আজ বৃহস্পতিবার | ২৫শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৯ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |৯ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৩:৪৯
বিডি দিনকাল ডেস্কঃ- দেশের ভালো চাইলে `সরকার পদত্যাগের এখনো সময় আছে’ বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার বিকালে নয়া পল্টনে বিএনপি মহাসচিব বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘‘ সরকারকে এখনো বলছি, যদি ভালো চান, দেশের মঙ্গল চান তাহলে এখনো সময় আছে আমাদের যে এক দফা দাবি তা মেনে নিয়ে পদত্যাগ করুন।”
তা নাহলে ফয়সালা কোথায় হবে শ্লোগান তুলেন বিএনপি মহাসচিব। এই সময় নেতা-কর্মীরা সমস্বরে বলে ‘‘ রাজপথে রাজপথে’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ প্রশাসনকে বলতে চাই আপনারা এই ভয়াবহ একটা দলীয় সরকারের বেআইনি আদেশ-নির্দেশে জনগনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন না। আমরা জানি যে, আপনারা সবাই এদেশের মঙ্গল চান, আপনারা এই দেশের কল্যাণ চান। আপনারা শপথ নিয়েছেন যে, এদেশের স্বার্থে সংবিধান অনুযায়ী কাজ করবেন।”
‘‘ আমরাও আপনাদের কাছে সেটাও চাই। আপনারা জনগনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন না। আমরা পরিস্কার করে বলতে চাই এই সমাবেশ থেকে গ্রেফতার বন্ধ করুন, বেআইনি গ্রেফতার বন্ধ করুন, হয়রানি বন্ধ করুন এবং যারা কারাগারে আছে তাদেরকে ছেড়ে দিন।”
দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ রাজবন্দিতে মুক্তি ও তারেক রহমানসহ নেতা-কর্মীদের ফরমায়েসী সাজা বাতিল ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব।
কর্মসূচি ঘোষণার আগে মহাসমাবেশে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ এখন একটা বড় চমক আছে। অপেক্ষা করুন।সেই চমক হচ্ছে আপনাদের প্রিয় নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তিনি আজকে আপনাদের সামনে অডিওতে কথা বলবেন।”
এই সময়ে নেতা-কর্মীরা তুমুল করতালি দিয়ে তার বক্তব্য শুনার সময় নেতা-কর্মীরা ছিলো পিনপতন নিরবতায়।
তারেক রহমানের বক্তব্যের পরে বিএনপি মহাসচিব শনিবার ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশমুখে ৭ ঘন্টার অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বেলা ২টায় শুরু হয় মহাসমাবেশ, শেষ হয় সাড়ে ৬টায়। কার্যালয়ের সামনে ৯টি ট্রাককে একত্রিত করে তৈরি করা হয়েছে উত্তরমুখী করে অস্থায়ী মঞ্চ। ব্যানারে একদিকে খালেদা জিয়া ও অন্যদিকে জিয়াউর রহমান ও তারেক রহমানের প্রতিকৃতি রেখে লেখা হয়েছে… ‘যুগপত ধারার বৃহত্তর গণ-আন্দোলনের ১ দফার মহাসমাবেশ’।
মহাসমাবেশের আনুষ্ঠানিক কার্য্ক্রম শুরু হয় বেলা ২টায় জুম্মার নামাজের পরে। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের শিল্পীরা গণসঙ্গীত ও দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করে নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত করে রাখে।
সকাল থেকেই নেতা-কর্মীরা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করে। সাদা, নীল, লাল, সবুজ ও হলুদ টুপি মাথায় হাজার হাজার নেতা-কর্মী মুহুর্র মুহুর্র করতালি দিয়ে শ্লোগান দিচ্ছে ‘এক দফা এক দাবি শেখ হাসিনা এখনই যাবি’, ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’।
মানুষের ভিড় ও চাপ বাড়তে থাকায় সকাল থেকে নয়া পল্টনের দুই পাশের সড়কই যান চালাচল পুলিশ বন্ধ করে দেয়।
সমাবেশ শুরুর পর দুই দফায় প্রবল বৃষ্টিতে নেতা-কর্মীদের ভিজতে দেখা গেছে। অবশ্য পরে সাড়ে তিনটার পর রোদ্র উঠলে সমাবেশ সমাবেশ
স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘‘এই মুহুর্তে এখানে(নয়া পল্টন এলাকায়) ইন্টারনেট নাই। বিএনপির যখন সমাবেশ হয় তখন ইন্টারনেট থাকে না। যারা এই ইন্টারনেট বন্ধের পেছনে কাজ করছেন তারা ভোট চোরদের দালাল হিসেবে কাজ করছেন।”
‘‘ আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই ভোট চোরের দালালরা সাবধান হয়ে যান।আপনারা ভোট চোরের দালাল হিসেবে চিহ্নিত হয়ে গেছেন, আপনারা ভোট চুরির প্রকল্পে কাজ করছেন। সাবধান, সাবধান।”
মহাসমাবেশ করার জন্য জন্য দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অভিনন্দন জানান মহাসমাবেশের সভাপতি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
তিনি বলেন, ‘‘ পাখিরও বাসা আছে, পোঁকামাকড়েরও থাকার জায়গায় আছে। কিন্তু এই মহাসমাবেশে আসা আপনারা কোথায় খাওয়া দাওয়া করেছেন আমি জানি না। কোথায় ছিলেন কেমন ছিলেন সেটাও দেখতে পাইনি। তবে আপনারা সাহসের পরিচয় দিয়েছেন এতো নিপীড়ন-নির্যাতন-গ্রেফতারের পরও আপনারা এই মহাসমাবেশে এসেছেন এজন্য আপনাদের সাধুবাদ জানাই। আপনাদের হোটেলে থাকতে দেয়নি, গ্রেফতার করেছে, নির্যাতন করেছে। এসব করে কিছু লাভ হবে না।
‘‘ এই সরকারের সময় শেষ। এদের কয়েকজন তল্পিবাহক যেভাবে সকাল-বিকাল প্রলাম বকছেন, আবোল-তাবোল কথা বলছেন তাতে তাদের শেষ রক্ষা হবে না।”
নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে রাজপথে আন্দোলনে থাকার আহ্বান জানান মির্জা আব্বাস।
মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান ও দক্ষিনের আহ্বায়ক আবদুস সালামের সঞ্চালনায় মহাসমাবেশে স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, শাহজাহান ওমর, বরকত উল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু, এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আজম খান, জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মিজানুর রহমান মিনু, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, জয়নুল আবদিন ফারুক, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুব উদ্দিন খোকন, মজিবুর রহমান সারোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, হারুনুর রশীদ, আবদুস সালাম আজাদ, মাহবুবে রহমান শামীম, আসাদুল হাবিব দুলু, সাখাওয়াত হোসেন জীবন, মোস্তাক মিয়া, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বিলকিস জাহান শিরিন, শামা ওবায়েদ, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
যুব দলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানি, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, মুক্তিযোদ্ধা দলের ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসেইন, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, মতস্যজীবী দলের রফিকুল ইসলাম মাহতাব, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, ছাত্র দলের কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, মহানগর উত্তরের আমিনুল হক, দক্ষিনের তানভীর আহমেদ রবিন প্রমূখ অঙ্গসংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন।
Dhaka, Bangladesh বুধবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:22 AM |
Sunrise | 6:42 AM |
Zuhr | 12:05 PM |
Asr | 3:07 PM |
Magrib | 5:28 PM |
Isha | 6:48 PM |