আজ সোমবার | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | দুপুর ২:০৬
নোয়াখালী: নোয়াখালীর বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ‘মিথ্যা ও অশোভনীয় আচরণ, কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর মন্তব্যের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে নোয়াখালী সদর ও পৌরসভা আওয়ামী লীগসহ দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো।
আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।কাদের মির্জা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু বলেন, ‘আবদুল কাদের মির্জা একেক সময় একেক রকমের বিবৃতি দিয়ে বেড়াচ্ছেন। টেন্ডারবাজি, চাকরি নিয়োগবাণিজ্য সম্পর্কে কাদের মির্জা যে সব বক্তব্য দিয়েছেন, আমরা তা চ্যালেঞ্জ করছি; তিনি এগুলোর সত্যতা প্রমাণ করুক।’
তিনি বলেন, ‘কাদের মির্জা মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার আগে কখনো আওয়ামী লীগ বা দলের নেতাদের বিরুদ্ধে কিছুই বলেননি। কিন্তু দলের মনোনীত প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই তিনি উন্মাদের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার রাষ্ট্র পরিচালনা থেকে শুরু করে আমাদের শ্রদ্ধেয় নেতা ওবায়দুল কাদের এমপিসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন মন্ত্রী, এমপিসহ নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ খায়রুল আনম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী এমপি, ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রী, একরামুল করিম চৌধুরীর স্ত্রী, সন্তানের ওপর কেন এতটা বিরাগভাজন হলেন আমরা তা বুঝে উঠতে পারছি না।’
পিন্টু বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে কাদের মির্জা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগসহ সকল সহযোগী সংগঠনের কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি ঘোষণা করেন, যা দলের গঠনতন্ত্রেও সম্পূর্ণ পরিপন্থী।তিনি বলেন, ‘অপরাজনীতির সংজ্ঞা কি? কমিটি ভাঙছেন, গড়ছেন। উনি কি অপরাজনীতি করছেন না?’
নোয়াখালী শহর আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, শেখ হাসিনা ভাতের অধিকার দিয়েছে, ভোটের অধিকার দেননি- এটা কি নেত্রীর বিরুদ্ধে বক্তব্য হয়নি? আমরা প্রশ্ন রাখতে চাই- এটা কি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বক্তব্য হয়নি? এ বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
তিনি বলেন, কাদের মির্জা শুধুমাত্র তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের মতোই সচিবালয়ের বিভিন্ন সচিবসহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে আসছেন। তার ক্ষমতার দাম্ভিকতায় অনেক প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নাজেহাল হতে হয়েছে।
পিন্টু বলেন, আমরা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রতি অনুরোধ জানাই দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী কাদের মির্জার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
কাদের মির্জার অশোভন এবং সংগঠনবিরোধী অসদাচরণের জন্য শাস্তির দাবি করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
এ সময় সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন জেহান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান নাছের, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ইমন ভট্ট, যুগ্ম-আহ্বায়ক একরামুল হক বিপ্লব, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান আরমান, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসনাত, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এমদাদ হোসেন কৈশোর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
থানার সামনে কাদের মির্জার অবস্থান কর্মসূচি:
এদিকে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানার সামনে পূর্বঘোষিত অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে এ কর্মসূচি পালন করেন তিনি।
নোয়াখালী জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি, পরিদর্শককে (তদন্ত) প্রত্যাহারের দাবিতে এবং নোয়াখালীর অপরাজনীতি বন্ধের দাবিতে কাদের মির্জা এই কর্মসূচি দেন।
Dhaka, Bangladesh সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:58 AM |
Asr | 2:58 PM |
Magrib | 5:18 PM |
Isha | 6:39 PM |