আজ সোমবার | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | সন্ধ্যা ৭:৪৫
বিডি দিনকাল ডেস্ক :- বসুন্ধরা এভারকেয়ার হাসপাতালে গুরুতর অসুস্থ খালেদা জিয়ার অবস্থা ‘স্টিল ক্রিটিক্যাল’ বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার রাতে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিয়মকালে বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থা জানাতে গিয়ে দলের মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘‘ ম্যাডাম অত্যন্ত গুরুতরভাবে অসুস্থ। অর্থাত যেকথা আমি বলেছিলাম প্রথম দিনে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে।এই কথাটাই এপপ্রুপ্রিয়েট কথা। উনার অবস্থা এখনো স্টিল ক্রিটিক্যাল। এটা ঠিক বলা যাবে না যে, উনি বিপদের বাইরে বেরিয়ে এসেছেন এটা বলার কোনো উপায় নেই। স্টিল ইটস ভেরি ডিভিকাল্ট।”
‘‘ মোদ্দা কথা হচ্ছে, তাকে অতি দ্রুত, সময় নষ্ট না করে তাকে বিদেশে এডভান্স সেন্টারে পাঠানো অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়েছে। এটা চিকিতসদের কথা। সরকারের কাছে আমি আবেদন জানিয়েছিলাম যে, রাজনৈতিক চিন্তাভাবনাকে প্রাধান্য না দিয়ে জীবনকে বিশেষ করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জীবনকে । বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দেশনেত্রীর জীবন এতবেশি মূল্যবান সত্যিকার অর্থে গণতন্ত্রের জন্য, দেশের উন্নয়নের জন্য, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্য, একটা স্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি করবার জন্য উনাকে বিদেশে পাঠিয়ে চিকিতসা করে সুস্থ করে নিয়ে আসা অত্যন্ত জরুরী বলে আমরা মনে করি।”
খালেদা জিয়া বলেন, ‘‘ এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিতসক প্রতিদিন বোর্ড মিটিং করেন। তারা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন এবং তারা এক ঘন্টা, দুই ঘন্টা, আড়াই ঘন্টা বৈঠক করেন। একসময়ে তারা ম্যাডামকে দেখতে আসেন। প্রতিদিন যে রিপোর্টগুলো সেগুলো প্রতিদিনই এনালাইসিস করেন এবং সেভাবে চিকিতসা দিচ্ছেন।”
‘‘ মেডিকেল বোর্ডের আজকের বিকালের খবরটা আমি জানিনা। আপনাদের এই অনুষ্ঠান শেষ করে আমি যাবো। তবে আমি যতদূর জেনেছি যে কোনো ফার্দার ইম্প্রুভমেন্ট হয়নি। গতকাল যা ছিলো তার চেয়ে ভালো কিছু সেটা না। আপনার ঠিক বলা যায় যে, একটা স্টেটিক অবস্থা থাকে কখনো একটু ভালো হয়, কখনো একটু খারাপ হয়-এই অবস্থার মধ্যে চলছে।”
তিনি বলেন, ‘‘ আমার সঙ্গে তার দুই একবার দেখা হয়েছে। সি ইজ এ হাই স্পিড। তার মনোবল যথেষ্ট শক্ত আছে এবং তিনি সাহস করেন যে..। রোগীর মনোবলটা কিন্তু বড় জিনিস যেকোনো অসুখ থেকে রোগী সুস্থ হওয়ার জন্য। এটা অত্যন্ত জরুরী। সেই মনোবলটা তার আছে।”
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ চিকিতসকরা জোর দিয়ে বলছেন যে, এখানে কিন্তু তার চিকিতসা সম্ভব নয়। এখন যে জটিল অবস্থা আছে সেই জটিল অবস্থা চিকিতসা করতে হলে তাকে অবশ্যই একটা এডভান্স সেন্টারে পাঠাতে হবে।”
‘‘ সুনির্দিষ্টভাবে তারা দেশের নামও বলেছেন। আইদার ই্উএসএ, ইউকে অথবা জার্মানী। এই তিনটা দেশের কথা বলেছেন তারা এই তিনটা দে্শের যেকোনা জায়গা হতে হবে। আমাদের তরফ থেকে,পরিবারের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হচ্ছে সকলের সঙ্গে। তার চিকিতসার ব্যাপারে বিদেশী চিকিতসদের পরামর্শ নেয়া হচ্ছে। সেদিক থেকে কোনো ত্রুটি নেই্ কোথাও।”
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিতসার বিষয়ে রাষ্ট্রপতি অথবা প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতে বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো চিন্তাভাবনা আছে কিনা প্রশ্ন করা হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘‘ যখন আমাদের নেত্রী কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন তখন পরপর দুইবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে গিয়ে চিঠি দিয়েছিলাম এবং তাকে হাসপাতালে পাঠানোর কথা বলেছিলাম। আমাদের প্রতিমুহুর্তে মনিটরিং করছি।”
‘‘ আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যেকটা প্রোগ্রামের মাধ্যমে আমাদের কথাগুলো বলছি। এখন সরকারের বিভিন্ন প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এই মুহুর্তে আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহন করেনি রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের।”
গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে রাতে এই মতবিনিময় অনুষ্ঠান হয়।
কুমিল্লার ঘটনা অশনি সংকেত’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘‘ গতকাল(সোমবার) কুমিল্লাতে কমিশনার তার কার্যালয়ে ঢুকে মুখোশ পড়ে ব্রাশ ফায়ার করে হত্যা করেছে। এগুলো আমাদের কাছে খুব অশনি সংকেত মনে হয়। আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে যেটা মনে হয়, মানুষের সুস্থ রাস্তাগুলো থাকে যদি কোথাও রিলিফ না পায়, প্রতিকার না পায়। আস্থাগুলো চলে যায় রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর থেকে। তখনই কিন্তু এই ধরনের ঘটনাগুলো ঘটতে থাকে। যেটা নিসন্দেহে একটা অশনি সংকেত।”
‘এটা নির্বাচন নয়’
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘‘ নির্বাচন যেটা হচ্ছে এটা কখনো নির্বাচন বলা যাবে না। এই নির্বাচনে কোনো বিরোধী দল নেই এই নির্বাচনে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় পর্য়ায়ে নির্বাচন আমরা কখনে্াই সমর্থন করিনি। আমরা বলে এসছি যে, এটা সঠিক হচ্ছে না।”
‘‘তারপরেও আমরা দুই একটা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম। কিন্তু এবার আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, আমরা দলীয়ভাবে অংশ নে্বো না। এবার এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, এই নির্বাচন কোনো নির্বাচনই হচ্ছে না। ক্ষতিটা হচ্ছে যে, আমাদের সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী টুকু সাহেব(শামসুল হক টুকু) তিনি একটা দায়িত্বশীল জায়গায় থাকতে তিনি যে কথাগুলো বলেছেন, ‘পিছে দেবো’। এটা কোনো রাজনীতিকের ভাষা হতে পারে না। এটা ছোট একটা চিত্র বললাম।”
‘‘ চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১১‘র আগস্ট পর্যন্ত এই নির্বাচন কেন্দ্রের ৬৬৯টি সহিংসতায় ৬ হাজার ৪৮ জন আহত হয়েছে এবং ৯২ জন নিহত হয়েছে। এখানে আরেকটা জিনিস পত্র-পত্রিকায় উঠে এসেছে যারা নিহত হয়েছে এরা কিন্তু কোনো বিচার পাচ্ছে না। অর্থাত মধ্যযুগের চর দখলের ব্যাপার এই দেশে চলছে।”
সরকার ‘গোটা নির্বাচনী ব্যবস্থা’কে ধবংস করে ফেলেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে দলের অবস্থা পরিস্কার করে ফখরুল বলেন, ‘‘ আমাদের অবস্থান স্পষ্ট বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো জাতীয় নির্বাচনে আমরা যাবো না। আনলেস একটা নির্বাচনকালীন সময়ে একটা নিরপেক্ষ সরকারের ব্যবস্থা না করলে। কাজেই এই নির্বাচন অর্থহীন।”
নির্বাচন কমিশন পূর্ণগঠন নিয়ে তাদের কোনো চিন্তাই নেই বলে জানান তিনি।
Dhaka, Bangladesh সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:58 AM |
Asr | 2:58 PM |
Magrib | 5:18 PM |
Isha | 6:39 PM |