আজ শুক্রবার | ২৬শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১০ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |১০ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৩:৫০
ইউরোপীয় পার্লামেন্টে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে উত্থাপিত একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। তাতে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ এখনই নিশ্চিত করার তাগিদ দেয়া হয়েছে। আজ বাংলাদেশ ছাড়াও আজারবাইজান এবং গুয়াতেমালার বিরুদ্ধে পৃথক প্রস্তাব পাস হয় ইইউ পার্লামেন্টে। যৌথ প্রস্তাবে নাগরিক অধিকার চর্চার বিষয়ে আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুসরণে ৩ দেশের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। পার্লামেন্ট প্রচারিত বিবৃতিতে এমইপিরা বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়ে সরকারের প্রতি এনজিও, মানবাধিকার সংস্থা এবং কর্মী, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতের আহ্বান জানান।
তারা বলেন, বাংলাদেশকে অবশ্যই তাদের আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার, বিশেষ করে নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলো মেনে চলতে হবে। সুশীল সমাজের সংগঠনগুলো যেন বিদেশি অনুদান গ্রহণ করতে পারে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে তা নিশ্চিত করতে হবে। এ সংক্রান্ত ইইউ পার্লামেন্টের বিবৃতিতে বিশেষভাবে মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’-এর দুই নেতা আদিলুর রহমান খান এবং এএসএম নাসিরুদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে দণ্ডাদেশের নিন্দা জানানো হয়। পাশাপাশি অবিলম্বে তাদের নিঃশর্তভাবে সব অভিযোগ থেকে মুক্তি দিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যরা।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের জন্য ‘এভরিথিং বাট আর্মস’ (ইবিএ) সুবিধা আরও বর্ধিত করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এমন অবস্থায় ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যরা মনে করেন অধিকারের সঙ্গে যে দুঃখজনক ঘটনাটি ঘটেছে তা পশ্চাদগামী পদক্ষেপ। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ইবিএ সুবিধা অব্যাহত রাখা উচিত কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তারা।
মোটা দাগে ৩ (উপ-দফা ১০) দফা সম্বলিত প্রস্তাবটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। নিরঙ্কুশভাবে পাস হওয়া ওই রেজ্যুলেশনের সূচনাতে বলা হয়, বিচারবহির্ভূত হত্যা, বলপূর্বক গুম, মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং শ্রমিকদের অধিকার সংকুচিত হওয়াসহ বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি মারাত্মকভাবে অবনতি ঘটেছে। বলা হয়, এ অবস্থায় জাতিসংঘের সঙ্গে মিলে এমন একটি স্পেশাল ম্যাকানিজম বের করতে হবে সরকারকে, যাতে বলপূর্বক গুমের অভিযোগগুলো পুঙ্খানুপঙ্খভাবে তদন্ত করা যায়। সেই সঙ্গে গুমের কেসগুলোর শুনানি চলাকালে আদালতে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের উপস্থিত থাকার অনুমতি দেয়া হয়। রেজুলেশনে ২০২৩ সালের জুনে শ্রমিক নেতা শহিদুল ইসলামের সহিংস হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার তাগিদ দেয়া হয়। সেই সঙ্গে কোর ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশনের মানদণ্ড অনুযায়ী শ্রম বিষয়ক রোডম্যাপ বাস্তবায়নে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়। সাইবার নিরাপত্তা আইনকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরণে উৎসাহিত করা ছাড়াও বিরোধী প্রতিনিধিদের গণগ্রেপ্তার এবং বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ বন্ধের আহ্বান জানানো হয়। সেই সঙ্গে ২০২৪ সালে অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করার জন্য এখনই সরকারকে এমন পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান এবং আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী ওই নির্বাচন পর্যবেক্ষণে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের সুযোগ নিশ্চিতকরণের তাগিদ দেয়া হয়।
Dhaka, Bangladesh বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:23 AM |
Sunrise | 6:42 AM |
Zuhr | 12:06 PM |
Asr | 3:08 PM |
Magrib | 5:29 PM |
Isha | 6:49 PM |