- প্রচ্ছদ
-
- প্রধান খবর
- যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড স্টেটের নামকরণ হলো ‘জিয়াউর রহমান ওয়ে’
যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড স্টেটের নামকরণ হলো ‘জিয়াউর রহমান ওয়ে’
বাংলাদেশী-আমেরিকান কমিউনিটি মেরিল্যান্ড- আয়োজিত বর্ণাঢ্য এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জ্যেষ্ঠ সন্তান ও তাঁর প্রতিষ্ঠিত দল, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান
প্রকাশ: ২১ জুন, ২০২১ ৯:১৬ পূর্বাহ্ণ
যুক্তরাষ্ট্রে:- যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড স্টেটের বাল্টিমোরে সড়কে শোভা পাচ্ছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাম। বাল্টিমোর সিটির ডিপার্টমেন্ট অব ট্রান্সপোর্ট কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের কালজয়ী এই নেতার নামে সড়কটির নামকরণ করে ‘জিয়াউর রহমান ওয়ে।’
রবিবার শতশত প্রবাসী বাংলাদেশীর উপস্হিতিতে সড়কটির ফলক উন্মোচন করেন মেরিল্যাল্ড স্টেট ডেলিগেট রবিন টি লুইস। বাংলাদেশী-আমেরিকান কমিউনিটি মেরিল্যান্ড- আয়োজিত বর্ণাঢ্য এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জ্যেষ্ঠ সন্তান ও তাঁর প্রতিষ্ঠিত দল, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শতশত প্রবাসী বাংলাদেশীর উপস্হিতিতে বর্ণাঢ্য এই ফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মেরিল্যান্ড হাউস মেম্বার ডেলিগেট রবিন টি লুইস, ডেলিগেট হ্যারি ভেন্ডারি, গভর্নর অফিসের কমিশনার ড: স্যাম কারকি, মেয়র অফিসের প্রতিনিধি ড: রবার্ট জ্যাকসন এবং মুলধারার রাজনীতিক গভর্নর অফিসের সাবেক কমিশনার আনিস আহমেদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানযেমনিভাব স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে সম্মুখ সমরে লড়ে দেশের চুড়ান্ত বিজয় নিশ্চিত করেছিলে , তেমনি দেশ গড়ার কাজে আত্ননিয়োগ করে বাংলাদেশকে একটি স্বনির্ভর ও আত্নমর্যাদাশীল জাতি হিসাবে বিশ্বের বুকে পরিচিতি করেছিলেন। বাল্টিমোর সিটির সড়কটিকে জিয়াউর রহমান ওয়ে নামকরণ করায় সিটি কর্তৃপক্ষের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বাংলাদেশের এই শীর্ষ রাজনৈতিক নেতা বলেন, জিয়াউর রহমানের সময়ে বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে। পারস্পরিক সহযোগিতা ছাড়াও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দুই দেশ সেময়ে যুগপৎ ভূমিকা পালন করে। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার ও বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান অগ্রণী ভূমিকা আজও সকলে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে। এসময় তিনি প্রেসিডেন্ট জিয়ার যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রীয় সফরের কথা উল্লেখ করেন।
ডেলিগেট রবিন লুইস বলেন, বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে সম্মান জানাতে পেরে বাল্টিমোর অত্যন্ত আনন্দিত। শহীদ জিয়াকে আন্তর্জাতিক নায়ক উল্লেখ করে স্থানীয় এই জনপ্রতিনিধি বলেন, তাঁকে সম্মান জানোর অর্থ হচ্ছে গণতন্ত্রের প্রতি, মানুষের অধিকারের প্রতি সম্মান জানানো। প্রেসিডেন্ট জিয়া যেমন দেশ গড়েছেন, তেমনি মানুষের অধিকারকেও সমুন্নত রেখেছেন।
ডেলিগেট হ্যারি বেন্ডারি বলেন, আজকের এই আনন্দ কেবল বাংলাদেশী কমিউনিটির নয়, সমগ্র এশিয়ান কমিউনিটির। তিনি বলেন, এই শহরে প্রেসিডেন্ট জিয়ার নামে যে সড়কের ফলক উন্মোচিত হলো, তা চির অম্লান থাকবে। তিনি মূল ধারার রাজনীতিতে বাংলাদেশী কমিউনিটির আরও ব্যাপক অংশগ্রহণ কামনা করেন।
আনিস আহমেদ বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতির সূচনা করেছিলেন। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে সকল দল ও মতের রাজনীতির সুযোগ অবারিত করেছিলেন। বিশ্বসভায় বাংলাদেশে পরিচিতি পেরেছিলো তার কারণে। গোটা বিশ্বে আজও তাঁর অভার তীব্রভাবে অনুভূত হয়। জিয়াউর রহমান ওয়ে তাঁর প্রতি সম্মানের বহি:প্রকাশ বলে উল্লেখ করেন মূলধারার এই রাজনীতিক।
Please follow and like us:
20 20