আজ সোমবার | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ১০:৪৩
বাংলাদেশে সাংবাদিক আবু আজাদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি করেছে কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস। বুধবার দেয়া এক বিবৃতিতে সংগঠনটি এমন দাবি করেছে। গত ২৫শে ডিসেম্বর সকালে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় অবৈধ ইট ভাটার ছবি তোলায় স্থানীয় ইউপি সদস্য মহিউদ্দীন তালুকদার মোহনসহ ৫-৬ জন পিস্তল ঠেকিয়ে সাংবাদিক আবু আজাদকে মারধর করে। এ নিয়ে সিপিজে বলেছে, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই সাংবাদিক আবু আজাদকে অপহরণ এবং নির্যাতনের ঘটনার দ্রুত তদন্ত করতে হবে এবং জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
সাংবাদিক আবু আজাদ নিজেই সিপিজে’র সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে নিজের সাংবাদিক পরিচয় দেয়ার পরেও তাকে নির্যাতন করা হয়। সিপিজেকে তিনি জানান, অস্ত্রের মুখে মোহন তাকে গাড়িতে তুলে স্থানীয় মঘাছড়ি বাজারে নিয়ে যান এবং তাকে কয়েক দফা পেটান। এরপর মোহনের কার্যালয়ে বেঁধে রেখে নির্যাতন করা হয়। প্রায় ৯০ মিনিট নির্যাতনের পর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। হামলায় নেক ফ্র্যাকচার এবং বুক, পেট ও হাতে আঘাতের শিকার হন। সিপিজে এসব মেডিকেল ডকুমেন্টস পর্যালোচনা করে দেখেছে। আজাদ জানান, হামলাকারীদের একজন হচ্ছে মহিউদ্দিন তালুকদার মোহন।
তিনি ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের একজন মেম্বার। তাকে প্রথমে মোহনের অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আরও তিনজন যুক্ত হন মোহনের সঙ্গে। তারা অফিসের সিসি ক্যামেরা বন্ধ করে সাংবাদিক আজাদকে মারধর করেন। বারবার লাথি মারেন তাকে। এক পর্যায়ে তার মোবাইল, ওয়ালেট এবং আইডি কার্ড ছিনিয়ে নেয়া হয়। তার মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলা হয়। এর আগে তার ব্যাংকিং অ্যাপ এবং বিকাশ থেকে ১০ হাজার টাকা সরিয়ে নেয়া হয়। এরপর তাকে আটকে রেখে আরও ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। মারধরের এক পর্যায়ে মোহনের মোবাইল ফোন দিয়ে আবু আজাদের সঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে ফোনে কথাও বলে। তিনি আজাদকে বলেন, আপনার মতো সাংবাদিককে মেরে ফেললেও কিছু হবে না। এরপর ওই সাংবাদিকের পকেটে মোহন নিজের ভিজিটিং কার্ড ঢুকিয়ে দিয়ে ক্ষমতা থাকলে কিছু করতে বলে হুমকিও দেয়।
সিপিজে এই ঘটনা সম্পর্কে মোহনের কাছে মেসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে বার্তা পাঠিয়েছে। তবে তিনি কোনো উত্তর দেননি। একই ধরণের বার্তা পাঠানো হয় সিরাজ চৌধুরীর কাছেও। তিনিও কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি। ২৬ ডিসেম্বর বিকালে রাঙ্গুনিয়া মডেল থানায় হত্যাচেষ্টা, অপহরণ, টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেয়া, মারধর এবং চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে বাদি হয়ে মামলা করেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক আবু আজাদ। মামলায় ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মহিউদ্দিন তালুকদার মোহন (৪০), চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন চৌধুরী (৫৫), ইটভাটার ম্যানেজার কামরান (৩০), মোহনের সহযোগী কাঞ্চন তুড়ির (৩০) নাম উল্লেখ করার পাশাপাশি অজ্ঞাত আরো ৫-৭ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে অভিযুক্ত করা হয়। ওইদিন রাতেই আসামি কাঞ্চন তুড়িকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তবে ৩রা জানুয়ারি বাংলাদেশ হাইকোর্ট মোহন এবং সিরাজ চৌধুরীকে আগাম জামিন দেয়। ফলে তারা আগামী চার সপ্তাহ গ্রেপ্তার এড়িয়ে চলতে পারবে। এছাড়া অন্য অভিযুক্তরাও এখনও গ্রেপ্তার হয়নি। রাঙুনিয়া মডেল পুলিশ স্টেশনের ওসি’র সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে সিপিজে। বিবৃতিতে সংগঠনটি জানিয়েছে, মোহন এবং সিরাজ উভয়েই ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ দলের সদস্য। ইট ভাটায় উভয়েরই ব্যবসা রয়েছে। সিপিজে আওয়ামীলীগকেও এ নিয়ে ইমেইল করেছে, তবে কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।
Dhaka, Bangladesh সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:58 AM |
Asr | 2:58 PM |
Magrib | 5:18 PM |
Isha | 6:39 PM |