- প্রচ্ছদ
-
- আর্ন্তজাতিক
- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একদিনে এই জায়গায় আসেনি!
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একদিনে এই জায়গায় আসেনি!
প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি, ২০২১ ৬:৪২ অপরাহ্ণ
সুজন মেহেদী হাসান:-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একদিনে এই জায়গায় আসেনি। আমাদের মতো দেশে যেখানে নির্বাচন ছাড়া কোথাও গণতন্ত্র নেই। নির্বাচনেও মানুষ ঠিক মতো ভোট দিতে পারে না। তারাই আবার যুক্তরাষ্ট্রকে বলি ‘গণতন্ত্রের ফেরিওয়ালা’। যাই বলি, আমেরিকা প্রমাণ করেছে তাদের অধিকার আছে বিশ্বকে গণতন্ত্রকে শেখানোর। তারা অনেক দেশে সামরিকতন্ত্রকে সাহায্য করেছে, কিন্তু নিজের দেশে গণতন্ত্রের সবগুলো প্রাতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করেছে। আইন ভারসাম্যপূণ্য করেছে। সব ক্ষমতা এক জায়গায় গুটিয়ে রাখেনি। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে।
আমি ট্রাম্প ও তার সমর্থকদের আচরণে গত আড়াই বছরে অনেকবার বিরক্ত হয়েছি আর বারবার আমেরিকানদের প্রশ্ন করেছি, এই আচরণ দেখতে আমরা আসিনি। এই আচরণ দেশে দেশে স্বৈরাচারদের উৎসাহিত করে। আমার শিক্ষক বা বন্ধুরা দুঃখ প্রকাশ করেছেন। বলেছেন, তাদের সংবিধান প্রত্যেককে কথা বলার ও প্রতিবাদ করার স্বাধীনতা দিয়েছে। তারা জানতেন, একটি মূর্খ বর্ণবাদী গ্রুপ শক্তিশালী হচ্ছে।
২০২০ সালের নির্বাচন ছিল আমেরিকার প্রগতিশীল মানুষের জন্য লিটমাস টেস্ট। বুঝতে পারছিলাম, আমাদের চেয়ে তারা অনেক বেশি হোয়াইট হাউজে পরিবর্তন চাচ্ছিলেন। জো বাইডেন নির্বাচিত হওয়ায় তারা খুশি হন। অন্যদিকে যখন ট্রাম্প ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানান, তখন আমার পরিচিতরা অস্বস্তিতে পড়েছিলেন।
গত ৬ জানুয়ারি ট্রাম্প সমর্থকরা যখন ক্যাপিটল হিলে হামলা চালায়, তখন আমার তৃতীয় বিশ্বের মন মনে করেছিলো জনরায় হাইজ্যাক হতে পারে। ৬ জানুয়ারি আমি রাত জেগে একটার পর একটা চ্যানেল দেখেছি। হঠাৎ করে মনে হলো অন্য আমেরিকা দেখছি। রিপাবলিকান আইন প্রণেতারা যারা এতদিন চুপ করে ছিলেন, তারা হঠাৎ করে জেগে উঠলেন। ভোট কারচুপির সব অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন। আমি রিপাবলিকানদের দেখা বক্তৃতা শুনে আশ্চর্য হয়েছি। পেন্স, ম্যাককলিন, লিন্ডসে গ্রাহামদের ভূমিকা মূগ্ধ করেছে। এভাবেই সঙ্কটে হাল ধরতে হয়। আমেরিকান আইন প্রণেতারা দেখিয়ে দিয়েছেন, তারা ব্যক্তির উর্ধ্বে উঠে, দলের উর্ধে উঠে, দেশের জন্য কাজ করতে পারেন। গণতন্ত্র শিখতে চাইলে অবশ্যই আমেরিকার কাছ থেকেই শেখা উচিত।
(লেখক ,সাংবাদিক,কলামিস্ট )
Please follow and like us:
20 20