আজ বৃহস্পতিবার | ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | সন্ধ্যা ৭:২৬
ডেস্ক : ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস কোম্পানি ‘নগদ’ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি)-এর মাধ্যমে ৫০০ কোটি টাকার জিরো কুপন বন্ড ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে। পাঁচ বছরের মেয়াদান্তে যার ফেসভ্যালু হবে ৭৫০ কোটি টাকা। দেশের যে কোনো মোবাইল বা ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস কোম্পানির জন্য এটিই প্রথম কোনো বন্ড ছাড়ার ঘটনা।
ঘোষণার পর থেকে ‘নগদ’-এর বন্ডে বিনিয়োগ করতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। ইতোমধ্যে কিউ গ্লোবাল লি. নামে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি ডিজিটাল কোম্পানি এই বন্ডে ৩০ মিলিয়ন সমপরিমাণ বাংলাদেশি টাকা বিনিয়োগ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
রিভারস্টোন ক্যাপিটাল লিমিটেড বন্ডটির অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করছে। একই সঙ্গে গ্রিন ডেল্টা ক্যাপিটাল লিমিটেড ট্রাস্টি’র দায়িত্ব পালন করছে।বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতবর্ধনশীল মোবাইল লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে এগিয়ে চলা ‘নগদ’ সোমবার (২৬ জুলাই) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আয়োজিত বাংলাদেশে বিনিয়োগ সংশ্লিষ্ট এক রোডশোতে এ ঘোষণা দেয়। ‘নগদ’ এই রোডশোর অন্যতম অংশীদার।
বন্ডের মাধ্যমে সংগ্রহ করা অর্থ ‘নগদ’ তাদের ভবিষ্যতের প্রয়োজনীয় ডিজিটাল অবকাঠামো নির্মাণ, নেটওয়ার্ক তৈরি, কার্যকরী প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলা, আইটি সরঞ্জাম সংগ্রহ, বিপণন ও প্রচারের কাজে খরচ করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার উদ্যোগকে দ্রুতগতিতে এগিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে এসব অবকাঠামো নির্মাণ একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।
ইতোমধ্যে বন্ডের বিষয়ে বিএসইসি’র কাছে প্রাথমিক অনুমোদন পেয়েছে দুই বছরের মধ্যে বাজারে সাড়া ফেলা ডিএফএস অপারেটর ‘নগদ’।
এ বিষয়ে ‘নগদ’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কো-ফাউন্ডার তানভীর এ মিশুক বলেন, বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে বন্ডের বাজারও প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে। নতুন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আমরা বন্ডকে আরও একটি উৎস হিসেবে বিবেচনা করছি। তাছাড়া ‘নগদ’ সব সময়ই উদ্ভাবনী কোম্পানি হিসেবে অগ্রযাত্রা ধরে রেখেছে এবং সে কারণেই আমরা প্রথাগত অর্থায়নের চেয়ে বন্ডের বাজারকে বেশি পছন্দ করছি।
তানভীর এ মিশুক আরও বলেন, একটি দ্রুত বর্ধনশীল কোম্পানি হিসেবে মাত্র দুই বছরের মধ্যে ‘নগদ’ ৫ কোটি ৩০ লাখ গ্রাহক পেয়েছে যা অত্যন্ত বড় এক অর্জন। অগ্রগতির এই গতি ধরে রাখতে, নতুন ডিজিটাল ইকোসিস্টেম এবং অবকাঠামো তৈরি করা অপরিহার্য। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সেবা হিসেবে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ ভিশন বাস্তবায়নে আমরা আমাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এই বিনিয়োগ সেটিকে আরও অগ্রগতি দেবে এবং আরও বেশি মানুষকে ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দিতে সহায়তা করবে। শেষ পর্যন্ত এটি ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জনে ভূমিকা রাখবে।
ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ২০১৯ সালের ২৬ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘নগদ’ এর উদ্বোধন করেন। কোভিডের এই জরুরি সময়ে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বিতরণের ক্ষেত্রে চেঞ্জমেকারের ভূমিকা পালন করেছে ‘নগদ’।
মূলত বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিস্থিতির ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরার উদ্দেশ্য নিয়ে বিএসইসি বিনিয়োগ বিষয়ক এই রোডশো’র আয়োজন করেছে, যেখানে বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিনিধি ছাড়াও প্রসিদ্ধ ব্যবসায়ী এবং বিনিয়োগকারীরা অংশ নিচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের চারটি শহর–নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন ডিসি, লস অ্যাঞ্জেলেস (ক্যালিফোর্নিয়া) এবং সিলিকন ভ্যালি (স্যান্টা ক্লারা)-তে আগামী ২ আগস্ট পর্যন্ত চারটি রোডশো অনুষ্ঠিত হবে।
Dhaka, Bangladesh বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:18 AM |
Sunrise | 6:39 AM |
Zuhr | 11:59 AM |
Asr | 2:59 PM |
Magrib | 5:20 PM |
Isha | 6:40 PM |