আজ শুক্রবার | ১৯শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৩রা জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |৩রা রজব, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ৯:৩১
ফিফা থেকে ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগের নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে বাফুফের পুরো কমিটিই এখন প্রশ্নবিদ্ধ। গত ১৭ই এপ্রিল নির্বাহী কমিটির সভায় এই প্রশ্নবিদ্ধ কমিটির ১০ জনকে দিয়ে সোহাগ ইস্যুতে তদন্ত কমিটি করে বাফুফে। সপ্তাহ খানেক আগে ১০ সদস্যের তদন্ত কমিটি থেকে পদত্যাগ করেন দুই সহ-সভাপতি। বাফুফের এই টালমাটাল অবস্থার মধ্যে মঙ্গলবার নির্বাহী কমিটির সভা শেষে ভবনে সাংবাদিক প্রবেশ নিয়ে বাজে মন্তব্য করে বসলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন।
তিনি বলেন, জার্নালিস্টরা এখানে ঢুকতে গেলে তাদের বাপের ফটো পাঠাবে জুতা পরা। এটা হতে হবে ম্যান্ডেটরি। বাপের জুতা পরা ছবি থাকতে হবে।
কাঁচে ঘেরা বাফুফে। দোতলায় প্রবেশ করতে গেলেই নিরাপত্তারক্ষীর কাছে জবাবদিহি করতে হয়। তারপর কর্মকর্তার সম্মতি মিললে ঘণ্টাখানেক পর হয়তো দেখা মিলে। সেই বাফুফে এখন জর্জরিত দুর্নীতির অভিযোগে।
নিষিদ্ধ সাধারণ সম্পাদক। ফিফার কাঁচির ডগায় রয়েছেন আরও দুই এক্সিকিউটিভ। গেল ১৭ দিন বাফুফের নানা দুর্নীতির খবর প্রকাশ করেছেন দেশের মিডিয়া কর্মীরা। এতেই মিডিয়াকর্মীদের ওপর ক্ষুব্ধ বাফুফে সভাপতি।
মঙ্গলবার ছিল বাফুফের নির্বাহী কমিটির সভা। সেই সভা শেষে মিডিয়াকর্মীদের সামনে কথা বলতে আসেন সালাউদ্দিন। কিন্তু তিনি ঘুণাক্ষরেও টের পাননি তার সামনে আগে থেকেই বেশকিছু মুঠোফোন রেকর্ডে দেয়া ছিল। আনুষ্ঠানিক কথা শুরুর আগে বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী ও সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিকের সঙ্গে আলাপচারিতায় কাজী সালাউদ্দিন বলেন, জার্নালিস্টরা এখানে ঢুকতে গেলে তাদের আমার এখানে ফটো দিতে হবে তাদের বাপ-মা’র। …. আরেকটা কন্ডিশন হলো তার বাপের ফটো পাঠাবে জুতা পরা। ঠিক আছে (হাসি), এটা হতে হবে ম্যান্ডেটরি। বাপের জুতা পরা ছবি থাকতে হবে।’
বাফুফে সভাপতির এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ কথা শুনে স্তম্ভিত মিডিয়াকর্মীরা। এক দশকের বেশি সময় ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে ছিলেন আবু নাঈম সোহাগ। বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত সোহাগ প্রতিনিয়ত ফেডারেশনের ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের একজন হয়ে ওঠেন। একজন চাকরিজীবী হয়েও নির্বাহী কমিটির অনেককে এড়িয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতেন তিনি। গুঞ্জন ছিল সালাউদ্দিনের প্রচ্ছন্ন মদতে ফুটবলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চেয়ারকে নিজের সম্পত্তি বানিয়ে ইচ্ছামতো কাজ করেছেন সোহাগ। ফিফার সঙ্গে চিঠি চালাচালি থেকে শুরু করে বিভিন্ন আর্থিক বিষয়াদির কাগজপত্রেও স্বাক্ষর করেছেন তিনি। সেই হিসেবে তার সময়ে করা আর্থিক অনিয়মের জন্য সরাসরি তাকে অভিযুক্ত করছে ফিফা। নির্বাচিত সভাপতি বলে সরাসরি কাজী সালাউদ্দিনকে সরানোর কোনো সুপারিশ করেনি বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা।
কয়েক বছর ধরেই আর্থিক অসঙ্গতি নিয়ে আলোচনায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। আর্থিক অনিয়মের কারণে ফিফার ফান্ড বন্ধ করে দেয়ার খবরও মিডিয়ায় উঠেছে। কিন্তু প্রতিবারই তা অস্বীকার করে গেছেন বাফুফে বস। ফিফা থেকে নিষেধাজ্ঞা আসার পরও এই দায় তিনি নিতে চান না। তাইতো ফিফার নিষেধাজ্ঞার পর সোহাগকে আজীবন বহিষ্কার করেছেন। গঠন করেছেন তদন্ত কমিটি।
এমনিতেই ফুটবলে কোনো সুখবর নেই। আর্থিক সংকটের কারণে মিয়ানমারে সাবিনা খাতুনদের অলিম্পিক বাছাই খেলতে পাঠায়নি বাফুফে। নির্বাহী কমিটির অনেককে না জানিয়ে সোহাগকে সঙ্গে নিয়ে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন এবং নারী ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ বাতিল করেন মেয়েদের মিয়ানমার সফর। এবার সাংবাদিকদের নিয়ে বিষোদগার করলেন বাফুফে বস। এর আগে বাফুফে ভবনে সাংবাদিকদের প্রবেশে নানা বিধিনিষেধ দিয়েছিল বাফুফে। এবার সরাসরি বাফুফে সভাপতি সাংবাদিক মহলকে ছোট করে তার বাবাকে টেনে আনলেন তিনি। চাইছেন বাবার জুতা পরা ছবি।সূত্র:মানবজমিন
Dhaka, Bangladesh শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:21 AM |
Sunrise | 6:41 AM |
Zuhr | 12:03 PM |
Asr | 3:04 PM |
Magrib | 5:25 PM |
Isha | 6:45 PM |