এম, এ কাশেম, ফেনী থেকে ফিরে : জেলা শহর ফেনীতে বিএনপির পূর্বঘোষিত শান্তিপূর্ন পদযাত্রা কর্মসূচিতে সরকারি দলের ক্যাডাররা হামলা চালিয়ে বিএনপির শতাধিক নেতা-কর্মীকে আহত করেছে বলে দলটির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে ক’জন সাংবাদিক ও রয়েছেন বলে ফেনীতে কর্মরত: বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিকরা জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ফেনী শহরের ট্রাংক রোড ও ইসলামপুর রোডে দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে মোহনা টিভি ও স্থানীয় গণমাধ্যম দৈনিক ফেনীর নিজস্ব প্রতিবেদক তোফায়েল আহমেদ নিলয় ও মুস্তাফিজ মুরাদ সহ আরো কয়েকজন সংবাদকর্মী আহত হন বলে জানা গেছে।
ফেনীর পুলিশ সুপার জাকির হাসান সংবাদ মাধ্যম কে জানান, একই দিনে বিএনপি-আওয়ামী লীগের কর্মসূচিকে ঘিরে সকাল থেকে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচির শেষের দিকে দলীয় নেতা-কর্মীরা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ নিরাপত্তার স্বার্থে ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় পুলিশের অনেক সদস্য ও আহত হয়েছেন। তবে, এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে ও দাবি করেন তিনি।
ফেনী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলা উদ্দিন আলাল জানান, শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা নিয়ে শহরের দাউদপুর থেকে ইসলামপুর রোডে যাওয়ার সময় হঠাৎ সরকারি দলের ক্যাডাররা আমাদের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় নেতা-কর্মীরা ক্ষেপে গেলে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এতে দলের শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন বিএনপি নেতা আলাল। এদিকে সংঘর্ষ ঘটনার পর বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে শহরে উন্নয়ন ও শান্তি শোভাযাত্রা বের করে আওয়ামী লীগ। এ সময় ও শহরের বিভিন্ন এলাকার মানুষ ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। অনেক মার্কেট, দোকান-পাট, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন অফিস বন্ধ রাখতে দেখা যায়।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আহত বিএনপির অনেক নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। আপাতত: ফেনীতে শান্ত অবস্থা বিরাজ করলে ও ফের যে কোনো মুহুর্তে আবার সংঘর্ষ ঘটনার সূত্রপাত: হতে পারে বলে ও আশংকা করছেন অনেকেই।