- প্রচ্ছদ
-
- অপরাধ
- ফুলবাড়ীতে ৭ম শ্রেণীর ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষন, থানায় মামলা
ফুলবাড়ীতে ৭ম শ্রেণীর ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষন, থানায় মামলা
প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ৫:৫৮ অপরাহ্ণ
রফিকুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি #কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে । পুলিশ ভিকটিম স্কুল ছাত্রীকে রবিবার রাতে উদ্ধার করে সোমরার বিকালে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
মামলা সুত্রে জানা যায়, উপজেলার বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ার ছড়ার সমন্বয়টারী গ্রামের হোসেন স্ত্রী সহ ঢাকার ইট ভাটায় কাজ করেন। তার মেয়ে একই এলাকার সমন্বয় পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীতে পড়ে। পিতামাতা বাড়ীতে না থাকায় মেয়েটি পাশ্ববর্তী তালুকদার পাড়া গ্রামে তার নানা আবুবক্কর সিদ্দিকের বাড়ীতে থাকেন। গত শুক্রবার ০৯ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় মেয়েটি বাইসাইকেল যোগে ঔষধ কেনার জন্য পাশ্ববর্তী টনকার মোড় বাজারে যান। ঔষধ কিনে বাড়ী ফেরার সময় একাকি পেয়ে দাসিয়ার ছড়া রাসমেলা গ্রামের আলম মিয়ার ছেলে সোহাগ (১৮), একই গ্রামের রফিকুল ইসলাম অপুর ছেলে ময়নুল ইসলাম (২২) ও মজিদুল ইসলামের ছেলে মিজানুর রহমান (২৩) মেয়েটির মুখ চেপে ধরে রাসমেলা নদীর পাড়ে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষন করে। কিছুক্ষন পর ওই পথ দিয়ে চলাচলকারী পথচারীরা রাস্তার ধারে বাইসাইকেল পড়ে থাকতে দেখে এদিক সেদিক খোঁজাখুঁজি করলে নদীর ধারে ওই তিনজনকে দেখতে পায়। লোকজনের চিৎকারে ধর্ষকরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। এসময় স্থানীয়রা ধাওয়া করে তাদের সনাক্ত করে। পরে মেয়েটিকে অসুস্থ্য অবস্থায় উদ্ধার করে তার নানীর বাড়ীতে পৌছে দেয়।
এ ঘটনার পর আপোষ মিমাংসার জন্য স্থানীয় মাতব্বররা রবিবার সারাদিন ওই পরিবারের উপর চাপ প্রয়োগ করে ব্যর্থ হয়। সোমবার সকালে ঢাকা থেকে বাড়ীতে ফেরেন মোশারফ হোসেন। পরে তিনি বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামী করে সোমবার ১২ ফেব্রুয়ারী বিকালে ফুলবাড়ী থানায় ধর্ষন মামলা দায়ের করেন।
মেয়েটির মা ফেরদৌসী বেগম বলেন, তিন নরপশু মিলে আমার মেয়েটার সর্বনাশ করেছে। আমি ধর্ষকদের উপযুক্ত শাস্তি চাই।
ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য তাকে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
Please follow and like us:
20 20