স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দুর্জয় একজন মানসিক প্রতিবন্ধী। (গত ১৯ এপ্রিল মঙ্গলবার) বিকেলে সে বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। সন্ধায় বাড়িতে ফিরে না এলে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায় নি। এ নিয়ে ওই রাতেই দুর্জয়ের বাবা রাণীশংকৈল থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করেন। পরদিন বুধবার ২০ এপ্রিল দুপুরে স্থানীয়রা ওই গ্রামের কাতিয়া নামক পুকুরে দুর্জয়ের লাশ দেখতে পায়। তারা ফোনে রাণীশংকৈল থানা পুলিশের অনুমতি নিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
এদিকে মৃত দুর্জয়ের মা তাপসী রাণী রাণীশংকৈল ও পীরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের নামে অভিযোগ করে বলেন আমি গতকাল ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে ফোন দিই কিন্তু তারা শিশুটি পুকুরে পড়ছে কিনা বিষয়টি নিশ্চিত না করলে তারা আসতে পারবে না বলে জানান।
এ ব্যাপারে রাণীশংকৈল ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার নাসিম ইকবাল বলেন , মৃত দুর্জয় কর্মকারের পরিবার গতকাল ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে এসেছিল। তারা শিশুটি নিখোঁজ হবার কথা জানান এবং পুকুরে পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেন নি।তাই আমরা ঘটনা ও ঘটনাস্থল নিশ্চিত না হওয়ায় সেখানে যেতে পারিনি।
রাণীশংকৈল থানা অফিসার ইনচার্জ এস এম জাহিদ ইকবাল জানান, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ সৎকারের অনুমতি দেয়া হয়েছে।