আজ সোমবার | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ৯:০০
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সীমা আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূর লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে গেছে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন। শুক্রবার রাতে শ্বশুর বাড়ির লোকজন ওই গৃহবধূর লাশ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রেখে কৌশলে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান।
গৃহবধূ সীমা আক্তার জেলার আখাউড়া উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের কন্যা ও বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের নলগড়িয়া গ্রামের আবুল হাসানের স্ত্রী।
সীমা আক্তারের স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, ৩ বছর আগে আবুল হাসানের সাথে বিয়ে হয় সীমার। বিয়ের পর থেকে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে কলহ চলে আসছিল। শুক্রবার দুপুরে স্বামী আবুল হাসানের সাথে সীমার ঝগড়া হলে আবুল হাসান সীমাকে কয়েকটি চড়-থাপ্পর মেরে ঘর থেকে বের হয়ে যান। এতে সীমা অভিমান করে সন্ধ্যায় ঘরে থাকা বিষপান করে।
স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে দ্রুত উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আরিফুজ্জামান হিমেল তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপরই আবুল হাসান ও পরিবারের লোকজন সীমার লাশ হাসপাতালে রেখে কৌশলে পালিয়ে যান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক আরিফুজ্জামান হিমেল বলেন, গৃহবধূকে মৃত অবস্থাতেই হাসপাতালে আনা হয়েছিল। আমরা তাকে মৃত ঘোষণার পর তার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়। গৃহবধূর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর্জা মোহাম্মদ হাসান বলেন, সীমা আক্তারকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে তার মা রীনা বেগম বাদী হয়ে শনিবার সকালে স্বামীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ সীমার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছেন। ঘটনার পর থেকেই স্বামীসহ অপর আসামিরা পলাতক রয়েছেন।
Dhaka, Bangladesh সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:58 AM |
Asr | 2:58 PM |
Magrib | 5:18 PM |
Isha | 6:39 PM |