আজ শনিবার | ২০শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৪ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |৪ঠা রজব, ১৪৪৬ হিজরি | বিকাল ৪:৪৫
বিডি দিনকাল ডেস্ক :-মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান নিম্নোক্ত বাণী দিয়েছেনঃ-“মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আমাদের জাতীয় জীবনে এক গৌরবোজ্জল সোনালী দিন। লাখো শহীদের জীবন আর মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে আমাদের শপথ হোক গণতন্ত্র ও বাক স্বাধীনতা পুণরুদ্ধারের। এ দিনে বিশ্ব মানচিত্রে দেশমাতৃকার স্বাধীন সত্ত্বা প্রকাশিত হয়েছে। এ বছর আমাদের মহান স্বাধীনতার ৫০ বছর তথা সূবর্ণ জয়ন্তী। আজকের এই দিনে আমি দেশবাসী ও প্রবাসী বাংলাদেশীসহ সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
এ মহান দিনে আমি শ্রদ্ধা জানাই স্বাধীনতা-যুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি। যাদের আত্মত্যাগে আমরা অর্জন করেছি স্বজাতির মুক্তি। মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানসহ সকল জাতীয় নেতার স্মৃতির প্রতি আমি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। স্মরণ করি সেইসব বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কথা, যাদের নয়মাস জীবন মরণ লড়াইয়ে আমরা বিজয় লাভ করেছি। আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি সে সব মা-বোনদের কথা, যারা মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন।
২৬ মার্চ আমাদের এমন এক মহিমান্বিত দিন, আমাদের হাজার বছরের ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ অর্জণ, স্বাধীনতা যা সংগ্রাম আর যুদ্ধের রক্তস্নাত পথে বিশ্ব মানচিত্রে উদ্ভাসিত হয় আমাদের মাতৃভূমি। এ দিনে দেশমাতৃকার শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। তাঁর ঐতিহাসিক ঘোষণায় দিশেহারা জাতি পেয়েছিল মুক্তিযদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার অভয়মন্ত্র। ফলে দীর্ঘ নয়মাস ইতিহাসের এক ভয়ংকর রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর জাতি মুক্তিলাভ করে।
একটি শোষণ, বঞ্চনাহীন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে এদেশের মানুষ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। নানা কারণে আমরা সে লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হইনি। বার বার ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী শক্তি আমাদের সে লক্ষ্য পূরণ করতে দেয়নি। দেশি-বিদেশী চক্রান্তের ফলে আমদের গণতান্ত্রিক পথচলা বারবার হোঁচট খেয়েছে। বেগম খালেদা জিয়াই বারবার অবিচল আপোষহীন আন্দোলনে গণতন্ত্রকে স্বৈরশাহীর লোহার খাঁচা থেকে অর্গলমুক্ত করেছিলেন। জনগণের সম্মিলিত উদ্যোগে আমাদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের প্রচেষ্টা বেগবান করতে হবে, শক্তিশালী করতে হবে আমাদের রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্বকে।
আজও বাংলাদেশকে তাঁবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করার এক গভীর চক্রান্ত চলছে। লাখো শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করার অপতৎপরতা এখনও বিদ্যমান। সকল ষড়যন্ত্র চক্রান্ত প্রতিহত করে মাতৃভূমির স্বাধীনতা সুরক্ষা এবং গণতন্ত্রের নুয়ে পড়া পতাকাকে সমুন্নত রাখতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এজন্য গড়ে তুলতে হবে সুদৃঢ় জাতীয় ঐক্য। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে আজ দেশবাসীর প্রতি আমি এ আহবান জানাই।
আজ অত্যন্ত জরুরী আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে বৈশি^ক মহামারী করোনাভাইরাস মোকাবেলা করতে হবে। এই ভাইরাস সংক্রমণকে বাধা দিতে আমাদের সচেতনতা বাড়াতে হবে। পাশাপাশি আমি দলের নেতাকর্মীসহ দেশবাসীকে স্ব স্ব অবস্থানে থেকে এই রোগের যাতে আর বিস্তার না ঘটে সেজন্য আল্লাহ রাব্বুল আল আমিনের নিকট মোনাজাত করতে অনুরোধ করছি।
আমি দেশবাসী সকলের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে প্রার্থনা জানাই।
আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।”
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিম্নোক্ত বাণী দিয়েছেনঃ-“২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষনা করেছিলেন। এ বছর আমরা মহান স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী উদ্যাপন করছি। সূবর্ণ জয়ন্তীর এই ক্ষণে আমি দেশবাসী ও প্রবাসী বাংলাদেশীসহ সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। কামনা করি তাদের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি। আজকের এই মহান দিবসে আমি সশ্রদ্ধচিত্ত্বে স্মরণ করি স্বাধীনতার ঘোষক, মুক্তিযুদ্ধে জেড ফোর্সের অধিনায়ক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে-যাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালে এদিনে গোটা জাতি ‘সৃষ্টি সুখের উল্লাসে’ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। আমি গভীর শ্রদ্ধা জানাই সকল জাতীয় নেতার প্রতি, যাঁরা দেশ ও জাতির জন্য অসামান্য অবদান রেখেছেন।
বিশাল রক্ত¯্রােত আর ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে মহিমান্বিত আমাদের স্বাধীনতা। কথা ছিল একটি পতাকা পেলে দেশের মানুষ সুখে শান্তিতে থাকবে। কিন্তু দেশের মানুষ সেই সুখ, শান্তি পায়নি। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার জন্য আজও দেশি-বিদেশী চক্রান্তকারীরা নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। বহুদলীয় গণতন্ত্রের যে যাত্রা শুরু হয়েছে রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়ার হাত দিয়ে, তা বারবার বিপন্ন করতে চেষ্টা করেছে চক্রান্তকারীরা। কিন্তু আপোষহীন নেত্রী বেগম জিয়া বিপন্ন গণতন্ত্রকে বারবার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উদ্ধার করেছেন, সেটিও আজকে বিনষ্ট করে গণতন্ত্রের নামে কর্তৃত্ববাদী অপশাসন চালু করা হয়েছে। কেউ যাতে মানুষের মৌলিক মানবিক অধিকার নিয়ে কথা না বলে, নাগরিক স্বাধীনতার জন্য আওয়াজ না তোলে সেজন্য নানা কালাকানুন তৈরী করা হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনকে চিরদিনের জন্য নির্বাসিত করার মাধ্যমে জনগণকে চুড়ান্তভাবে ক্ষমতাহীন করা হয়েছে। ফ্যাসিবাদের চরম উত্থানে দেশবাসী ভয় ও আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে। তাই স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা ও গণতন্ত্রের পুণরুজ্জীবন ঘটাতে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক শক্তির এ মুহুর্তে গড়ে তুলতে হবে ইস্পাত কঠিন ঐক্য।
অপহৃত গণতন্ত্র পূণ:রুদ্ধার করতে সাহসী সংগ্রামে অবতীর্ণ হতে হবে। একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। সাম্য, মানবিক মর্যাদা, ন্যায়বিচার ফিরিয়ে আনতে হবে। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
সারাবিশ^ আজ ভয়াবহ মহামারীর কবলে। করোনাভাইরাসের মহামারী পৃথিবীর নানা জাতির মানুষের জীবন কেড়ে নিচ্ছে। বিশ^ময় হাড়-হীম করা আতঙ্কে মানুষ জীবন যাপন করছে। করোনা ভাইরাসের নতুন ঢেউ বাংলাদেশকে আক্রমণ করেছে। প্রতিদিন মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে। আমাদের যার যার অবস্থান থেকে এই সংক্রামক ব্যধির বিস্তার রোধে আল্লাহর কাছে পানাহ্ চাইতে হবে।
আল্লাহ্ হাফেজ, বাংলাদশ জিন্দাবাদ।”BANI OF BNP ACTING CHAIRMAN & BNP SEC GENERAL-25-03-21
Dhaka, Bangladesh শনিবার, ৪ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:21 AM |
Sunrise | 6:42 AM |
Zuhr | 12:03 PM |
Asr | 3:05 PM |
Magrib | 5:25 PM |
Isha | 6:46 PM |