আজ বুধবার | ১০ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২৩শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৯:৫৩
বিডি দিনকাল ডেস্ক : ঢাকার কামরাঙ্গীরচর থানা। মূল গেট দিয়ে থানায় প্রবেশ করতেই প্রথমে চোখে পড়বে নারী-শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্ক। দেশের প্রতিটি থানায় এমন ডেস্ক রয়েছে। তবে কামরাঙ্গীরচর থানার ওই ঘরে এর বাইরেও রয়েছে বই পড়ার সুযোগ। এমন সুযোগ আছে লালবাগ থানাতেও।
পুলিশি কাজের জন্য ঘরটিতে যা থাকার কথা, সেগুলোর পাশাপাশি রয়েছে অতিরিক্ত দুটি বইয়ের তাক। সেখানে সাজানো রয়েছে উপন্যাস, কবিতা, ছোট গল্প ও বিভিন্ন আইনের বই।
থানায় বিভিন্ন প্রয়োজনে আসা ব্যক্তি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরাই নন, এসব বই পড়ার সুযোগ রয়েছে এলাকাবাসীরও। গ্রন্থাগারে বসে বই পড়ার পাশাপাশি কেউ চাইলে বাড়িতে নিয়েও পড়তে পারবেন।
কামরাঙ্গীরচর থানা থেকে রায়হান আহমেদের বাড়ির দূরত্ব হাঁটাপথ। বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন তিনি। রায়হান প্রথম আলোকে বলেন, ‘সময় পেলেই আমি থানায় গিয়ে বই পড়ি। থানার গ্রন্থাগারে নানা ধরনের বই রয়েছে। আমার মতো অনেকেই এখানে বই পড়তে আসেন।’
থানায় বিভিন্ন প্রয়োজনে ও সাহায্য চাইতে সব বয়সের মানুষ আসেন। এই বিষয় মাথায় রেখে বইয়ের সংগ্রহশালা বাড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কামরাঙ্গীরচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, গ্রন্থাগারে প্রতি মাসেই নতুন নতুন বই আনা হচ্ছে।
একইভাবে গ্রন্থাগার তৈরি করা হয়েছে ডিএমপির লালবাগ থানায়ও। থানায় অপেক্ষারত মানুষদের বই পড়ার সুযোগ করে দিতে সেখানে চার মাস ধরে চালু আছে ব্যতিক্রমী গ্রন্থাগার। পুলিশ বলছে, কোনো একটি অভিযোগ নিয়ে যখন কোনো পরিবারের একাধিক সদস্য থানায় আসেন, তখন এক-দুজন ছাড়া বাকিদের সবাইকে বসে থাকতে হয়। অলস বসে না থেকে তাঁরা যেন বই পড়তে পারেন, সে জন্যই এই গ্রন্থাগার।
ডিএমপি লালবাগ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) নিশাত রহমান মিথুন প্রথম আলোকে বলেন, বই পড়ার অভ্যাস গড়তেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বই মানুষের মননকে শাণিত করে। চিন্তা–চেতনায় অগ্রসরতা তৈরি হয়।
লালবাগ থানার নারী-শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্কের তত্ত্বাবধায়ক (ইনচার্জ) উপপরিদর্শক (এসআই) মুক্তি দত্ত উমা। তিনি লালবাগ থানার গ্রন্থাগার দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন। মুক্তি দত্ত উমা প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমার বই পড়ার অভ্যাস। আমার ডেস্কে যখন কাজ থাকে না, তখন বই পড়ি।’ তিনি আরও বলেন, ‘গত চার মাসে আমি কালবেলা, দেয়ালসহ কয়েকটি উপন্যাস পড়ে ফেলেছি।’
থানায় পুলিশ সদস্যদের সার্বক্ষণিক ব্যস্ত সময় কাটে। তাঁদের বই পড়ার সুযোগ হয় না।
তাই পুলিশ সদস্যদের মধ্যে যাঁদের বই পড়ার অভ্যাস রয়েছে, তাঁরা চাইলে বাসায় নিয়ে বই পড়তে পারবেন। দুই থানার গ্রন্থাগারে রয়েছে আইনের অনেক বই। আইনের কোনো বিষয় তাৎক্ষণিকভাবে জানতেও এসব বইয়ের সহায়তা নিতে পারেন। সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, প্রতিটি থানা এলাকায় গ্রন্থাগার নেই। তবে বই পড়ার অভ্যাস রয়েছে—এমন অনেকেই প্রতিটি থানা এলাকায় বসবাস করেন। যাঁদের বই পড়ার অভ্যাস রয়েছে, তাঁরা খুব সহজেই থানায় এসে বই পড়তে পারবেন। তথ্য সূত্র: প্রথম আলো।
Dhaka, Bangladesh বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:38 AM |
Zuhr | 11:59 AM |
Asr | 2:59 PM |
Magrib | 5:19 PM |
Isha | 6:40 PM |