আজ রবিবার | ২৮শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১২ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |১২ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ১১:২০
বিডি দিনকাল ডেস্ক :- মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান নিম্নোক্ত বাণী দিয়েছেনঃ-বাণী:“মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আমি প্রবাসী বাংলাদেসীসহ দেশবাসী সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। কামনা করি তাঁদের অব্যাহত সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ। আজকের এ দিনে আমি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি সেসব নির্ভিক বীর শহীদদের, যাঁদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন মাতৃভূমি পেয়েছি। আমি স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। পরাধীনতার হাত থেকে দেশের বিজয় অর্জনে যেসব মা-বোন সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন- আমি জানাই তাদের সশ্রদ্ধ সালাম।
শোষণ-বঞ্চনামুক্ত একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদশ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় নিয়েই ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর গৌরবময় বিজয়ের মাধ্যমে স্বাধীন জাতি হিসেবে বাংলাদেশীদের জয়যাত্রা শুরু। এই দিনে নিজ পরিচয়ে আমরা বিশে^র দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পেরেছি। স্বাধীনতার পর বিভিন্ন সময়ে আমাদের গণতন্ত্রের পথচলাকে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে, জনগণের মৌলিক ও মানবিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। কিন্তু প্রতিবারই এদেশের গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষ আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমেমৌলিক অধিকার, মানবিক সাম্য, মত প্রকাশের স্বাধীনতা অর্থাৎ বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছে।
১৯৭১-এ আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি শত্রুমুক্ত হলেও চক্রান্তকারীদের চক্রান্ত আজো বিদ্যমান। আগ্রাসী শক্তি আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করে আমাদেরকে একটি পদানত জাতিতে পরিণত করার অপপ্রয়াসে লিপ্ত। এখনও ষড়যন্ত্রকারীরা নানাবিধ নীলনকশা রচনা করে আমাদের বহু ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে দুর্বল করে চলেছে। ৫ জানুয়ারী ২০১৪-তে প্রহসনের প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন একতরফা নির্বাচন এবং ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর মধ্যরাতের নির্বাচন করে জনমতকে তাচ্ছিল্য করা হয়েছে। এদেশে এখন মানুষের নাগরিক স্বাধীনতা নেই। এদেশের মানুষ এখন সম্পূর্ণভাবে অধিকার হারা। এদেশে বহুমাত্রিক বহুদলীয় গণতন্ত্র নিরুদ্দেশ করা হয়েছে। গণতন্ত্রহীন দেশে নিরঙ্কুশ ক্ষমতার দাপটে সর্বত্র হতাশা, ভয় আর নৈরাজ্যের অন্ধকার নেমে এসেছে। ক্ষমতা জবরদখলকারীরা জনগণের ওপর নৃশংস আক্রমণ চালিয়ে রক্ত ঝরাচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতি যেন ভয়ংকর অন্ধকারাচ্ছন্ন। যিনি জীবনের দীর্ঘ সময় গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছেন সেই অবিসংবাদিত নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে নানা শর্তের বেড়াজালে বন্দী করে রাখা হয়েছে। তিনি এখন গুরুতর অসুস্থ, হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়াই করছেন। অথচ সরকার তাঁর সুচিকিৎসার জন্য তাঁকে বিদেশে প্রেরণের সর্বমহলের দাবিকে অগ্রাহ্য করে আসছে। বিজয় দিবসের চেতনা আমাদের ঐক্যবদ্ধ করেছে নেত্রীর মুক্তি এবং বিদেশে তাঁর সুচিকিৎসার দাবির আন্দোলনে, গণতন্ত্র পুণ:রুদ্ধারের অঙ্গীকারে। বর্তমান অশুভ অগণতান্ত্রিক শক্তি তাদের নীলনক্শা বাস্তবায়নে রাষ্ট্রীয় নিপীড়ণ ও জুলুমকেই বেছে নিয়েছে। ওদের হাত থেকে প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং গণতন্ত্রকে বিপদমুক্ত করতে মহান বিজয় দিবসের প্রেরনায় বলীয়ান হয়ে আমাদের জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। মহান বিজয় দিবসে আমি দেশবাসী সকলের প্রতি সেই আহবান জানাই। বিজয় দিবস উপলক্ষে আমি সকল কর্মসূচীর সাফল্য কামনা করছি।
আল্লাহ্ হাফেজ, বাংলাদশ জিন্দাবাদ।”
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিম্নোক্ত বাণী দিয়েছেন-বাণী:“মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আমি দেশবাসী ও প্রবাসী বাংলাদেশী সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। তাদের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করি।
১৬ ডিসেম্বর আমাদের জাতীয় জীবনে এক মহিমামন্ডিত ঐতিহাসিক দিন। এই দিনটির জন্যই সারাবিশে^ বাংলাদেশী জাতি ও বাংলাদেশের মর্যাদা আজ সুপ্রতিষ্ঠিত। দীর্ঘ পরাধীনতার শৃৃঙ্খল ছিন্ন করে ১৯৭১ সালে দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর এদিনে আমরা প্রিয় মাতৃভূমিকে দখলদারমুক্ত করতে সক্ষম হই। এ স্বাধীনতাযুদ্ধে যারা আত্মদান করেছেন, সেসব বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি আমি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আহবানে শুরু হওয়া স্বাধীনতাযুদ্ধ ওই বছর ১৬ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে দেশের অকুতোভয় বীর মুক্তি যোদ্ধারা বিজয়ী হয়। তাই ১৬ ডিসেম্বর আমাদের গর্বিত এবং মহিমান্বিত বিজয় দিবস। এদেশের দামাল ছেলেরা হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে ছিনিয়ে এনেছিলো দেশমাতৃকার স্বাধীনতা। আজকের এ মহান দিনে সেসব বীর সেনাদের প্রতি আমার সশ্রদ্ধ অভিবাদন।
এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা গত শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ অর্জন। গণতন্ত্র এবং অর্থনৈতিক মুক্তির মাধ্যমে একটি সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়েই আমরা স্বাধীনতাযুদ্ধ করেছিলাম। সে লক্ষ্য পূরণে আমরা আজও কাজ করে যাচ্ছি। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা আমাদের চুড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছতে সক্ষম হবো বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন-সংগ্রামে আপোষহীন নেত্রী ‘গণতন্ত্রের মা’ বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারান্তরীণ করে রাখার পর কার্যত: এখনও তাঁকে বন্দী অবস্থায রাখা হয়েছে। দীর্ঘদিন কারাবন্দী থাকার কারণে দেশনেত্রী এখন ভীষণ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। সরকার নানা টালবাহানায় দেশনেত্রীর সুচিকিৎসাকে বাধাগ্রস্ত করছে এবং তাঁকে বিদেশে পাঠানোর কোন উদ্যোগ গ্রহণ করছে না। তাঁকে নিঃশেষ করতে অন্তহীন চক্রান্তজাল বুনে চলছে। দেশনেত্রীর মুক্তি ও সুচিকিৎসার জন্য তাঁকে বিদেশ পাঠাতে সরকারকে বাধ্য করতে এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের সকলকে সম্মিলিতভাবে আন্দোলন সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
বিজয়ের এ দিনে আমি দেশ ও জাতির কল্যাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানাচ্ছি।
আল্লাহ্ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।”
(এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী)
সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি।BANI-15-12-21
Dhaka, Bangladesh রবিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:23 AM |
Sunrise | 6:43 AM |
Zuhr | 12:07 PM |
Asr | 3:10 PM |
Magrib | 5:31 PM |
Isha | 6:50 PM |