আজ মঙ্গলবার | ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | সন্ধ্যা ৭:১০
চট্টগ্রাম অফিস চট্টগ্রাম ‘বিডি দিনকাল’ : ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অতি গুরুত্বপূর্ন এলাকা মীরসরাই উপজেলার বারইয়ারহাট বিশ^রোডে যানজট নিরসনের দায়িত্বে নিয়োজিত ট্রাফিক পুলিশ’র কনেষ্টবল ফারুক ও মাহবুবের বেপরোয়া চাঁদাবাজির কারনে অতিষ্ঠ গাড়ি চালক সহ সাধারণ মানুষ ও। চাঁদাবাজ এ ট্রাফিক পুলিশ কনেষ্টবলদ্বয় ফারুক ও মাহবুবের দৈনন্দিনের ব্যয় (খরচ) থানার ওসিকে ও হার মানায়। সূত্র মতে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, উক্ত ট্রাফিক কনেষ্টবল ফারুক ও মাহবুব সরকারি নিয়মনীতিকে উপেক্ষা করে ডিউটির নির্দ্ধারীত সময়ের বাইরে ও বারইয়ারহাটে এসে বিভিন্ন স্থান থেকে চাঁদাবাজির টাকা উত্তোলন করে থাকে। প্রতিমাসে তারা সরকারি ভাবে যাহা বেতন পায় তার চেয়ে ও দ্বিগুণ/তিনগুণ খরচ করে আরাম-আয়েসে-ই দিন-রজনী পার করে যাচ্ছে। এমনকি তাদের দৈনন্দিন পকেট খরচ সহ ২/৪দিন পর পর-ই বিভিন্ন গাড়ি চালক/হেলপারের মাধ্যমে বাড়িতে পাঠায় অনেক টাকার বিভিন্ন জিনিষাধি। হিসেব মতে দেখা গেছে-তারা যে ভাবে নিজে খরচ করেন এবং বাড়িতে পাঠান তার সব মিলিয়ে প্রতিমাসে ২৫/৩০ হাজার টাকার ও অধিক টাকা লাগে। অথচ, তারা কোনো উচ্চ পদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা নন। তারা নামে মাত্র সামান্য কনেষ্টবল মাত্র। ফলে-স্বভাবত:ই প্রশ্ন জাগে, তারা নামে মাত্র পুলিশের কনেষ্টবল (ট্রাফিক) হয়ে প্রতি মাসে ২৫/৩০ হাজার টাকার ও বেশী খরচ করে বউ বাচ্চা নিয়ে আরাম-আয়েসে থাকেন বলে তাদের নিকটস্থ একাধিকজনের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে। সবার মনে প্রশ্ন জাগাটা-ই স্বাভাবীক যে, তারা সরকার প্রদত্ব কতো টাকা বেতন পান ? উক্ত ট্রাফিক কনেষ্টবল ফারুক ও মাহবুবের চাল-চলনে থানার ওসিকে ও হার মানাচ্ছে। ব্যাপক তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, উক্ত ট্রাফিক কনেষ্টবল ফারুক ও মাহবুব সহ বারইয়ারহাট বিশ^রোডে যানজট নিরসনের জন্য দায়িত্বে নিয়োজিত অন্যান্য ট্রাফিক কনেষ্টবলদের এহেন বেপরোয়া চাঁদাবাজী করে মোটা অংকের টাকা পটেকস্থ করে থানার ওসিকে ও হার মানিয়ে খুব আরাম-আয়েসে বউ, বাচ্চা নিয়ে দিনাতিপাত: করে যাচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শি একাধিক সূত্র জানায়, অন্যান্যদের চাইতে ফারুক ও মাহবুবের চাঁদাবাজীর ধরনটা সম্পূর্ন ভিন্ন ধরনের। সূত্র জানায়, ফারুক ও মাজবুব’র এহেন চাঁদাবাজীর দৃশ্য প্রত্যক্ষ করতে চলন্তরত: অনেক লোক থমকে দাঁড়িয়ে তাদের চাঁদাবাজীর দৃশ্য দেখেন। প্রত্যক্ষদর্শিরাা জানায়, উক্ত ট্রাফিক কনেষ্টবল ফারুক ও মাহবুব সড়কে চলাচলরত: বিভিন্ন মালবোঝাই ট্রাক, পিক-আপ, সিএনজি ছাড়াও বিভিন্ন মোটরসাইকেল আরোহীদের বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। শুধু তাই নয়, যে সব অভাবী লোক ব্যাটারি রিক্সা চালিয়ে বউ, ছেলে-মেয়ে নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য অধিক পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তারা তাদের কাছ থেকে ও জোরপূর্বক টাকা নেন্ । না দিতে চাইলে জোর করে তাদের কাছ থেকে চাবি কেড়ে নেয়। এর পর সড়কে মাদকদ্রব্য সহ নানাবিধ: অবৈধ পন্যবাহী গাড়িগুলো থেকে আরো বেশী করে টাকা আদায় করে এ আরাম-আয়েসে থাকার পথ সুগম করে নেয় তারা। কেবল মাত্র চাঁদাবাজির উৎস থেকে উক্ত ট্রাফিক কনেষ্টবল ফাারুক ও মাহবুবের প্রতিমাসে ২৫/৩০ হাজার টাকার ও বেশী চাঁদাবাজি করে চলেছে। এ ছাড়া তারা এখন লাখোপতি ও বনে যাওয়ার স্বপ্নে বিভোর বলে তার নিকটজনের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে। উক্ত ট্রাফিক কনেষ্টবল ফারুক ও মাহবুবের বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে অতিষ্ট স্থানীয় ট্রাক, পিক-আপ, সিএনজি চালক ও মোটর সাইকেল আরোহী সহ অন্যান্য গাড়ি চালকরা। একটি বিশ^স্থ সূত্র জানিয়েছে, উক্ত ট্রাফিক পুলিশ কনষ্টেবল মাহবুব ও ফারুক খুব কৌশল অবলম্ভনধারী। তারা প্রায় সময নিজেরা বিভিন্ন গাড়ি থেকে সরাসরি নিজ হাতে টাকা না নিয়ে শুধুমাত্র গাড়ি চালকদের বলে দেয় যে, ওমুক-তমুক তাদের সোর্স। তাদের (সোর্সদের) কাছে-ই টাকা দিয়ে দিতে। এতে করে উক্ত ট্রাফিক কনস্টেবল মাহবুব ও ফারুক এর টাকাতে ভাড়ায় থাকা ব্যাক্তিরা বিভিন্ন গইড় থেকে টাকা নিয়ে থাকে। এমতাবস্থায় উক্ত চাঁদাবাজ ট্রাফিক পুলিশের বনষ্টেবল মাহবুব ও ফারুক এর চাঁদাবাজির কবল থেকে মুক্তি পেতে স্থাণীয় অধিবাসীরা ও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উর্দ্বত্বন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।
Dhaka, Bangladesh মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:38 AM |
Zuhr | 11:58 AM |
Asr | 2:58 PM |
Magrib | 5:18 PM |
Isha | 6:39 PM |