আজ বৃহস্পতিবার | ১৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২রা জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |২রা রজব, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১২:৫৯
ঢাকা:- বিএনপির আন্দোলন ‘কোনো কিছুই’ আটকাতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এক প্রতিবাদ সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘‘ আমরা স্পষ্টভাষায় বলতে চাই, আমাদের যে নির্বাচন কমিশন যারা সমস্ত নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধবংস করে দিয়েছে তাকে অবিলম্বে পদত্যাগ করে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। এই সরকারকে অবিলম্বে নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে পদত্যাগ করতে হবে এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগনের পার্লামেন্ট ও জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।”
‘‘ আসুন আমরা সেই লক্ষ্যে সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। কোনো কিছুই আমাদের আটকাতে পারবে না। ইনশাল্লাহ জনগনকে সামনে নিয়ে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাবো-এই হোক আমাদের শপখ।”
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘‘ একটা ভয়াবহ আইন তৈরি করা হয়েছে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট এর মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের বাক স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া হয়েছে, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া হয়েছে।”
‘‘এই সরকার গণতান্ত্রিক সরকার, এই সরকার জনগনের সরকার নয়। তারা জোর করে রাষ্ট্রক্ষমতাকে ব্যবহার করে, রাষ্ট্রযন্ত্রগুলোকে ব্যবহার করে আজকে বেআইনিভাবে ভোটের আগের রাত্রে ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে। এই দখলদারি সরকার শুধুমাত্র ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আজকে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মতো ভয়াবহ আইন তৈরি করেছে যেটা দিয়ে তারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে, অন্যায়-অত্যাচার-নিপীড়ন-নির্যা
সমাবেশে নেতা-কর্মীদের আসতে না দেয়ায় ক্ষোভ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ আমি বলতে চাই, আপনারা এতো ভয় পান কেনো? সমাবেশের অনুমতি দেয়ার পরে চতুর্দিকে বন্ধ করে দিয়ে আমাদের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের এখানে আসতে দেন না। কারণ আপনারা জানেন, নেতা-কর্মী-সমর্থক-জনগন যদি জেগে উঠে তাহলে আপনারা এই বেআইনি ক্ষমতা রাখা সম্ভব হবে না।”
‘‘ আমরা পরিস্কারভাষায় বলতে চাই, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট এটা বাতিল করতে হবে অবিলম্বে। অবিলম্বে যাদেরকে এই আইনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে যুব দলের নেতা রফিকুল আলম মজনুসহ সকলকে মুক্তি দিতে হবে।”
‘কিশোরকে সাধুবাদ’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘‘ আপনারা দেখেছেন, কার্টুনিস্ট কিশোরের ওপরে কী নির্মম নির্যাতন করা হয়েছে। মুশতাক আহমেদ কিভাবে কারাগারে নিহত হয়েছে এটা তো ফেইসবুকে কথা বেরিয়ে এসছে।”
‘‘ আমি সাবাস দিতে চাই, ধন্যবাদ জানাতে চাই যে, কার্টুনিস্ট কিশোরকে, আজকে সে মামলা করেছে তার ওপরে নির্মম নির্যাতনের বিরুদ্ধে। এই সাহস নিয়ে সকলকে বেরিয়ে আসতে হবে, আজকে এই সাহস নি্য়ে সকলকে এই অন্ধকারকে দূর করার জন্য, এই স্বৈরাচারকে দূর করার জন্য যারা আমাদের স্বাধীনতার সব চেতনাকে ধবংস করে দিয়ে আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকারকে কেড়ে নিয়েছে তাদেরকে পরাজিত করবার জন্য আজকে সাহস নিয়ে আমাদেরকে গণতান্ত্রিকভাবে সোচ্চার হতে হবে।”
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মহানগর উত্তর-দক্ষিন বিএনপির উদ্যোগে ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নামে কটুক্তি ও বীর মুক্তিযোদ্ধার খেতাব বাতিল ও লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যু এবং সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দা্বিতে এই প্রতিবাদ সমাবেশ হয়।
সমাবেশকে ঘিরে সকাল সকাল ৯টা থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের চারপাশে ব্যাপক পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়। মতস্যভবন মোড়, কদম ফোয়ারা মোড়, তোপখানা ও সচিবালয়ের সড়কসহ আশ-পাশের সড়কে বসানো হয়েছে ব্যারিকেড। সচিবালয়ের কাছে রাখা হয় জলকামানের গাড়ি ও সাঁজোয়া যান।
সকাল সাড়ে ১০টায় সমাবেশ শুরু হলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে হাবিব উন নবী খান সোহেলসহ শতাধিক নেতা-কর্মীর অবস্থান ছিলো। এই সড়কের যান চলাচলও পুলিশ এক পর্যায় বন্ধ করে দেয়। সমাবেশ থেকে বলা হয়, এই সমাবেশ হবে সংক্ষিপ্ত। সাড়ে ১১টার আগেই সমাবেশ শেষ হয় বিএনপির মহাসচিবের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে।
মহানগর দক্ষিনের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে কাজী আবুল বাশার ও আব্দুল আলিম নকির পরিচালনায় সমাবেশে বিএনপির আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, নাজিম উদ্দিন আলম, আবদুস সালাম আজাদ, মহানগর উত্তরের বজলুল বাসিত আনজু, এজিএম শামসুল হক, যুব দলের এসএম জাহাঙ্গীর, এসএম জিলানী, গোলাম মাওলা শাহিন, শ্রমিক দলের সুমন ভুঁইয়া ও ছাত্র দলের দলের কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবন প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
Dhaka, Bangladesh বুধবার, ১ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:20 AM |
Sunrise | 6:41 AM |
Zuhr | 12:02 PM |
Asr | 3:03 PM |
Magrib | 5:23 PM |
Isha | 6:44 PM |