আজ সোমবার | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | সন্ধ্যা ৭:০১
ইট-বালুর ব্যবসায় লগ্নি করতে বন্ধু শান্তকে দুই লাখ টাকা দিয়েছিল ইকরাম হোসেন মোল্লা (২২)। চুক্তি অনুযায়ী তাকে প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু ছয় মাস আগে টাকা লগ্নি করেও কোনো টাকা পায়নি ইকরাম। এরমধ্যে নেশা করে সব টাকা খুইয়ে ফেলে শান্ত। টাকা চাওয়ায় শান্ত তার বন্ধু ইকরামের ওপর ক্ষিপ্ত হয়। শান্ত এবং তার বন্ধু মিলে ইকরামকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে।
গত ৪ঠা মে রাতে ইকরাম বাসায় জানায়, শান্ত ফোন করেছে, দেখা করতে যাচ্ছি। এরপর আর ফেরেনি ইকরাম। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও ইকরামের সন্ধান না পেয়ে রাজধানীর খিলক্ষেত থানায় সাধারণ ডায়েরি করে পরিবার। গত শনিবার সন্ধ্যায় স্থানীয়দের দেয়া খবরে খিলক্ষেত এলাকার পাতিরায় বসুন্ধরা বালুর মাঠ সংলগ্ন ডোবা থেকে ইকরামের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ বলছে, পরিকল্পনা করেই নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে ইকরামকে।তার চোখও তুলে ফেলা হয়েছিল।
হত্যা নিশ্চিত করে ডোবায় ফেলে কচুরিপানা দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়েছিল মরদেহ। এ ঘটনায় খিলক্ষেত থানায় অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা কবির হোসেন মোল্লা। মামলা নম্বর-৫। মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, গত ৪ঠা মে রাত সোয়া ৮টা থেকে শনিবার দুপুর ১টার মধ্যে যেকোনো সময় পরস্পর যোগসাজশে আমার ছেলে ইকরাম হোসেন মোল্লা (২২)কে হত্যা করা হয়েছে। লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে বসুন্ধরা স্টেডিয়ামের পূর্ব পাশে বসুন্ধরা বালুর মাঠ সংলগ্ন ডোবার পশ্চিম কিনারে ফেলে কচুরিপানা দিয়ে ঢেকে রাখে। মামলায় তিনি বন্ধুদের সঙ্গে টাকা-পয়সা লেনদেন নিয়ে বিরোধের বিষয়টি উল্লেখ করেন।
মামলার পর অভিযুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। খিলক্ষেত থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এনামুল হক খন্দকার জানান, নিহত ইকরাম হোসেনের বাড়ি রাজধানীর খিলক্ষেতের ডুবনী নূরপাড়ায়। তিনি রাজধানীর তেজগাঁও কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। ইকরামকে হত্যার দায়ে শান্ত ও আবু সিদ্দিক নামে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যায় নিজেদের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছেন। নিহতের বোন ঝুমা সাংবাদিকদের জানান, এলাকার সমবয়সী ছেলে শান্ত ইট-বালুর ব্যবসায় লগ্নি করার জন্য প্রলুব্ধ করেছিল ইকরামকে। টাকা নেয়ার পরও গত ছয় মাসে কোনো টাকা দেয়নি। তিনি আরও বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে শান্তই ফোন করে ইকরামকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর কাল ইকরামের মরদেহ গলাকাটা, চোখ উঠা অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। আমরা হত্যাকারীর ফাঁসি চাই।
Dhaka, Bangladesh সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:58 AM |
Asr | 2:58 PM |
Magrib | 5:18 PM |
Isha | 6:39 PM |