আজ শুক্রবার | ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২৫শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ২:৪৫
ফের ভারত সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ২১শে জুন পূর্ণদ্বিপক্ষীয় সফরে দিল্লি যাবেন তিনি। ওই দিনেই দেশটির পুনঃনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। সফরকালে দেশটির প্রেসিডেন্ট ধ্রুপদি মূর্মর সঙ্গেও সরকারপ্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ হতে পারে। এদিকে প্রধানমন্ত্রী বেইজিং সফরও চূড়ান্ত হয়েছে। আগামী ৮ই জুলাই সরকারপ্রধান দ্বিপক্ষীয় সফরে চীন যাবেন। ফিরবেন ১০ই জুলাই। সফরকালে দেশটির প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ছাড়াও প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং এবং স্পিকারের সঙ্গে তার বৈঠক হতে পারে। সরকারের দায়িত্বশীল সূত্র মানবজমিনকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। জানিয়েছেন, ২১ ও ২২শে জুন সরকারপ্রধানের ভারত সফরের প্রস্তাবনা আসে দিল্লি থেকে।
সে মতেই প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে এনিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় এবং প্রস্তাবিত তারিখেই সফর বাস্তবায়নের নির্দেশনা পায় সেগুনবাগিচা। একটি সূত্র জানায়, ২৩শে জুন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। বর্ণাঢ্য আয়োজনে দিনটি পালিত হওয়ায় দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই দিন দেশেই থাকবেন। সে মতে, ২৩শে জুনের কর্মসূচি বিবেচনায় ২২শে জুন সন্ধ্যার মধ্যে দিল্লি সফর শেষ করতে চান তিনি। তবে তার সফর সূচির অনেক কিছুই এখনো ঠিক হয়নি জানিয়ে এক কর্মকর্তা বলেন, সরকারের উচ্চ মহলের গ্রিন সিগন্যাল পেয়ে ২১ ও ২২শে জুন ভারত সফরের সারসংক্ষেপ উত্থাপিত হচ্ছে। সারসংক্ষেপ সই না হওয়া পর্যন্ত অফিসিয়্যালি সফরটি কনফার্ম বলার অবকাশ নেই। যেহেতু দিল্লি তারিখটি প্রস্তাব করেছে তাই প্রস্তাবিত তারিখেই তা বাস্তবায়নে জোর দিচ্ছে ঢাকা। অন্যথায় উভয় সরকার প্রধানের সুবিধাজনক তারিখ পেতে ফের নেগোশিয়েশন করতে হবে, এতে সফরটি পিছিয়ে যেতে পারে। ফলে প্রস্তাবিত তারিখ ধরেই এগুচ্ছে ঢাকা এবং এটা হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। স্মরণ করা যায়, টানা তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়া নরেন্দ্র মোদির শপথ উপলক্ষে গত শনিবার থেকে সোমবার ভারত সফরে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ওই সফরে ভারতের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান এবং বিরোধী দলের শীর্ষ পর্যায়ে বৈঠক হলেও এটাকে একান্ত শপথ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ সংক্রান্ত সেরিমনিয়াল সফর হিসেবে বিবেচনা করছে ঢাকা ও নয়াদিল্লি। ৭ই জানুয়ারির বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত বহুল আলেচিত দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর পূর্ণদ্বিপক্ষীয় সফরে সরকারপ্রধানের দিল্লি ও বেইজিং যাত্রাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এশিয়ার প্রধান ২ অর্থনৈতিক শক্তি ভারত ও চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও গভীর করাই ব্যাক টু ব্যাক সফরের লক্ষ্য। তবে ভারসাম্য রক্ষার চ্যালেঞ্জও রয়েছে। বিশেষ করে তিস্তা নিয়ে কী আলোচনা বা সিদ্ধান্ত হয় সেদিকই চোখ সবার।
Dhaka, Bangladesh বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:18 AM |
Sunrise | 6:39 AM |
Zuhr | 11:59 AM |
Asr | 2:59 PM |
Magrib | 5:20 PM |
Isha | 6:40 PM |