মৃত আসাদুলের ভগ্নিপতি ও চাচাতভাই সুমন জানান, গত ৪ আগস্ট বুধবার বিকেলে আসাদুল মোটরসাইকেলযোগে পীরগঞ্জ শহরে তার বোনের বাড়িতে আসে। সন্ধ্যার দিকে সে মোবাইলে তার পরিচিত একজনের ফোন পেয়ে বোনের বাড়িতে মোটরসাইকেল রেখে বাইরে চলে যায়। কিন্ত ওই রাতে সে আর বাড়িতে ফেরেনি। ওই রাতে পাশ্ববর্তী রাণীশংকৈল উপজেলার গোগর-পকম্বা রাস্তার পাশে ধানক্ষেতে লোকজন এক অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ পড়ে থাকতে দেখে। তারা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালামকে এ খবর দেয়। চেয়ারম্যানের পক্ষে গ্রাম পুলিশ নূরুল ইসলাম থানার ওসি এস এম জাহিদ ইকবালকে এ সংবাদ জানান। সংবাদ পেয়ে ওই রাতেই ওসি এস আই খাজিমউদ্দিন ও সঙ্গীয় পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
লাশের শরীরে প্রায় ২০/২৫টি আঘাতের চিহ্ন দেখা যায় যা ধারাল চাকুর আঘাত মর্মে এস আই খাজিমউদ্দিন নিশ্চিত করেন। পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরদিন ৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন, এ এস পি( সার্কেল) তোফাজ্জল হোসেন ও ওসি সহ পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এনিয়ে এদিন মৃতের বাবা বাদি হয়ে রাণীশংকৈল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের
করেছেন মর্মে এসআই খাজিমউদ্দিন জানান। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।