আজ মঙ্গলবার | ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | সন্ধ্যা ৭:৪৪
এম, এ কাশেম চট্টগ্রাম : ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মীরসরাই উপজেলার উত্তরের ধুমঘাট সেতু থেকে চট্টগ্রাম সিটি গেট পর্যন্ত প্রায় ৬৫ কিলোমিটার জুড়ে এখনো শতাধিক অবৈধ বিলবোর্ড রয়েছে। কর্তৃপক্ষ এসব উচ্ছেদে ব্যবস্থা নেয়া থেকে রহ¯্র জনকভাবে নিরবতা পালন করও যাচ্ছে। সূত্র জানায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দু’পাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দিনে দিনে ঢাকা পড়তে দেখা দিয়েছেও ওই সব ‘অবৈধ’ বিলবোর্ডের কারনে। সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এর ঘোষণার পরও তা অপসারণ বা উচ্ছেদ হয়নি। পৌরসভা, সড়ক ও জনপদের (সওজ) জায়গা দখল করে দিব্যি দাঁড়িয়ে আছে বিলবোর্ড গুলো। মহাসড়কের চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার উত্তরের ধুমঘাট সেতু থেকে দক্ষিণের বড় দারোগারহাট (উত্তর বাজার) পর্যন্ত দু’ধাওে ও রয়েছে অর্ধশতাধিক বিলবোর্ড। সীতাকুন্ডের বড় দারোগারহাট (দক্ষিণ বাজার) থেকে চট্টগ্রাম সিটি গেট পর্যন্ত মোট ৪০টি বিলবোর্ড রয়েছে। এই ৯৪টি বিলবোর্ডের মধ্যে খুব অল্পসংখক বৈধ। বাকি সিংগভাগই অবৈধ, যা বিভিন্ন অসাধু বিজ্ঞাপনী সংস্থার মালিকরা সওজ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও এলাকার প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের ম্যানেজ করে স্থাপন করেছেন। সরেজমিনে মীরসরাই উপজেলার বারইয়ারহাট পৌরসভা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, এখানে ছোট-বড় ১৫টি বিলবোর্ড রয়েছে, যার অধিকাংশই মহাসড়কের পাশে। পৌর বাজারের ট্রাফিক মোড়ের পূর্ব পাশে দেখা যায় একটি বিপণি বিতানের ছাদ ও দেয়াল দখল করে বড় বড় দুটি বিলবোর্ড স্থাপন করেছে একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থা। এতে বিপণি বিতানের দোকান মালিকরা বেশ ক্ষুব্ধ। বারইয়ারহাট পৌর এলাকা পার হয়ে মহাসড়কের ৩নং জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের সোনাপাহাড় থেকে ৯নং মীরসরাই সদর ইউনিয়নের মিঠাছড়া বাজার পর্যন্ত সড়কের দু’পাশে বিশাল আকারের অন্তত: ১০টি বিলবোর্ড রয়েছে, যার সব ক’টি দখল করা হয়েছে সওজের জায়গা। মিঠাছড়া থেকে মীরসরাই ও বড়তাকিয়া এলাকায় ও রয়েছে অন্তত: ১০টি অবৈধ বিলর্বোড। যা স্থাপন করা হয়েছে বিভিন্ন বাণিজ্যিক ভবনের ছাদে এবং মহাসড়কের পাশের কৃষিজমিতে। নয়দুয়ারীয়া, হাদিফকিরহাট, নিজামপুর, ডাকঘর, ছোটকমলদহ ও বড় দারোগারহাট এলাকায় ছোট-বড় মিলে আরো ১৫ থেকে ২০টি বিলবোর্ড রয়েছে। এগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি সওজের জমিতে স্থাপন করা হয়েছে। বাকিগুলো বাজারের বিভিন্ন বাণিজ্যিক-আবাসিক ভবনের ছাদ ও কৃষিজমিতে। এ ভাবেই চট্টগ্রাম সিটি গেট পর্যন্ত রয়েছে আরো অর্ধশত বিলবোর্ড। স্থানীয় অধিবাসীরা জানায়, চট্টগ্রাম নগরীতে বিলবোর্ড উচ্ছেদ শুরু হওয়ার পর থেকে মহাসড়কে বিলবোর্ড স্থাপন বেড়ে যায়। যাত্রীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে মহাসড়কের বাঁকে বাঁকে এমনভাবে বিলবোর্ডগুলো স্থাপন করা হয়েছে, যাতে যানবাহন চলাচলে ঝুঁকিও বেড়ে গেছে অনেকগুণ। কয়েক বছরের মধ্যে সওজ বা পৌরসভা অবৈধ বিলবোর্ড অপসারণের কোনো উদ্যোগ নেয়নি। অথচ বিভিন্ন সময় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সড়ক-মহাসড়কের পাশ থেকে বিলবোর্ড, অপ্রয়োজনীয় সাইনবোর্ড ও বিভিন্ন প্রচারমাধ্যম উচ্ছেদের ঘোষণা দেন। তিনি নিজেও অনেক স্থানে অভিযান শুরু করলেও পরবর্তী সময়ে তা থেমে যায়। এ বিষয়ে সওজ চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা সংবাদ মাধ্যম কে বলেন, ‘অবৈধ বিলবোর্ডের বিষয়ে অভিযান হয়েছিলো, কিন্তু তারা আবারো স্থাপন করেছে। আমরা আবারো নতুন করে মাঠে নামবো।’
Dhaka, Bangladesh মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:38 AM |
Zuhr | 11:58 AM |
Asr | 2:58 PM |
Magrib | 5:18 PM |
Isha | 6:39 PM |