আজ রবিবার | ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২০শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | দুপুর ১:৩৩
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লন্ডনে ১০ দিনের সফরে এসে প্রথম দলীয় কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেছেন। মঙ্গলবার যুক্তরাজ্য বিএনপির আয়োজনে এক সমাবেশে সস্ত্রীক উপস্থিত হন তিনি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল শেখ হাসিনা , অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, বাংলাদেশ -ভারতের বর্তমান উত্তেজনা ও আগামী নির্বাচন বিষয়ে তার অভিব্যক্তি তুলে ধরেন।
মির্জা ফখরুল শেখ হাসিনা সম্পর্কে বলেন, ফ্যাসিস্ট দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশের আস্থাকে, অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ধ্বংস করে দিয়েছে রাজনৈতিক কাঠামোকে। আমাদের যে স্বপ্ন ১৯৭১ সালে দেখেছিলাম একটি স্বাধীন-সার্বভৌমত্ব বাংলাদেশ, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ, সেই স্বপ্নকে ধ্বংস করে দিয়েছে, ধূলিসাৎ করে দিয়েছে। আমরা জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের পরে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ক্ষমতা দেয়া হয় এই দেশকে আবার পথে নিয়ে আসার জন্য এবং একটি নিরপেক্ষ ও সকলের কাছে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য। আমরা এই প্রথম এক হয়েছি রাজনৈতিক দলগুলো, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতারা আমরা একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই বাংলাদেশে। আজ দুৰ্ভাগ্যজনকভাবে একটি ভ্রান্ত ধারণা ছড়িয়ে দিচ্ছে কিছু মানুষ যে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুর উপর নির্যাতন হচ্ছে। এই ভ্রান্ত তথ্য ছড়িয়ে দিয়ে বাংলাদেশে আবারো আরেকটি সমস্যা সৃষ্টির পায়তারা চলছে। শেখ হাসিনা যিনি বাংলাদেশের মানুষের ওপর অত্যাচার করেছেন নির্যাতন করেছেন, মানুষকে হত্যা করেছেন, ৭০০ মানুষকে গুম করেছেন সেই স্বৈরাচারকে আজকে আশ্রয় দিয়েছে ভারত। শেখ হাসিনা আবার তার দলবল নিয়ে নতুন করে চক্রান্ত শুরু করেছে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, সার্বভৌমত্বকে ভারতের হাতে তুলে দিতে চায়। যে মহিলা একসময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন সেই তিনি ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন, সেই মহিলা আজকেও ভারতে বসে দেশের কিভাবে ক্ষতি করা যাবে, বাংলদেশের স্বাধীনতাকে কিভাবে বিপন্ন করা যাবে সেই চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছেন। তাই এদের কখনো ক্ষমা করা যায় না। পরিষ্কার কথা- হাসিনাকে গণহত্যার অপরাধে অবশ্যই দ্রুত বিচার করতে হবে। যারা তাকে সহযোগিতা করেছে তাদেরও বিচার হবে।
মহাসচিব আরো বলেন ,ভারত আমাদের সবচেয়ে বড় প্রতিবেশী দেশ, আমাদের বন্ধু। যুদ্ধের সময় আমাদের সহযোগিতা করেছে। আমরা ভারতের কাছে সব সময় প্রত্যাশা করি যে, ভারত বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়াবে। তারা বাংলাদেশের মানুষকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে, বাংলাদেশের মানুষকে আবার ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছে। কলকাতায় ডেপুটি হাইকমিশন আক্রান্ত হয়েছে এবং মিছিল নিয়ে সীমান্ত দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করেছে কিন্তু এটি কোন ধরনের বন্ধুত্ব? কোন ধরনের প্রতিবেশীতা? তাই ভারতকে অনুরোধ জানাতে চাই, নিবেদন করতে চাই, আপনারা বড় দেশ। বাংলাদেশ বুকের রক্ত দিয়ে যুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছে । বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন না, নইলে বাংলাদেশের মানুষ কখনোই তা মেনে নেবে না।
ভারত ইস্যুতে বাংলাদেশের সকল রাজনৌতিক দলের উদ্দেশ্যে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সকল রাজনৈতিক দলকে আহ্বান জানাই যে, এই বিষয়ে আমরা একমত থাকি একজোট থাকি। আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে রক্ষায় আমরা একজোট হবো , ঐক্যবদ্ধ হবো এবং এই সংগ্রামে টিকে থাকবো।
অন্তর্বর্তীকালীন সকাররের বিষয়ে ফখরুল বলেন, আমার বিশাল কঠিন সময় পার করে নতুন সূর্য দেখছি। নতুন সম্ভাবনার দ্বার দেখতে পাচ্ছি। আমাদের নেতা বলেছেন যে, আমরা এমন কিছু করবোনা যার মধ্যে দিয়ে ক্ষতি হয়, এই সুযোগ হাত ছাড়া হয়ে যায়। গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করার সুযোগ পেয়েছি তাই এই সুযোগ আমরা নষ্ট করতে চাই না। আমাদের ভারপাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বারবার বলছেন, এই সরকারকে সহযোগিতা করে আমরা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যেতে চাই। এই সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে সকল জঞ্জালগুলোকে সাফ করে দিয়ে সকলের ঐকমত্যে দ্রুত একটি নির্বাচন দেয়া। তবে এগুলোতে বেশি সময় লাগার কথা নয়। আমরা মনে করি নির্বাচন ব্যবস্থা, প্রশাসন, বিচার ব্যবস্থা এবং অর্থনীতির ন্যূনতম সংস্কারগুলো করে নির্বচনের দিকে দ্রুত যাওয়া উচিত। কারণ আমরা আগেও বলেছি নির্বাচন যত দেরি হবে সমস্যা তত বাড়বে, ততই অপশক্তিগুলো মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে, যারা গণতন্ত্র চায় না তারা তত দ্রুত জায়গা করার ব্যবস্থা করে নেবে। তাই আসুন যত কম সময়ের মধ্যে পারি ততো কম সময়ের মধ্যে নির্বাচনের দিকে যাই। আমাদের অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে পা ফেলে হবে, আমরা যাতে কারো পাতা ফাঁদে পা না দেই।
তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন বিষয়ে মহাসচিব বলেন ,আমরা আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে এখানে বেশিদিন রাখতে চাই না । আমরা তাকে দেশে নিয়ে যেতে চাই। তার নেতৃত্ব আমাদের এখন খুব প্রয়োজন। দেশের মানুষ তাঁর জন্য অপেক্ষা করছে , তারেক রহমান আসবেন। আর আসলেই আমাদের শক্তি, আন্দোলন , সংগ্রাম অনেক দূরে এগিয়ে যাবে।
Dhaka, Bangladesh রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:16 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:57 AM |
Asr | 2:57 PM |
Magrib | 5:17 PM |
Isha | 6:38 PM |