আজ সোমবার | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৪:২৫
মোস্তফা ফিরোজ:- মামুনুল হককে ঘিরে আমাদের মিডিয়াতে যতো আয়োজন, তার মূল বিষয় হচ্ছে ব্যক্তিগত চরিত্র। অথচ দরকার ছিল এই আলোচনা করা যে দেশে গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল ও অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির ধারা বেগবান করতে এই ধরনের ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক শক্তির সাথে ভবিষ্যতে আর রাজনৈতিক সমঝোতা বা ঐক্য হবে, নাকি হবে না।
দুঃখজনক হলো, আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো কখনোই দৃঢ় কন্ঠে এই ঘোষণা দেয় না যে, কোনো অবস্থায় হেফাজত বা জামাতের সাথে ঐক্য করব না। জাতীয় নির্বাচনের সময় যত ঘনিয়ে আসে ততই গণতান্ত্রিক রাজনীতির ভোল পাল্টাতে থাকে। তখন আর বড় রাজনৈতিক দলগুলোকে চেনাই যায় না। এসব অশুভ ঐক্যের বিরুদ্ধে মিডিয়াগুলোও সোচ্চার থাকে না।
আচ্ছা, ব্যক্তি মামুনুলের চরিত্র যদি ফুলের মতো পবিত্র হতো, তাহলে কি হেফাজত ঠিক? হেফাজত যদি কোন দলের কথামতো চলে তাহলে কি তাদের সমর্থন নেওয়া যায়? কি অদ্ভুত বিবেচনা! হেফাজত কথা শুনলে ভালো, না শুনলে খারাপ, এ কেমন রাজনৈতিক মূল্যায়ন? বিএনপিও তো একই কাজ করছে। সে তার রাজনৈতিক সুবিধার জন্য দীর্ঘদিন থেকে জামাতে সাথে সহঅবস্থান করছে। তাহলে তাদের দোষ কোথায়? ধরেন, বিএনপি ক্ষমতায়। কোন কারণে তাদের সাথে জামাতের বিরোধ হলো। তখন কি সাথে সাথে মিডিয়াগুলো বলতে থাকবে, জামাততো ভালো না?
কারো ব্যক্তিগত চরিত্র ভালো না খারাপ, সেটা মুখ্য বিষয় হতে পারে না। এই রকম মেয়েলি সমস্যা ঘাঁটাঘাঁটি করলে অনেক কিছুই বের হবে। এখন ক্ষমতায় থাকার মানুষগুলো হয়তো সুবিধা পাচ্ছে। তাই মনে হচ্ছে, তাদের মতো চরিত্রবান আর কেউ নেই। আমারতো মনে হয় আলেম ওলামাদের থেকেও যারা গোটা দেশের মানুষের জন্য জান কোরবান করছেন, তাদের চরিত্র বেশি পরিষ্কার থাকা দরকার। কিন্তু বাস্তবে কি তাই দেখা যায়? বিবেককে প্রশ্ন করুন। মনে রাখা দরকার, মামুনুলরা একটা রাজনৈতিক দর্শনকে প্রতিনিধিত্ব করে। এটা অবশ্যই শক্তিশালী একটি ধারা। এই কারণে এতো কিছুর পরও কিন্তু লাইভ দেখে উল্টো মামুনুলকে রক্ষায় তার অনুসারীরা ঝাঁপিয়ে পড়ে। কি সেই শক্তি?এটা কি পেশী, নাকি দার্শনিক শক্তি? হাতেনাতে ধরার এমন ঘটনা লাইভ করার পরও উল্টো ফল কেন হলো, তা অনুসন্ধান করা প্রয়োজন। তাই এই শক্তির উৎস খুঁজে বের করতে হবে। নতুবা রাজনীতির চোরাবালিতে হারিয়ে যেতে হবে।
এখন গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাসীদের রাজনৈতিক চরিত্র ঠিক করা প্রয়োজন। সরকারবিরোধী কোন ইস্যুতে গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল শক্তি যখন মাঠে নামছে তাকেও নির্মমভাবে দমন করা হচ্ছে। তার সাংগঠনিক শক্তি দূর্বল বলে চড়াও করে শক্তিমত্তা দেখানো হচ্ছে। কিন্তু এই জায়গাটা দখল করে নিচ্ছে উগ্রপন্থীরা। এটাও এখন ভাবা দরকার যে, কাউকে যদি তার ক্ষোভ বিক্ষোভের স্পেস না দেওয়া হয়, তখন এর পরিণাম ভালো নাকি খারাপ হয়? এই কারণে মিডিয়াগুলোতে ডায়েরি বা টেলিফোন সংলাপ ফাঁস করে এক ধরনের সুড়সুড়ি প্রচারের বদলে গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল রাজনীতিতে বিশ্বাসীদের কি করনীয় তা নিয়ে আলোচনা বা প্রতিবেদন প্রচার করা বেশি জরুরি বলে মনে করি।
(সূত্র : ভয়েস বাংলা )
Dhaka, Bangladesh রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:16 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:57 AM |
Asr | 2:57 PM |
Magrib | 5:17 PM |
Isha | 6:38 PM |