আজ বুধবার | ২৪শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৮ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |৮ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১১:৫৩
সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে আমাদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি না মানায় করোনা সংক্রমণ ঝুঁকির মধ্যে পড়েছেন বন্দর সংশ্লিষ্টসহ স্থানীয়রা। প্রতিদিন ভারত থেকে আসা শতশত পণ্যবাহী ট্রাকের চালক ও হেলপার বন্দরের অভ্যন্তরে ঢুকে যথেচ্ছা ঘুরাঘুরি করছেন। এতে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী।
জানা গেছে, দেশের অন্যান্য বন্দরের মতো সোমবার থেকে ১৪ দিনের জন্য ভোমরা স্থলবন্দরেও ইমিগ্রেশন যাত্রী চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে স্বভাবিক চলছে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। ভারত থেকে প্রতিদিন বিভিন্ন পণ্য নিয়ে তিন শতাধিক ট্রাক ঢুকছে বাংলাদেশে। ভারত থেকে আসা এসব ট্রাক কোনো স্যানিটাইজ করা হচ্ছে না। এমনকি ট্রাকের চালক ও হেলপারদের কোনো ধরণের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে। এ সমস্ত চালক-হেলপাররা বন্দরের মধ্যে ট্রাক রেখে অবাধে ঘুরছেন যত্রতত্র। খাওয়া দাওয়া করছেন স্থানীয় হোটেলগুলোতে। আর এসব ট্রাক থেকে কোনো ধরণের স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ না করেই মালামাল নামাচ্ছেন স্থানীয় শ্রমিকরা। ফলে করোনা ঝুঁকির মধ্যে পড়ছেন শ্রমিকসহ ব্যবসায়ীরা।
এ বিষয়ে ভোমরা স্থলবন্দরের মেডিকেল ইনচার্জ আব্দুস শহিদ জানান, স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ভোমরা স্থলবন্দরে একটি মেডিকেল টিম নিয়োজিত আছেন। তবে ব্যবস্থাপনা ঘাটতির কারণে ভারত থেকে আসা ট্রাক চালক ও হেলপারদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না।
বন্দরের ইমিগ্রেশনের ইনচার্জ বিশ্বজিত সরকার জানান, ইমিগ্রেশনের মধ্যে একটি থার্মাল স্ক্যনার রয়েছে। যার মধ্যে দিয়ে কেউ গেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার শরীরের তাপমাত্রা দেখা যায়। সেটি মূলত: পাসপোর্ট যাত্রীদের জন্য ব্যবহার করা হয়। কিন্তু বর্তমানে পাসপোর্ট যাত্রী আসা যাওয়া বন্ধ থাকায় থার্মাল স্ক্যনারটি এখন ব্যবহার হচ্ছে না।
ভোমরা স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক মনিরুল ইসলাম জানান, অচিরেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনা করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
কাস্টমসের সুপার আকবর আলী জানান, রোববার ভারত থেকে বিভিন্ন পণ্য নিয়ে ৩৪১টি ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এসব ট্রাকের মালামাল নামিয়ে দিয়ে তাদের অধিকাংশ আবার ফিরেও যাচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার বিষয়টি আমাদের দেখভাল করার দায়িত্ব নয়।
ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ অ্যাজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আরাফাত হোসেন জানান, জিরো পয়েন্টে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে আমাদের কর্মীদেরকে হাত ধোয়া এবং মাস্ক পরার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। ভারতীয় চালক ও হেলপারের বিষয়টি সবসময় দেখা সম্ভব হয় না।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়েত জানান, ভারতীয় চালক বা হেলপারদের এখন থেকে একটি নিদিষ্ট স্থানে রেখে সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য তিনি পরামর্শ দিয়েছেন। তাদের খাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট একটি হোটেল বা স্থান ঠিক করা উচিত। একইসঙ্গে তারা যেন বাইরে যেতে না পারেন সে বিষয়ে কঠোর নজরদারী করা প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল জানান, বিষয়টি নিয়ে সোমবার জরুরিভাবে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে একটি জুম মিটিংয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে ভারত থেকে আসা ট্রাকচালক ও হেলপারদের স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
Dhaka, Bangladesh বুধবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:22 AM |
Sunrise | 6:42 AM |
Zuhr | 12:05 PM |
Asr | 3:07 PM |
Magrib | 5:28 PM |
Isha | 6:48 PM |