এম, এ কাশেম, চট্টগ্রাম থেকে : চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ গতকাল নগরীতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বিজয় র্যালি করেছে। দুপুরের পর থেকে নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ড এবং থানা থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি তাদের সহযোগী সংগঠনের সকল স্তরের নেতাকর্মী সুসজ্জিত ব্যান্ড দলসহ নানারকম ব্যানার–ফেস্টুন নিয়ে উচ্ছ্বাসে, আনন্দে বিজয় র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের নেতৃত্বে র্যালিটি লালদীঘির মাঠ হয়ে বক্সিরহাট, আন্দরকিল্লা, সিটি কর্পোরেশন চত্বর, মোমিন রোড, চেরাগী পাড় মোড় ঘুরে প্রেস ক্লাবে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে আ জ ম নাছির উদ্দীন সকলকে সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে র্যালির সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
বিজয় র্যালির আগে সমাবেশ গতকাল বিকালে জেলা পরিষদ সুপার মার্কেট চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়। এতে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বিজয়ের মাসে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে উপলক্ষ করে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনী হাওয়া নৌকার পালে লেগেছে। এই নৌকা উজান ঠেলে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে এবং শেখ হাসিনার কাঙ্ক্ষিত স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণের প্রত্যয়ে জাতিকে আরেক ধাপ এগিয়ে নেবে।
সমাবেশে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, বিএনপি নামক ধান্দাবাজদের দলটি এখন গুপ্ত সংগঠনে পরিণত হয়েছে। হরতাল ও অবরোধের নামে গুপ্তঘাতক বিএনপি চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে পরিবহন, ট্রেন ও সরকারি সম্পত্তিতে আগুন দিচ্ছে। এমনকি আগুনে পুড়িয়ে মানুষ হত্যাও শুরু করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপির শেষ রক্ষা হবে না। বিএনপিওয়ালাদের বাড়িঘর, দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম–ঠিকানার তালিকা আমরা তৈরি করে রেখেছি। তারা যদি আগুন সন্ত্রাস চলমান রাখে তাহলে তাদের বাড়িঘর, দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে আমরা টার্গেট করতে বাধ্য হব। বিএনপির গুপ্ত ঘাতক যারা অগ্নিসন্ত্রাস করছে, পাড়া–মহল্লায় তল্লাশি চালিয়ে তাদের খুঁজে বের করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করা হবে।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন ও আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ এমপি, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শফিকুল ইসলাম ফারুক, হাসান মাহমুদ শমসের, এড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, হাজী মো. হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মানস রক্ষিত, দিদারুল আলম চৌধুরী, মো. আবু তাহের, মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা মহিউদ্দিন, শহিদুল আলম, জহরলাল হাজারী, আবুল মনসুর, সৈয়দ আমিনুল হক, ইঞ্জিনিয়ার বিজয় কিষাণ চৌধুরী, মহব্বত আলী খান, বখতিয়ার উদ্দিন খান, হাজী বেলাল আহমেদ, মহানগর যুবলীগের সভাপতি মাহবুবুল হক সুমন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দেবাশীষ নাথ দেবু, সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান, কাউন্সিলর নীলু নাগ, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহম্মেদ ইমু, সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর প্রমুখ।