আজ শুক্রবার | ২৬শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১০ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |১০ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | বিকাল ৩:০৭
বিডি দিনকাল :- মঙ্গলবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন , মহাসমাবেশ থেকে আজ পর্যন্ত সকল হত্যাকাণ্ড সরকারের একটি মাস্টার প্ল্যান
রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকার পতনের এক দফা দাবি মহাসমাবেশে হামলা ও দলের মহাসচিবকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে বিএনপির ডাকা ৭২ ঘন্টা অবরোধের আজ প্রথম দিন। শান্তিপূর্ণ এই অবরোধ কর্মসূচিতে উন্মত্ত হায়েনার মতো হামলা চালিয়েছে পুলিশ। পুলিশ-কর্তৃক কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে ছাত্রদল নেতা রেফায়েত উল্লাহ ও কৃষকদল নেতা বিল্লাল মিয়া এবং সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার যুবদল নেতা দিলু আহমেদ জিলুকে গাড়ী চাপা দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। আসলে জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সুষ্ঠু নির্বাচন, নির্বাচনী প্রক্রিয়া, স্বচ্ছ ভোট, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ইত্যাদি শব্দগুলোতেই আঁতকে উঠে বিরোধীদলকে বিনাশ করতে অস্ত্র নিয়ে নেমেছে সরকারের বাহিনী। ২৮শে অক্টোবর থেকে আজ পর্যন্ত সকল হত্যাকাণ্ড সরকারের মাস্টার প্ল্যান।
তিনি বলেন, গায়ের জোরে চলছে আওয়ামী দুঃশাসন। তাদের অনাচারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করা মানেই রাষ্ট্রদ্রোহ। এমনই একটি পরিস্থিতি তৈরি করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিরোধী দলের সমালোচনায় ভাষা প্রয়োগ করা মানেই ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।
বিএনপিসহ বিরোধী দলের সভা-সমাবেশে তাই বন্দুকের নল তাক করা থাকে। অংশগ্রহণকারীদের ভাগ্যে থাকে আটক বা কারাবরণের জুলুম। ২৮শে বিস্তৃত পরিসর জুড়ে দেশবাসী মানুষের মিছিল প্রত্যক্ষ করেছে এক মহাসমুদ্র। এই দৃশ্য সহ্য করতে পারেনি সরকারের পেটোয়া বাহিনীরা। সমাবেশের মানুষদের লক্ষ্য করে খই ফোটানোর মতো বন্দুকের গুলি ছুঁড়তে থাকে। নিহত, আহত আর গ্রেপ্তারের নির্বিচারে জুলুমের নারকীয় দৃশ্যের সূচনা হয়। রক্তরঞ্জিত করা হয় সমগ্র সমাবেশকে।
রিজভী বলেন, বিএনপির চলমান শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে অস্ত্রসজ্জিত পুলিশ যে তাণ্ডবলীলা চালাচ্ছে, এটি কোনো সংঘর্ষ নয়, সুস্পষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘন। লক্ষ-লক্ষ গণতন্ত্রকামী মানুষের বিরুদ্ধে মুষ্টিমেয় কিছু অস্ত্রধারীর এই মানবাধিকার লঙ্ঘন দেশে-বিদেশে ধিক্কৃত। বিএনপির নিরস্ত্র নেতা-কর্মীদের উপর পরিকল্পিত আক্রমণ চালাচ্ছে পুলিশ-র্যাব-বিজিবির একটি উচ্ছিষ্টভোগী অংশ। যৌথভাবে আওয়ামী লীগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চালিয়ে যাচ্ছে আগুন সন্ত্রাস, পুড়াচ্ছে একের পর এক যানবাহন ও স্থাপনা। তাদের লক্ষ্য সবার কাছে পরিষ্কার, নিজেরা নানা দেশবিরোধী অঘটন ঘটিয়ে তার বেনিফিশিয়ারি হিসেবে বিএনপির সকল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলার প্রহসনমূলক গ্রেপ্তার ও রায় নিশ্চিত করা।
এসময় ২৮শে অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ, ২৯ অক্টোবর হরতাল এবং ৩১ অক্টোবরের অবরোধকে কেন্দ্র করে মৃত্যু, গ্রেপ্তার, মামলা এবং আহত নেতাকর্মীদের তালিকা তুলে ধরেন তিনি। রিজভী জানান, এসময়ে ২২৮০ জনের অধীন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, মামলা দেয়া হয়েছে ৪৬ টি, আহত হয়েছে ৩৩৫০ জন এবং মারা গেছেন ৮ জন (সাংবাদিক ১ জন)।
এছাড়া মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে গত ৬ দিনে মোট গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৪০০০ জনের অধিক নেতাকর্মী এবং মিথ্যা মামলা হয়েছে ৭১টি বলেও জানান রিজভী।
Dhaka, Bangladesh শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:23 AM |
Sunrise | 6:43 AM |
Zuhr | 12:06 PM |
Asr | 3:09 PM |
Magrib | 5:29 PM |
Isha | 6:49 PM |