আজ সোমবার | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | সন্ধ্যা ৭:৩৭
এম, এ কাশেম : বিএনপি’র ৪৩তম প্রতিষ্ঠা বাষির্কী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দল চট্টগ্রামের উদ্যোগে নগরীর ষোলশহর ২নং গেইটস্থ বিপ্লব উদ্যানে সাবেক সেনা বাহিনী প্রধান ও প্রেসিডেন্ট শহীদ জিয়াউর রহমান’র ‘স্মৃতিফলক’ এ পুষ্পমাল্য অর্পণ ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ’তে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলে-বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক ডাঃ শাহাদাত হোসেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘মহান স্বাধীনতা’র ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান একজন রনাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা। তার চাক্ষুষ্য প্রমাণ এই বিপ্লব উদ্যান। এখান থেকে-ই তিনি তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন এবং এই বন্দর নগরী চট্টগ্রাম এর আনাচে কানাচে শহীদ ‘জিয়া’র বিচরন ছিলো যুদ্ধকালীন অবস্থায় অতিক লক্ষরিয়। শুধু তা-ই নয়, এখান থেকে যুদ্ধযাত্রা শুরু করে এখান থেকে-ই তিনি দেশ কে স্বাধিন করে স্বাধিনতার যে ঘোষণা দিয়েছিলেন তার চাক্ষুষ প্রমাণ এই চট্টলা‘র মানুষ। তিনি আরো বরেন, শহূীদ ‘জিয়া’ শুধু যুদ্ধ-ই করেননি, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তৎকালীন দেশের ক্রান্তিলগ্নে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে এদেশের মানুষকে স্বাধিন ভাবে বেঁচে ধাকার অনুপ্রেরণা ও দিয়েছেন। আর সেই শহীদ জিয়া’র দেশের জন্য নিবেদিত কর্ম ফল’র কারণেই সারা বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশ নামক একটি দেশকে চিনে এবং জানতে পারার সুযোগ পেয়েছে। এবঙ তার কারনে-ই সারা বিশ্বে আজ বাংলাদেশ নামক দেশটি পরিচিতি লাভ করতে পেরেছে। বিএনপি নেতা ডাঃ শাহাদাত অত্যন্ত ঘুণা ভরে উল্লেখ করেন, সেই মহান ‘স্বাধীনতা’র ঘোষক শহীদ জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে বিনা ভোটের সরকার তথা বর্তমান অবৈধ সরকার অগণতান্ত্রিক পন্থায় মানুষের সমর্থন ছাড়া ক্ষমতা দখল করে থাকার কারণে জিয়া’র নাম কে পর্যন্ত আতঙ্কবোধ করে যাচ্ছে।যার জ্বলন্ত দৃষ্ঠান্ত, সরকার প্রধান শহদি জিয়া সম্পর্কে একেক সময় একেক ধরণের মিথ্যা ও আজগুবি কথা বার্তা বলে দেশের মানুষ কে বিভ্রান্ত করার অ-প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আজকে স্কুল, কলেজ সজ সকল ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে এদেশের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে শিক্ষার মনোনিবেশ থেকে অন্যদিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য ডিজিটাল শিক্ষার নামে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে মোবাইল তুলে দিয়ে অনলাইন গেইমের মতো মরণ ছোবল জুয়া’র নেশায় াাসক্ত করে তাদের নৈতিক অবক্ষয় ঘটিয়ে যাচ্ছে। এ ভাবে অগণতান্ত্রিক সরকারের হাতে দেশ চলতে থাকলে অদুর ভবিৎষতে মেধাশূন্য জাতিতে পরিণত হবে গোটা দেশ। দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়া’র আমলে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার মান বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে ডাঃ শাহাদাত বলেন, জন্য দেশে জাতীয় বাজেটে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছিলো শিক্ষা ক্ষেত্রে। নকলমুক্ত শিক্ষাঙ্গন জাতিকে উপহার দিয়ে উচ্চ শিক্ষায় সারা বিশ্বের কাছে সু’শিক্ষিত জাতিতে পরিচিতি লাভ করিয়েছিলেন। আর বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার তার বিপরীতে গিয়ে শিক্ষাঙ্গনকে ধ্বংস করার জন্য ছাত্রদের হাতে কলমের পরিবর্তে অস্ত্র তুলে দিচ্ছে। স্বাস্থ্যখাতে আওয়ামী দুর্নীতি, দুর্বীতায়নের কারণে মানুষ বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে। তারা শুধু জিয়াউর রহমানের নাম জাতির কাছ থেকে মুছে দেয়ার জন্য যে অর্থ ব্যয় করছে তা যদি ‘করোনা’কালীন সময়ে মানুষের সুচিকিৎসার জন্য সঠিক পথে ব্যয় করতো তাহলে মানুষরা বিনা চিকিৎসায় মারা যেতো না। আজকের চট্টগ্রাম শহর জনপ্রতিনিধিত্বহীন হয়ে পড়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যার কারণে স্বল্প বৃষ্টিতে শহর ডুবে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ মারা যাচ্ছে চোখের সামনে। এই লজ্জা আওয়ামী লীগ কোথায় লুকাবে বলে তিনি প্রশ্ন রাখেন।
জনগণের সামনে আসার সৎ সাহস তাদের নেই বলেই জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে যাওয়া হচ্ছে। এবং সময় সময় একেকটি কাল্পনিক ঘটনার জন্ম দেয়ার ব্যর্থ প্রচেষ্টায় মেতে রয়েছে। এটা শুধু তাদের অবৈধ ক্ষমতায় টিকে থাকার একটি অপকৌশল মাত্র। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর আজকের এইদিনে তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমান জাতীয়তাবাদী দল নামক এই দলটি প্রতিষ্ঠা করেন। এদেশের একটি দুঃসময়ে মানুষের কল্যানর্থে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা এই মৌলিক অধিকারগুলোর পূর্ণের লক্ষ্যে ১৯ দফা কর্মসূচি নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন এই রাজনৈতিক দলটি। প্রতিটি দুর্যোগ মুহুর্তে এই দলটি নের্তৃত্ব দিয়েছিলেন এবং এখন ও যে কোনো দুর্বাবস্থায় মানুষের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন এ দলের নিবেদিত প্রাণ নেতা-কর্মীরা। তাই সবাইকে সোচ্চার হয়ে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামে অংশগ্রহণ করার জন্য উদ্বাত্ব আহ্বান জানান তিনি। সাংস্কৃতিক দল চট্টগ্রাম মহানগরের সহ-সভাপতি সাবেক ভিপি এস.এম সাইফুল আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়।িএতে আরো বক্তব্য রাখেন মহিলা দলের মহানগর সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি, মহানগর বিএনপি’র সাবেক দপ্তর সম্পাদক ইদ্রিস আলী, সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মুছা, মহানগর বিএনপি নেতা আকতার খান, মহানগর যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুন হাসান, মহানগর মৎস্যজীবী দলের সভাপতি হাজী নুরুল হক, পাহাড়তলী ওয়ার্ড বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব, সাংস্কৃতিক দলের সহ-সভাপতি হাফিজুল ইসলাম মজুমদার মিলন, যুগ্ম সম্পাদক কবি ওসমান জাহাঙ্গীর, মোঃ জানে আলম, বিএনপি নেতা আবুল খায়ের মেম্বার, মোঃ ইউসুফ, মোঃ রাজু প্রমুখ।
Dhaka, Bangladesh সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:58 AM |
Asr | 2:58 PM |
Magrib | 5:18 PM |
Isha | 6:39 PM |