- প্রচ্ছদ
-
- প্রধান খবর
- যারা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আ.লীগের অধীনে নির্বাচনে যাবে, এবার জনগণ তাদের সুমুচিত জবাব দেবে–মির্জা আব্বাস
যারা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আ.লীগের অধীনে নির্বাচনে যাবে, এবার জনগণ তাদের সুমুচিত জবাব দেবে–মির্জা আব্বাস
প্রকাশ: ৪ জুলাই, ২০২২ ৫:০৩ অপরাহ্ণ
বাবুল তালুকদারঃ বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যখন ভোট দেয়ার সুযোগ পেয়েছে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছেন। এসময় তিনি নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে বলেন, যে নির্বাচন কমিশন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে একজন বিনা ভোটের সাংসদকে সামাল দিতে পারে না! সেই কমিশন জাতীয় নির্বাচনে ৩০০ জন ভোট ডাকাতকে কিভাবে সামাল দেবেন ?
তিনি হুশিয়ার উচ্চারণ করে বলেন, যেকোনো রাজনৈতিক দল ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে যাবে, তাদের এ দেশের জনগণ সুমুচিত জবাব দেবে। নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া আওয়ামী লীগকেও নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না এবং বিএনপি ও যাবে না।
সাবেক মেয়র, মন্ত্রী ও বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস আজ ৪ জুলাই সোমবার বিকেলে খিলগাঁও থানাধীন ১, ২ এবং ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি’র সম্মেলনে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বিগত নির্বাচনকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ৩০ তারিখ তো কোন ভোট হয়নি, ইলেকশন হয়নি। আর আগের রাতেই তারা বাক্স ভরে ফেলেছে । তিনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা যদি মুসলমান হয়ে থাকেন, তাহলে মসজিদে গিয়ে বলতে পারবেন? আপনারা নিজেরাই ভোট দিয়েছেন? আপনার মা-বোনদের ভোট দিতে দিয়েছেন? আপনারা ভোট ডাকাতি করেছেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে অনেক প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে আজ এ জায়গায় এসেছি, আমরা আইয়ুব শাহীকে হটিয়েছি, এরশাদকে হটিয়েছি, শেখ হাসিনাকেও হটিয়ে দেশে আবার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব।
সাবেক এই মেয়র আরো বলেন, আজ সাংবাদিকরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, তারা অনেক কিছুই লিখতে পারে না। কারণ তাদের কণ্ঠ রোধ করতে নানান আইন কানুন করা হচ্ছে। এইতো কদিন আগে পদ্মা সেতুতে লোকসমাগম ফটনাকে কেন্দ্র করে ৯ কোটি টাকা খরচ করে টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে! কিন্তু কোন পত্রিকায় দেখেছেন? কোন মিডিয়ায় দেখেছেন এই সংবাদ পরিবেশন করেছে? করে নাই, কিংবা একটি ছবি প্রকাশ করেছে কেউ ? করে নাই।
তিনি বলেন, যারা সাগর রুনিকে হত্যা করে, যারা জনি কে ১৬টা গুলি করে হত্যা করে, সে সময় জনির স্ত্রী আক্ষেপ করে প্রশ্ন করে বলেছিল, একটি মানুষকে হত্যা করতে কতটা গুলি লাগে? এদের পক্ষে সব সম্ভব, অতএব আমাদেরও প্রস্তুত থাকতে হবে। আগামী নির্বাচনে আমরা যাব, যদি হাসিনা না থাকে। হাসিনাকে রেখে বাংলাদেশে কোন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না। দ্রুত পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে হবে , নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীকে ইঙ্গিত করে মির্জা আব্বাস বলেন, আপনি তো তিনটি আসনে নির্বাচনের দাঁড়িয়ে দুটোতেই হেরেছেন, কই তখন তো ভোট কারচুপির অভিযোগ করেন নাই, তবে আজ কেন সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে ভয় পাচ্ছেন। আজ আমরা এই সম্মেলন করে করছি, আপনাদের ভোট ডাকাতদের প্রতিহত করার জন্য। আমরা গুন্ডামি করি না ডাকাতি চুরি করি না , ইনশাআল্লাহ তবে এগুলো প্রতিহত করার শক্তি আল্লাহ আমাদের দিয়েছে।
তিনি বলেন, আমার বয়স যাই হোক আমার শরীরের অবস্থা যেমনই থাকুক, আজ আমার ছেলেরা যখন রাজপথে মিছিল করবে, আমরা তখন আর তাদের রাজপথে একা থাকতে দেব না, আমরা তাদের সাথে থাকবো। ভয়ের কোন কারণ নেই , আমরা গুন্ডামি করিনা তবে প্রতিহত করতে পারি। এবার বিনা কারণে আঘাত আসলে পাল্টা আঘাত হবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক ও খিলগাঁও থানা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ইউনুস মৃধা’র সভাপতিত্বে সম্মেলন উদ্বোধন করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-নগর বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক মোশাররফ হোসেন খোকন, লিটন মাহমুদ, সদস্য এ্যাডভোকেট ফারুক উল ইসলাম, জামিলুর রহমান নয়ন, সাইফুল্লাহ খালিদ রাজন সহ মহানগর ও স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সম্মেলননে ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি এম জামান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ হুমায়ন কবীর, সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী মোঃ কামাল উদ্দিন, ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি মোঃ সাজ্জাদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ শামসুল ইসলাম কবীর, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আমির হোসেন সরদার, ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি মোঃ আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মাইনুদ্দিন মাইনু আলোচানার মাধ্যমে সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচিত হয়েছেন।
Please follow and like us:
20 20