বিডি দিনকাল ডেস্ক :- আজ ২২শে ডিসেম্বর, ১৯৮৪ সালে গনতন্ত্র পূণরুদ্ধার ও স্বৈরাচার বিরোধী লড়াইয়ের জীবন্ত কিংবদন্তি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা রুহুল কবির রিজভী আহমেদের গুলিবিদ্ধ দিবস।
১৯৮৪ সালের ২২ ডিসেম্বর দেশব্যাপি “শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (SKOP-স্কপ)” এর ডাকা একটানা ৪৮ ঘন্টার ধর্মঘট পালন করতে গিয়ে বিডিআর এর গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা রুহুল কবির রিজভী। বিডিআর এর গুলিতে তার পেটের নাড়িভুঁড়ি ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়।
এবং প্রাণ হারান জাসদ ছাত্রলীগ নেতা শাহজাহান সিরাজ।
রাবি ক্যাম্পাসের জনপ্রিয় ছাত্রনেতা রুহুল কবির রিজভী ও শাহজাহান সিরাজ অন্যদের নিয়ে অবস্থান নিয়েছিলেন রাবি রেল ষ্টেশন এলাকায়। সেসময় হঠাৎ করেই বিডিআর ভর্তি একটি ট্রেন ক্যাম্পাসে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয় রেল স্টেশনে এসে থামে। ট্রেন থেকে নেমে পেটোয়া বিডিআর বাহিনী এবং নিমেষেই ধর্মঘটের সমর্থনে পিকেটিংরত ছাত্রদের উপর বর্বরোচিত হামলা চালায়।দীর্ঘ সময় ধরে তাদের নৃশংস তাণ্ডব ও গুলি বর্ষণের এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল সভাপতি ছাত্রনেতা রুহুল কবির রিজভী ও ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন জাসদ সমর্থিত ছাত্রলীগ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক ছাত্রনেতা শহীদ শাহজাহান সিরাজ।
সেই দিন রেল ষ্টেশন চত্বরের হকার আব্দুল আজিজ ঘটনার সময় জীবন বাঁচাতে আশ্রয় নিয়েছিলেন ষ্টেশন সংলগ্ন শহীদ সোহরাওয়ার্দি হলে। কিন্তু সেখানে গিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি। হলের তৃতীয় তলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন রেল ষ্টেশন চত্বরের হকার আব্দুল আজিজ।
৯০ এ রাকসু বিজয়ী বীর,রাকসু ভিপি, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক নির্বাচিত সভাপতি ও বি এন পির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী নিজের জীবনের রক্ত দিয়ে যেমন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সহ রাজশাহী তেএরশাদশাহীর তখত্ তাউস উড়িয়ে দিয়েছিলেন,ঠিক তেমনি ঢাকার রাজপথে,৯৬-২০০১, ১/১১ থেকে চলমান ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে নিজের জীবন বাজী রেখে এখনো লড়াই করে যাচ্ছেন।
লেখা – সংগৃহীত ও সংযোজিত।
২২ ডিসেম্বর,২০২০।