আজ রবিবার | ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২০শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | বিকাল ৫:১১
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ভেতর দিয়ে কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী লীগ শাসনের অবসানের পরে জনগণের মনে রাষ্ট্র সংস্কারের যে গভীর আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টি হয়েছে, সেই সংস্কারকাজ সম্পন্ন করার দায়িত্ব নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই সংস্কারকাজটি সুসম্পন্ন হওয়া প্রয়োজন। রাষ্ট্র সংস্কার যেন পরবর্তী সময়ে কার্যকর করা হয়, সেজন্য সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে একটি সমঝোতা থাকতে হবে। এরপরই জাতীয় নির্বাচন হতে পারে।
গতকাল দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ এর উদ্যোগে এবং সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সহায়তায় ‘ভোটার সচেতনতা ও নাগরিক সক্রিয়তা কার্যক্রম: রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচন’- শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন নাগরিক সমাজের নেতারা। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে আয়োজিত এই বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন সুজনের সহ-সভাপতি সাবেক বিচারপতি এমএ মতিন।
গোলটেবিল আলোচনায় আলোচকরা বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারে বেশ কয়েকটি বিষয় সামনে উঠে এসেছে। তার মধ্যে অনেক বিষয় রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে সম্পন্ন করা সম্ভব। আবার কিছু বিষয়ের সংস্কার অন্তর্বর্তী সরকারের এখতিয়ারভুক্ত কি না, তা নিয়ে নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তবে, কথা হলো- সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, নির্বাচনের আগে যেমন সংস্কার প্রয়োজন, নির্বাচনের পরেও তা চলমান রাখতে হবে।
বিচারপতি এমএ মতিন বলেন, দেশে একটি পরিবর্তন আনার জন্য আবু সাঈদ, মুগ্ধর মতো সূর্যসন্তানেরা প্রাণ দিয়েছেন। বহু মানুষ আহত হয়েছেন। তাদের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা আছে। ফলে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতেই হবে। একটা সত্যিকারের পরিবর্তন বা সংস্কার আনতে হবে। এজন্য যে সংস্কার প্রস্তাব গৃহীত হবে, তা কার্যকর করার জন্য যারা নির্বাচনে বিজয়ী হবেন, তাদের দায়বদ্ধ থাকতে হবে, যারা বিরোধী দলে যাবেন, তাদেরও পূর্ণ সমর্থন থাকতে হবে। এজন্য একটি জাতীয় সনদ করা যেতে পারে, যেখানে প্রতিটি রাজনৈতিক দল স্বাক্ষর করে সংস্কার বাস্তবায়নের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হবেন।
সাবেক সচিব একেএম আবদুল আউয়াল মজুমদার বলেন, ভবিষ্যতে কোনো নির্বাচনেই নয়/ছয় করার কোনো সুযোগ থাকা চলবে না। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে, নাগরিকের নিজেদের ভোটদানের অধিকার নিশ্চিত হলে, রাজনীতিকেরাও অনেক দায়িত্বশীল হবেন। তিনি বলেন, আদর্শিক বা কর্মপন্থা নিয়ে দলগুলোর মতভিন্নতা থাকতে পারে, তবে মৌলিক বিষয়গুলোতে সব রাজনৈতিক দলের সমঝোতা থাকতে হবে। তা না হলে সংস্কারচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার আশঙ্কা থাকবে।
প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান বলেন, সংস্কার প্রস্তাব আসার অপেক্ষায় না থেকে নির্বাহী আদেশে যেসব পরিবর্তন করা যায়, সরকার সেই পরিবর্তনগুলো করতে পারে। বলা হয়ে থাকে, বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে যে চারটি জাতীয় নির্বাচন হয়েছে, সেগুলো সুষ্ঠু ছিল কিন্তু নির্বাচন যা-ই হোক, সুষ্ঠু গণতন্ত্র ছিল না। এ বিষয়ে আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলো পুরোপুরি সচেতন নয়। রাজনৈতিক দলের ভেতরেও সংস্কার করতে হবে।
সাংবাদিক মাহাবুব কামাল বলেন, বাংলাদেশের যে সমস্যা, তার স্বল্প ও মধ্য মেয়াদের কোনো সমাধান নেই। এজন্য দীর্ঘ প্রক্রিয়া প্রয়োজন। জনসাধারণের মনোজগতের পরিবর্তন আনতে হবে। রাষ্ট্র সংস্কারের পাশাপাশি জনসংস্কৃতির পরিবর্তনের জন্যও কাজ করতে হবে।সূত্র:মানবজমিন
Dhaka, Bangladesh রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:16 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:57 AM |
Asr | 2:57 PM |
Magrib | 5:17 PM |
Isha | 6:38 PM |