আজ বৃহস্পতিবার | ২৫শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৯ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |৯ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | দুপুর ২:৪৭
বিডি দিনকাল ডেস্ক :- করোনা আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আগামী ২৪ ঘণ্টায় কোন জ্বর না আসলে অনেকটা আশঙ্কামুক্ত হবেন বলে আবারও জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন ।
আজ মঙ্গলবার রাত ১১ টায় রুটিন চেকআপের অংশ হিসেবে চেয়ারপারসনকে দেখে এসে সাংবাদিকদের জানান ।এই সময় উপস্থিত ছিলেন মিডিয়া উইংসের সদস্য শায়রুল কবির খান।
গতকাল সোমবার এর মতো আজ মঙ্গলবার রাত ১১ টা পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়ার কোন জ্বর আসেনি। এটা খুবই ভালো লক্ষণ।বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসভবন ফিরোজায় খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে এসব কথা বলেন ডাঃ এজেডএম জাহিদ হোসেন ।
রাত ১১ টায় খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা দেখে ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন,আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়ার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ১৩ তম দিন। এই সময়টা করোনা রোগীর জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ বা বিপজ্জনক বলা হয়। এখন খালেদা জিয়া করোনার বিপদজ্জনক সময় পার করছেন। তারপরও তার যে শরীরের অবস্থা তা মোটামুটি খুবই ভালো। খালেদা জিয়া মানসিকভাবে খুবই শক্ত আছেন এবং তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলে তিনি বলেন।
এই চিকিৎসক জানান, আজ সারাদিন তার কোন জ্বর নেই। আগামীকাল দুপুর পর্যন্ত এই অবস্থা চললে একটা ভালো খবর পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ। আমরা একটা নিরাপদ জোনে চলে আসছি। আমরা তার শ্বাসপ্রশ্বাস ব্যায়ামের পরামর্শ দিয়েছি। তার ব্লাড সুগারসহ অন্যান্য যেসব প্যারামিটার রয়েছে সেগুলো ঠিক আছে। তার কাশি নেই, গলা ব্যাথা নেই। তার সবকিছু এখন পর্যন্ত স্থিতিশীল আছে।এমন কি জ্বরও আসেনাই ।এই অবস্থায় আগামীকাল ১৪ তম দিন পার হয় তাহলে ইনশাআল্লাহ ভালো একটা ফল পাওয়া যাবে ,এবং পরবর্তীতে জানাতে পারবো ।
এদিকে ডাঃ জাহিদ জানান ,লন্ডন থেকে বেগম জিয়ার পুত্র বধূ ডাঃ জোবায়দা রহমান সার্বক্ষণিক দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন ।সেই সাথে খবরা খবর রাখছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারমেন তারেক রহমান সহ দলের মহাসচিব ও দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দরা ।
গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা পজেটিভ শনাক্ত হওয়ার পর প্রখ্যাত ‘বক্ষব্যাধি ও মেডিসিন’ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এফএম সিদ্দিকীরে নেতৃত্বে ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের টিম গুলশানের বাসায় তার চিকিৎসা শুরু করেন।
‘ফিরোজা’র বাসায় বিএনপি চেয়ারপারসন ছাড়াও আরো ৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের চিকিৎসাও সেখানে চলছে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় দন্ডিত হলে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যেতে হয়েছে।
দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর পরিবারের আবেদনে সরকার গত বছরের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে তাকে ছয় মাসের জন্য সাময়িক মুক্তি দেয়।পরে ওই বছরের সেপ্টেম্বরে তার মুক্তির সময় আরও ছয় মাস বাড়ায় সরকার। এ বছরের মার্চে দ্বিতীয় বারের মতো ছয় মাসের মেয়াদ বাড়ানো হয়।
মুক্তি পাওয়ার পর খালেদা জিয়া গুলশানে নিজের ভাড়া বাসা ফিরোজায় থেকে ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার সঙ্গে বাইরের কারও যোগাযোগ সীমিত।
ডাঃ জাহিদ আরো জানান ,বেগম জিয়া তার সুস্থতার জন্য দেশ বাসীর কাছ থেকে দোয়া চেয়েছেন ।সেই সাথে তিনিজানান বেগম জিয়া আগের চেয়েও আজ অনেক সুস্থ বোধ করতেছেন ।সাবিক ভাবে চলা ফেরা করছেন ।খাবারও খেতে পারছেন নিজের মতো করে ।
Dhaka, Bangladesh বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:23 AM |
Sunrise | 6:42 AM |
Zuhr | 12:06 PM |
Asr | 3:08 PM |
Magrib | 5:29 PM |
Isha | 6:49 PM |