গ্রেফতারকৃত হলো- মোঃ হাফিজুল ইসলাম সরদার ওরফে ডাঃ শফিক শাহরিয়ার ওরফে মোঃ শফিক ওরফে মামুন । এসময় তার হেফাজত হতে ডাক্তার হিসেবে পরিচয় দিয়ে তৈরি করা ভিজিটিং কার্ড ১২টি, পিপলস্ ডিজিটাল ভায়াগনস্টিক সেন্টার এ্যান্ড কনসালটেশন এর ল্যাব রিপোর্ট সরবরাহে খালি খাম ৮০টি, পিপলস্ ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার এ্যান্ড কনসালটেশন এর রিপোর্ট লেখার প্যাডের খালি পাতা ৪৫টি, দুর্নীতি দমন কমিশন এর লোগো এবং লোগোর জলছাপ সম্বলিত, লিগ্যাল নোটিশের খালি প্যাডের পাতা ০৫টি, বিআরটিএ-এর অস্থায়ী অনুমতিপত্র (খালি ফরম) ১০ পাতা, বিভিন্ন টেলিভিশনের আঠালো স্টিকার ১৩১টি, বিআরটিএ এর বিভিন্ন সিল ০৩টি, ছবিযুক্ত দুদক, রাজউক, বিআরটিএ, আরআইসি কর্মকর্তা পরিচয়ের আইডি কার্ড ৫টি, একটি OPPO A5s মোবাইল ফোন, সিম কার্ড ২টি ও তারিখ সীল (তারিখ পরিবর্তন যোগ্য) ১টি জব্দ করা হয়।
গত বুধবার (২৬ জানুয়ারি ২০২২) রাত ০৯:৪৫ টায় যাত্রাবাড়ী থানার কোনাপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে খলিল মাস্টার মসজিদ রোডস্থ বাসা নং ১৪৩/১ এর ২য় তলার ভাড়াটিয়া বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এ সংক্রান্তে গোয়েন্দা সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের ওয়েব বেইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আশরাফউল্লাহ, পিপিএম জানান, যাত্রাবাড়ী থানার কোনাপাড়া এলাকায় খলিল মাস্টার মসজিদ রোডস্থ বাসা নং ১৪৩/১ এর ২য় তলায় কতিপয় জাল-জালিয়াতি চক্রের সদস্য বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের সিল ব্যবহার করে প্রতারণামূলকভাবে বিভিন্ন লোকের কাছে আসল হিসেবে টাকার বিনিময়ে বিক্রি করার উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে মর্মে তথ্য পাওয়া যায় । এমন তথ্যের ভিত্তিতে উক্ত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে মোঃ হাফিজুল ইসলাম সরদারকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি বলেন, ধৃত আসামী ডেমরা থানার কোনাপাড়ার জনৈক শফিক এর কম্পিউটারের দোকানসহ দৈনিক বাংলা মোড় এলাকার বিভিন্ন প্রেস থেকে জব্দকৃত আইডি কার্ড, স্টিকার, সীল মোহর, মেডিকেল রিপোর্ট প্যাডগুলো টাকার বিনিময়ে তৈরি করে। জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, সে প্রতারণার মাধ্যমে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে তার ছবি ও নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তার ভুয়া আইডি কার্ড তৈরি করে, নিজেকে সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দেওয়ার জন্য বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের স্টিকার তৈরি করে এবং নিজেকে ডাক্তার হিসেবে পরিচয় দিয়ে ভুয়া মেডিকেল রিপোর্ট তৈরিপূর্বক বিদেশগামী বিভিন্ন লোকজনের কাছে অর্থের বিনিময়ে সরবরাহ করার উদ্দেশ্যে মেডিকেল রিপোর্টের খালি প্যাডগুলো তৈরি করে। এঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান গোয়েন্দা কর্মকর্তা।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর গোয়েন্দা সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম পিপিএম ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ফজলুর রহমান, বিপিএম (সেবা) এর সার্বিক তদারকিতে এবং ওয়েব বেইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম ইনচার্জ অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আশরাফউল্লাহ, পিপিএম এর নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়।