- প্রচ্ছদ
-
- প্রধান খবর
- মওদুদ আহম্মদের পর আজ না ফেরার দেশে চলে গেলেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবঃ) রুহুল আলম চৌধুরী
মওদুদ আহম্মদের পর আজ না ফেরার দেশে চলে গেলেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবঃ) রুহুল আলম চৌধুরী
বাদ আসর নামাজের জানাজা শেষে কোভিড-১৯ নিয়ম অনুযায়ী বনানী সামরিক করব স্থানে দাফন করার করা হবে
প্রকাশ: ২০ মার্চ, ২০২১ ৬:৫৯ পূর্বাহ্ণ
বিডি দিনকাল ডেস্ক :- বিএনপি ভাইস-চেয়ারম্যান ও সাবেক তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অবঃ) রুহুল আলম চৌধুরী আজ সকাল ১১ টা ১৫ মিনিটে সিএম এইচ’এ ৭৩ বছর বয়সে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেউন ।
তাৎক্ষণিক তার মৃত্যুতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গভীর শোক জানিয়েছেন,সেই সাথে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন ।
আজ বাদ আসর নামাজের জানাজা শেষে কোভিড-১৯ নিয়ম অনুযায়ী বনানী সামরিক করব স্থানে দাফন করার করা হবে।
মৃত্যু কালে স্ত্রী এক ছেলে ও ছেলের বউ এক মেয়ে ও মেয়ের জামাতা নাতি নাতনিসহ গুণগ্রাহী রেখে গিয়েছেন।
অন্যদিকে তার মৃত্যুর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান ।
গত ১০ মার্চ জ্বর ও সর্দি নিয়ে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি হন।এরপর তাঁর করোনা ধরা পড়ে।ভর্তির পর পরেই তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়।
মেজর জেনারেল রুহুল আলম চৌধুরীর জন্ম ২৪ আগস্ট ১৯৪৭। তিনি ২০০৬ সালে প্রফেসর ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে যোগাযোগ, খাদ্য, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি ১৯৪৭ সালের ২৪ আগস্ট কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার মগনামা গ্রামের জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৬ সালে পাকিস্তান সামরিক একাডেমি থেকে প্রশিক্ষণ শেষে আর্মাড কোরে যোগদান করেন। বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আর্মাড কোরের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও এ কারের প্রথম পরিচালক ছিলেন। এছাড়া তিনি কর্মরত থাকা অবস্থায় মাস্টার জেনারেল অব দ্য অর্ডন্যান্স ছিলেন। এর আগে তিনি বিভিন্ন সময় ২৪তম পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল স্টাফ অফিসার (অপারেশন্স), প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর, বিডিআর, মায়ানমারে বাংলাদেশ দূতাবাসের সামরিক উপদেষ্টা, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এবং রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৯৮ সালে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
২০০৬ সালে ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হলে তিনি উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পান এবং কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের প্রধান হিসেবে ১১ জানুয়ারি ২০০৭ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬ সালে জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটিতে তিনি দলের ভাইস-চেয়ারম্যান হন।
Please follow and like us:
20 20