আজ সোমবার | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | দুপুর ২:৫০
স্টাফ রিপোর্টার – রাজধানীর মিরপুরে দৈনিক দিগন্তর পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার নারী-গণমাধ্যমকর্মী মাসুমা আক্তার জাহান গত বৃহস্পতিবার (১১ই আগস্ট) সকালে সন্ত্রাসী ও একদল ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে নির্যাতন এবং হামলার শিকার হয়েছেন। এসময় দূবৃর্ত্তরা সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিকর্মী মাসুমা আক্তার জাহানকে মারধর করে এবং প্রাণনাশের হুমকী ভয়ভীতি প্রদর্শন করে তার নিকট থেকে নগদ টাকা, মোবাইল ফোন সেট ও সোনার চেইনসহ প্রায় ৭০ হাজার টাকার বিভিন্ন মালামাল লুটে নিয়ে পালিয়ে যায়। এ হামলার ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী নিজে বাদী হয়ে ঘটনার দিন দুপুরে মিরপুর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ (এজাহার) দায়ের করেন। কিন্তু এই ঘটনার গত দুইদিন অতিবাহিত হতে চললেও কোনো এক অজ্ঞাত কারনে মামলা গ্রহণ করছে না মিরপুর মডেল থানা পুলিশ। তদন্তের নামে চলছে দফায় দফায় হয়রানি। মামলা নিয়ে চলছে পুলিশের নানাবিধ গড়িমসি। তদন্তের নামে মামলার বাদিকে অহেতুক হয়রানি করা হচেছ বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদিকে, মিরপুর মডেল থানা পুলিশের এই জাতীয় আচরণে ক্ষুব্ধ বিভিন্ন সাংবাদিক এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। পূর্ব পরিকল্পিত হত্যা চেষ্টা এবং প্রকাশ্য দিবালোকে ছিনতায়ের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন অনেকে, সেইসাথে আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শান্তির জোর দাবী জানানো হয়।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী নারী এবং বাদী মাসুমা আক্তার জাহান পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, আমার মনে হচ্ছে তথ্য প্রযুক্তির যুগে ডিজিটাল সন্ত্রাসের স্বীকার হয়েছি আমি। ঘটনার দিন গত বৃহস্পতিবার (১১ই আগস্ট) সকালে মিরপুরের ৬০ ফিট সড়কে স্হানীয়
সন্ত্রাসী মো, আল আমিনসহ তার গ্রুপের একদল ছিনতাইকারীদের ধারা আমি নির্যাতনের শিকার হই। পরবর্তীতে আমি আল আমিনসহ অজ্ঞাত নামা আরও ২/৩ জনের নামে উল্লেখ করে মিরপুর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। এরপর মিরপুর মডেল থানার সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) অনিক অভিযোগটি তদন্তের দায়িত্ব পান, তিনি ঘটনার দিন প্রথমে আমাকে নিয়ে ক্রাইম স্পট (ঘটনাস্থল) পরিদর্শন করেন। তারপর পুলিশের উপ- পরিদর্শক (এসআই) অনিক আসামীর বাসায় গিয়ে জানতে পারেন তিনি বাসায় নেই। পরোক্ষনে এসআই অনিক আমাকে জানান, অভিযুক্ত আল আমিনের মুঠোফোনে কল করলে ফোনটি কেউ রিসিভ করেনি। রাতে পূণরায় থানায় গিয়ে জানতে পারি বিবাদী আল আমিন ফোন দিয়ে জানিয়েছে তিনি সিলেট আছেন। কিন্তু থানা থেকে ফোন কল ট্রেস করে জানতে পারা যায় অভিযুক্ত ব্যক্তির ফোনের লোকেশন খুলনায় দেখাচ্ছে। পদ্মা সেতুর কারণে খুলনার দূরত্ব এখন মাত্র দুই/তিন ঘন্টার, সেখানে ঘটনার প্রায় দশ ঘন্টা পর আসামীর খুলনা থাকা অসম্ভব কিছু নয়। তাছাড়া ঘটনার সময় আসামীর ফোনের সুইচ অফ থাকা বা মিথ্যা বয়ানের কারণে সে অবশ্যই নিরাপরাধী হতে পারে না। প্রয়োজনে আমাকে আদালতের শরনাপন্ন হতে হবে।
ভুক্তভোগী মাসুমা আক্তার জাহান পুলিশের প্রতি প্রশ্ন তুলে বলেন, আমি কি ন্যায় বিচার পাবো না। তাহলে কি দীর্ঘসময় তদন্তের নামে আসামীদের সাথে সমঝোতার চেষ্টা চলছে? নাকি কোনো বিষয়কে আড়াল করার অশুভ উদ্দেশ্যে সময় ক্ষেপন করা হচ্ছে? পুলিশ যদি আমার মামলাটি (এজাহার নথিভুক্ত) রেকর্ড না করেন তাহলে আমি আদালতে গিয়ে মামলা করতে বাধ্য হবো।
এবিষয়ে ডিএমপি মিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো, মোস্তাজিজুর রহমান ভুক্তভোগী এই নারী সাংবাদিককে জানান, পূর্ব শত্রুতার জের হিসেবে ঘটনাটি ঘটতে পারে, তবে, তদন্ত চলছে, ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Dhaka, Bangladesh সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:58 AM |
Asr | 2:58 PM |
Magrib | 5:18 PM |
Isha | 6:39 PM |