- প্রচ্ছদ
-
- প্রবাসের সংবাদ
- বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং সুচিকিৎসার দাবীতে অস্ট্রেলিয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিস পেইনের বরাবর স্মারক লিপি প্রদান।
বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং সুচিকিৎসার দাবীতে অস্ট্রেলিয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিস পেইনের বরাবর স্মারক লিপি প্রদান।
প্রকাশ: ৬ ডিসেম্বর, ২০২১ ৯:৫০ পূর্বাহ্ণ
সিডনি রিপোর্টারঃ-বিএনপির চেয়ারপারসন দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং সুচিকিৎসার দাবীতে মহামান্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিনেটর মারিস পেইনের বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করেন স্বাধীনতা সূবর্ণজয়ন্তী কমিটি এবং বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার নেতৃবৃন্দ।
০২ রা ডিসেম্বর ২০২১ শনিবার স্বাধীনতা সূবর্ণজয়ন্তী কমিটি, বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার আহ্ববায়ক(ভারপ্রাপ্ত) মোঃ-মোসলেহ উদ্দিন হাওলাদার আরিফ জানান কভিড-১৯ এর কারনে সরাসরি বৈঠক করতে না পারায় চিঠি এবং ইমেইলের মাধ্যমে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পাতানো সাজা বাতিল করে তাকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য গণতান্ত্রীক দেশ হিসাবে অস্ট্রেলিয়া সরকারের সহযোগিতা ও হস্তক্ষেপ কামনা করে দুটি আলাদা স্মারকলিপি পাঠানো হয়।
স্বাধীনতা সূবর্ণজয়ন্তী কমিটির প্রধান উপদেষ্টা এবং বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি মোঃদেলওয়ার হোসেন, স্মারক লিপিতে আর ও জানান, ২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি সাজানো মামলায় ফরমায়েসী রায়ের মাধ্যমে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দী করা হয় ।তাকে যখন কারাগারে নেওয়া হয় তখন তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলেন,যা দেশবাসী, গণমাধ্যমে অবলোকন করেছেন।দীর্ঘ কারাবাসে তিনি ক্রমান্বয়ে অসুস্থ হতে থাকেন । কারাগারে নানাবিধ জটিল রোগে ভুগতে থাকলেও সরকার তাতে কর্নপাত করেন নি ।দল ও পরিবারের পক্ষ থেকে বারবার তার সুচিকিৎসার জন্য দাবি করা হলেও সরকার অত্যন্ত নির্দয়ভাবে এ বিষয়ে সম্পূর্ণরুপে নির্বিকার থাকে ।২০২০ সালের মার্চে বাংলাদেশে করোনা শুরু হলে বেগম জিয়াকে কারাগার থেকে নিজ বাসভবনে থাকতে দেওয়া হলেও সরকার এটিকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি বলে অভিহিত করেছে।নিজ বাসভবনে অবস্থান করলেও মূলত: বেগম খালেদা জিয়া বন্দী এবং তার সকল মৌলিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে ।
স্বাধীনতা সূবর্ণজয়ন্তী কমিটি, বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার ১ম যুগ্ম আহ্ববায়ক কুদরত উল্লাহ লিটন জানান, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া করোনায় গুরুতরভাবে আক্রান্ত হন।করোনা থেকে সুস্হ হয়ে উঠলেও পোস্ট কোভিট জটিলতা এবং এর উপর নানাবিধ জটিল রোগ তাঁর জীবনকে বিপন্ন করে তুলেছে। চিকিৎসাধীন বেগম খালেদা জিয়ার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডও তাঁকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য সুপারিশ করেছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য দাবি জানিয়েছেন শুধুমাত্র বিএনপি‘ই নয় দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ ও আইনবিশেষজ্ঞগনণ।আজকে দেশের অপামর জনসাধারণ দেশনেত্রীর মুক্তি এবং বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে সোচ্চার।
স্বাধীনতা সূবর্ণজয়ন্তী কমিটি, বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার যুগ্ম আহ্ববায়ক মোবারক হোসেন জানান,বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দেশের প্রচলিত আইনে কোন বাঁধা নেইবলে আইন বিশেষজ্ঞরা অভিমত দিয়েছেন। কিন্তু কর্তৃত্ববাদী দুর্বিনীত অমানবিক সিদ্ধান্তে জীবন-মরনের সন্ধিক্ষণে দেমাতা বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার সুযোগ না দেওয়া তাঁর মৌলিক অধিকার হরণ।সচেতন দেশবাসী এই নির্দয় সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানায় ।
দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য তাঁকে অবিলম্বে বিদেশ পাঠানো না হলে এবং এর ফলে কোন অনাকাংক্ষিত ঘটনা ঘটলে সরকার এ দায় এড়াতে পারবে না।জনগন মনে করে সরকার নিজেদের সীমাহীন ব্যর্থতা আড়াল খরার জন্য দেশকে অরাজক পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিতেই জনগণের অবিসংবাদিত নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি মনুষ্যত্বহীন আচরণ করছে।
Please follow and like us:
20 20