আজ বুধবার | ২৪শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৮ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |৮ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১১:২২
ঢাকার প্রবেশপথ বন্ধ করে অবস্থান নেয়ায় বিএনপি’র বিরুদ্ধে ভিসানীতি কার্যকর হওয়া দরকার বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি বসে বসে স্বপ্ন দেখে। আর নিষেধাজ্ঞা ও ভিসানীতির আতঙ্ক ছড়ায়। এই যে, রাস্তা বন্ধ করে ঢাকার প্রবেশ পথে অবস্থান করা, এর জন্যতো ভিসানীতি আসা দরকার। আমেরিকা বলেছে, সুষ্ঠু নির্বাচনে যারা বাধা হবে তাদের বিরুদ্ধে ভিসানীতি দেয়া হবে। তাহলে বিএনপি’র বিরুদ্ধে ভিসানীতি আসে না কেন? শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শান্তি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এ সমাবেশের আয়োজন করে। মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফীর সভাপতিত্বে এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, মহানগর দক্ষিণ সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ। কাদের বলেন, টিভি পত্রিকায় বিএনপি’র কর্মসূচি দেখা যায়। তাদের কর্মসূচি দেখে ভাবলাম বিএনপি কালো পতাকা মিছিল করছে কেন? বিএনপি’র আবার কে মারা গেল।
কালো পতাকা মিছিল করা হয় কেউ মারা গেলে। বিএনপি শোক করছে কেন? আসলে তাদের আন্দোলনের বারোটা বেজে গেছে।
এখন নেতারা নিজেদের অজান্তে শোকের মিছিল করছে। তিনি বলেন, আন্দোলনের পতাকা হচ্ছে লাল। লাল-সবুজ বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা। আসলে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি এদের কোনো দরদ নেই। মিছিল বলে গণমিছিল। যে মিছিলে জনগণ নেই সেই মিছিল গণমিছিল হয় কী করে? আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মিছিল দেখবেন? মিছিল দেখাবো।
এক প্রান্ত যাত্রাবাড়ী, আরেক প্রান্ত হবে একদিকে মীরপুর, আরেকটা সবুজবাগ হবে। আওয়ামী লীগের মিছিল মানে সারা শহরে মিছিল আর মিছিল। এ সময় দলটির অঙ্গসংগঠনের আগামী ১ ও ২ তারিখের কর্মসূচির কথা প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, দেখবেন ১ ও ২ তারিখে। তারুণ্যের সমাবেশ আপনারাও করেছেন, আমাদেরও হবে। ১ তারিখে সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে লাখ লাখ তরুণের সমাবেশ আমরা দেখাবো বিজয়ের পতাকা হাতে, শোকের পতাকা হাতে নয়।
তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা সমাবেশ, শান্তি সমাবেশ ও উন্নয়ন সমাবেশ করছি। আজকে বিএনপি নেতাদের গলা শুকিয়ে গেছে। গলায় জোর নেই। মিছিলে আর জোর নেই। সমাবেশে লোকজন আস্তে আস্তে কমতির দিকে। এখন আন্দোলনের মরা গাঙ্গে ঢেউ আর আসে না। সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতারা বলেছেন, ডিসেম্বরে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় বসে দেশ চালাবে। তারেক রহমান বীরের বেশে দেশে ফিরবে। কত লাফা-লাফি অথচ সব গরুর হাটে গিয়ে শেষ। তারপর পদযাত্রা থেকে শুরু করে মানববন্ধন।
এসব প্রোগ্রাম করে আন্দোলন জমানোর চেষ্টা করলো। পিকনিক পার্টি বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে সরকার পতনের কথা বলে মানুষকে নিয়ে এলো। কাঁথা-বালিশ নিয়ে ঢাকায় এলো। মির্জা ফখরুল বললেন- কিছু অতিরিক্ত কাপড়-চোপড় নিয়ে ঢাকায় আসতে। অথচ ঢাকার প্রবেশমুখে অবস্থান নিতে গেলে সে অবস্থান আমানউল্লাহ আমান ফলের রস খেয়ে আর গয়েশ্বর চন্দ্র রায় পুলিশ অফিসারের কোরাল মাছের ঝোল খেতে খেতে দিশাহারা, আন্দোলন হয় না। আন্দোলনের বারোটা বেজে গেছে। যারা কাপড় নিয়ে এসেছে তারাও চলে গেছে।
তিনি বলেন, আন্দোলনের নামে এ ধরনের নাটক বিএনপি’র কর্মীরাও নিশ্চয় আর চায় না। ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন অনেক দূর। দিবাস্বপ্ন দেখছেন- ক্ষমতা অনেক দূরে। শেখ হাসিনা না কি বিদায় নেবেন। কেন বিদায় নেবেন? এ দেশের ৭০ ভাগ মানুষ যাকে ভোট দিতে চায় তিনি কেন ক্ষমতা থেকে বিদায় নেবেন। ’৭৫ এর পর এক নম্বর জনপ্রিয় নেতা শেখ হাসিনা। মানুষ যাকে ভালোবাসে, তাকে ক্ষমতা থেকে বিদায় দেবেন কীভাবে?
কাদের বলেন, আজ গুয়াতেমালার প্রেসিডেন্টপ্রার্থী রক্তাক্ত। গণতন্ত্র নেই। সুদান দুই ভাগ হয়ে গেছে। আমেরিকার কথাও শোনে না, জাতিসংঘের কথাও শোনে না। কেউ কথা শুনে না। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামে না। অবিরাম চলছে দেশে দেশে যুদ্ধ। দেশে দেশে দুর্ভোগ। আজ বাংলাদেশের আর কিছু পায় না বিদেশি চ্যানেলে কক্সবাজার দেখায়। শেখ হাসিনাকে বিশ্বের নেতারা বলেছেন- তিনি বর্ডার খুলে দিয়েছেন। আজ ১৩ লাখ রোহিঙ্গা আমাদের কাঁধে বোঝা হয়ে আছে।
জাতিসংঘ আগে ১২ ডলার করে দিত এখন ৮ ডলার দেয়। কেউ সাহায্য করে না শুধু মুখে মুখে রোহিঙ্গাদের জন্য মায়াকান্না করে। তিনি বলেন, আমাদের দেশের সবচেয়ে সুন্দর স্বাস্থ্যকর জায়গা, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকত আজ বিপন্ন। কক্সবাজারের জীবন আজ বিপন্ন। আমাদের ইকোনমি, ট্যুরিজম সব ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। সবাই রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে মুখে সুন্দর সুন্দর কথা বলে আমাদের নেত্রীর প্রশংসা করে কিন্তু বাস্তবে সাহায্য করতে কেউ আসে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যে কনভিক্টেড কিলাররা বড় বড় দেশে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায়। জাতির পিতাকে হত্যায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আমেরিকা-কানাডা আশ্রয় দেয়। এটা কোন গণতন্ত্র- তা আমরা জানতে চাই।
Dhaka, Bangladesh বুধবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:22 AM |
Sunrise | 6:42 AM |
Zuhr | 12:05 PM |
Asr | 3:07 PM |
Magrib | 5:28 PM |
Isha | 6:48 PM |