসারথীর হাত ধরে পূরণ হয়েছে নাগা মাঠের চাষিদের দেখা স্বপ্ন। বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের ছোট্ট একটি জেলা মেহেরপুর তিনটি উপজেলা নিয়ে গঠিত মেহেরপুর জেলা তার মধ্যে বাংলাদেশের অস্থায়ী বা প্রথম রাজধানী খ্যাত মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত মুজিবনগর একটি ঐতিহাসিক উপজেলা। মেহেরপুর জেলায় ২ টি সংসদীয় আসন তার মধ্যে মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর নিয়ে মেহেরপুর ১ আসন। এই আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন। মেহেরপুরে মুজিবনগর উপজেলা কৃষি নির্ভর এলাকা উপজেলার সবথেকে বড় ফসলের মাঠ নাগার মাঠ যে মাঠকে ঘিরে চলে মুজিবনগর উপজেলা ও মেহেরপুর সদর উপজেলার ২০/৩০ টি গ্রামের মানুষের চাষআবাদ ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন কিন্তু প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে পুরো মাঠটি তলিয়ে যায় পানির নিচে হারিয়ে যায় প্রায় অর্ধ লক্ষ কৃষকের স্বপ্ন। বড় নাগার মাঠ থেকে গৌরিনগর গ্রামের ভিতর দিয়ে ভৈরব নদীতে পানি নিস্কাসনের জন্য একটি খাল থাকলেও কালের পরিক্রমায় সেটি ভরাট ও দখল হয়ে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় মাঠের পানি নিস্কাসন।
মেহেরপুর ১ আসনের এমপি ও জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন কৃষকদের হারিয়ে যাওয়া স্বপ্নকে ফিরিয়ে আনতে এবং মুজিবনগর তথা মেহেরপুরের কৃষি খাতের উন্নয়নকল্পে নাগাবিলের খাল পুন:খননের উদ্যোগ গ্রহন করেন। তারই প্রচেষ্টায় গত ৩ এপ্রিল মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসক ডা: মোহাম্মদ মুনসুর আলম খানের সভাপত্বিতে নাগাবিলের খাল পুন:খনন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভার্রচুয়ালী প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্হিত থেকে খাল পুন:খননের উদ্বোধন ঘোষনা করেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন,পরে প্রতিমন্ত্রীর পক্ষে ফলক উন্মোচন করা হয় এবং খাল খনন শুরু করা হয়। বিলের পানি নিস্কাসনের জন্য বড়নাগা হতে ভৈরব নদী পর্যন্ত প্রায় ৪২ লক্ষ টাকা ব্যায়ে ৪ কিলোমিটার খালের পুন:খননের উদ্বোধন করা হয় এবং ৯০ দিনের মধ্যে খালটির পুন:খননের কাজ সমাপ্ত হয়।
নাগা মাঠের চাষী উপজেলার গৌরিনগর গ্রামের ৫৫ বছরের ইমদাদুল হক বলেন, নাগার মাঠে আমার ৭ বিঘা জমি আছে আমি দীর্ঘদিন ধরে চাষ আবাদ করে আসছি বরো মৌসুমে এ মাঠে ধান ভাল হয় কিন্তু আমন মৌসুমে ধান রোপনের করি কিন্তু জোর বর্ষা হলে ধানের জমি পানির নিচে তলিয়ে যায় তাছাড়া এই মাঠে দুটি ফসল ছাড়া আর কোন ফসল চাষ করা যায়না। প্রতি বছর আমাদের অনেক ক্ষতি হয়।আমরা সপ্ন দেখতাম নাগামাঠে বিভিন্ন ফসলের চাষ করব আমরা আমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে সুখে থাকব। এ বছর পানি নিষ্কাসনের খাল খননের ফলে আমরা আবার সপ্ন দেখতে শুরু করেছি সোনালী ধানের । আমাদের এ সপ্ন সত্যি করেছেন আমাদের চোখের মনি আমাদের মন্ত্রী দোদুল ভাই।
নাগামাঠের আরেক চাষি উপজেলার গোপাল নগর গ্রামের ৫৫ বছরের আব্দুর রশিদ যিনি নিজের ৫ বিঘা সহ ২ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে চাষ করে প্রতি বছর ডুবে যাওয়ার কারনে অনেক ক্ষতি হয় তার মাঠের পানি নিষ্কাসনের খাল খননের ফলে এবার তিনি আশায় বুক বেধেছেন অনেক ধান ঘরে তুলবেন সু দিন ফিরে আসবে তার তিনি ধন্যবান ও কৃতগ্নতা জানিয়েছেন মাননীয় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন কে। মুজিবনগর উপজেলা কৃষি অফিসার আনিছুজ্জামান খান জানান উপজেলার নাজিরাকোনা গ্রাম হতে বিদ্যাধরপুর পর্যন্ত ১২৮৫ হেক্টর আবাদি জমি আছে নাগামাঠে এই পরিমান জমির অধিকাংশ প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে পানির তলে ডুবে যাওয়ার কারনে ফসল খুব বেশি হয় না। নাগার মাঠের পানি নিষ্কাসনের খাল খননের ফলে এখন প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে নাগামাঠে অতিরিক্ত প্রায় ৫ হাজার ৭০০ মেট্রিকটন ধান উৎপন্ন হবে বলে আশা করছে উপজেলা কৃষি অফিস।
Dhaka, Bangladesh বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:18 AM |
Sunrise | 6:39 AM |
Zuhr | 11:59 AM |
Asr | 2:59 PM |
Magrib | 5:20 PM |
Isha | 6:40 PM |