- প্রচ্ছদ
-
- চট্টগ্রাম
- বাশখালী হত্যাকাণ্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্ত চায় যুব অধিকার পরিষদ
বাশখালী হত্যাকাণ্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্ত চায় যুব অধিকার পরিষদ
প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল, ২০২১ ৯:৪২ পূর্বাহ্ণ
বিডি দিনকাল ডেস্ক :- অবৈধভাবে রাতের ভোটে ক্ষমতায় এসেছে আওয়ামী লীগ। তাদের লুটপাটের অন্যতম প্রকল্প চট্টগ্রামের বাশখালি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র। আজ ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবস, এই দিনই বাঙালির মুক্তির সরকার গঠিত হয়েছিল। অথচ আজ সকালে বেতনের দাবিতে আন্দোলনরত নিরীহ শ্রমিকদের গুলি করে হত্যা করেছে আওয়ামী লীগ সরকারের তাবেদার পুলিশ বাহিনী। এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ।
এই হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত, তাদের চিহ্নত করে আইনের আওতায় আনতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত এবংএই বিদ্যুৎকেন্দ্র সংশ্লিষ্ট ‘মনস্টার’ খ্যাত দখলদার শিল্প গ্রুপ এস আলম গ্রুপের অবৈধ ক্ষমতার উৎস জনগণের সামনে তুলে ধরার দাবি জানানো হচ্ছে। বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মুহাম্মদ আতাউল্লাহ ও সদস্য সচিব ফরিদুল হক এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানাচ্ছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বিশ্ব যেখানে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ থেকে সরে আসছে সেখানে সবার আপত্তির মুখে সরকার বাঁশখালীতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। স্থানীয় জনগণের জমি অবৈধভাবে দখল করে এটি নির্মাণ করা হচ্ছে। শুরু থেকেই সাধারণ মানুষ এর প্রতিবাদ করে আসছিল। প্রতিরোধে সরকার ২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল পুলিশ দিয়ে গুলি করে ৪ জন সাধারণ মানুষকে হত্যা করে। অন্য প্রতিবাদি জনতাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশি মামলা কাদে নিয়ে এখনো পালিয়ে বেড়াচ্ছেন সাধারণ মানুষ। শেষ পর্যন্ত আওয়মী সন্ত্রাসীদের হামলা ও পুলিশের মামলার ভয়ে নিজেদের ভিটেমাটি বাধ্য লুটেরাদের হাতে তুলে দেয় জনগণ। নির্মাণাধীন এই প্রকল্পে শ্রম আইনর কোনো তোয়াক্কা করা হয় না।
আজ (১৭ এপ্রিল) সকালে বেতন-ভাতার দাবিতে শ্রমিকরা মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে যায়। কিন্তু পুলিশ তাতে বাধা দেয়। এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করে। শ্রমিকরা এর প্রতিবাদ করলে বিনা উষ্কানিতে নির্বিচারে গুলি চালায় পুলিশ। এতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৫ জন নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অসংখ্য। এইসব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নাৎসী বাহিনী কিংবা মিয়ানমারের সামরিক জান্তার মিল খুঁজে পাচ্ছে যুব অধিকার পরিষদ।
যুব অধিকার মনে করে, দেশে গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার না থাকায় শাসক গোষ্ঠি আজ চরম হিংস্র হয়ে উঠেছে। তাদের স্বার্থের বাইরে কেউ কোনো কথা বললে যেকোনো উপায় তা দমন করছে। এজন্য নিয়মিত জীবন দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। শাসক গোষ্ঠির এই অবৈধ কার্যক্রমে প্রসাশনের কিছু অসাধুকে ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে জনগণের কাছে প্রশাসনের গ্রহণযোগ্যতা শেষ হয়ে গেছে। দেশ আজ কাশ্মির, আরাকান, ফিলিস্তিন কিংবা সিরিয়ার অবস্থায় পৌঁছেছে।
জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ এই অত্যাচারিদের দেশ ছাড়া করতে চায়। তারা দেশের মানুষের কাছে তাদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চায়। এজন্য জনগণকে সব ভয়কে উপেক্ষা করে ১৯৭১ সালের মতো পুণরায় রাজপথে নামার অনুরোধ জানানো হচ্ছে। আপনারা আসুন, রাজপথে নামুন। একাত্তরে হানাদারদের হটিয়েছি, এবার আওয়ামী সন্ত্রাসী হটাবো।
Please follow and like us:
20 20