আজ রবিবার | ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২০শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১০:৫৩
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় অটোরিকশায় ফেলে যাওয়া সাড়ে ১৪ লাখ টাকা মালিকের কাছে ফেরত দিলেন অটোরিকশা চালক মনির হোসেন। রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে আখাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাসেম ভূঁইয়া নিজ অফিসে প্রকৃত মালিক রহিমা বেগমের কাছে টাকাগুলো তুলে দেন।
অটোরিকশা চালক মনির হোসেনের বাড়ি সদর উপজেলার রামরাইল গ্রামে। রহিমা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চিনাইর গ্রামের মরহুম এনামুল হোসেনের স্ত্রী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রহিমা বেগমসহ চার জন গত বৃহস্পতিবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার কাউতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে মনির হোসেনের সিএনজিচালিত অটোরিকশায় চিনাইর গ্রামে নিজ বাড়িতে যান। সে সময় তাদের সঙ্গে একটি ব্যাগে সাড়ে ১৪ লাখ টাকা, জমির দলিল ও ব্যাংকের চেক বই ছিল। রহিমা বেগম অটোরিকশা থেকে নামার সময় ভুলে তার ব্যাগটি অটোরিকশায় রেখে যান।
গত শনিবার সকালে মনির হোসেন অটোরিকশার সিটের পেছনে একটি ব্যাগ দেখতে পান। পরে তিনি বিষয়টি তার ফুফা আখাউড়া উপজেলার বনগজ গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা সানু মিয়াকে অবহিত করেন। সানু মিয়া কাগজপত্র ঘেঁটে একটি মোবাইল নম্বর পেয়ে যোগাযোগ করে জানতে পারেন টাকাগুলো চিনাইর গ্রামের রহিমা বেগমের। পরে সানু মিয়া বিষয়টি তার আত্মীয় আখাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাসেম ভূঁইয়াকে অবহিত করেন। উপজেলা চেয়ারম্যান রহিমা বেগমের হাতে টাকাগুলো তুলে দেন। টাকা পেয়ে রহিমা বেগম স্বস্তি প্রকাশ করে অটোরিকশা চালক মনির হোসেনকে ধন্যবাদ জানান।
এ ব্যাপারে মনির হোসেন বলেন, ‘ঘটনার দিন যাত্রী নামিয়ে আমি বাড়িতে চলে যাই। পরদিন শুক্রবার একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে চলে যাই। শনিবার সকালে অটোরিকশা পরিষ্কার করার সময় টাকার ব্যাগটি পাই। টাকাগুলো মালিককে ফিরিয়ে দিতে পেরে আমি খুব খুশি।’
এ ব্যাপারে আখাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, ‘রহিমা বেগম ভুলে সাড়ে ১৪ লাখ টাকা অটোরিকশায় ফেলে যান। চালক মনির হোসেন বিষয়টি জানালে আমি প্রকৃত মালিকের কাছে টাকাগুলো তুলে দিই।’ মানবিক বিবেক জাগ্রত আছে বলেই এমনটি সম্ভব হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
Dhaka, Bangladesh রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:16 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:57 AM |
Asr | 2:57 PM |
Magrib | 5:17 PM |
Isha | 6:38 PM |