আজ সোমবার | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ৯:৫৯
দায়িত্ব নেয়ার পর গত শনিবার প্রথমবারের মতো দেশের সকল জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে ঢাকায় মতবিনিময় সভা করেছে নির্বাচন কমিশন। সভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে জনমনে আস্থাহীনতার জন্য ডিসি-এসপিদের ওপর দায় চাপান। এ ছাড়া ডিসিদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বলেন, মাঠ প্রশাসনের কর্তাদের নখদন্তহীন এবং তারা মন্ত্রী-এমপিদের ছাড়া চলতে পারেন না। ম্যাজিস্ট্রেটদের জন্য বরাদ্দ গাড়ির জন্য তেলের টাকাও ডিসিরা দেন না। তার বক্তব্যের এই পর্যায়ে সভাকক্ষের মধ্যেই একযোগে ডিসি-এসপিরা হইচই শুরু করেন। এক পর্যায়ে কমিশনার আনিছুর রহমান বলেন, তাহলে কী আপনারা আমার বক্তব্য শুনতে চান না? জবাবে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা নেতিবাচক সাড়া দিলে বক্তব্য না বাড়িয়ে ডায়াস ছেড়ে মঞ্চের নির্ধারিত আসন গ্রহণ করেন তিনি। সভা পরবর্তী সংবাদ ব্রিফিংয়ের সময় অন্য তিন নির্বাচন কমিশনার এলেও আনিছুর রহমান সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। এরপর রোববার থেকে অফিসও করছেন না তিনি। এ ছাড়া গতকাল গাইবান্ধা-৫ আসনের নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সময় অন্য সব কমিশনাররা উপস্থিত থাকলেও তিনি ছিলেন না।
এমন পরিস্থিতিতে গুঞ্জন উঠেছে পদত্যাগ করতে পারেন ইসি আনিছুর রহমান।
তবে এই গুঞ্জনকে উড়িয়ে দিয়ে গণমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, আমি এমন সিদ্ধান্ত নেই নাই। কোথাও বলিও নাই। পত্রিকায় যারা বলছে, তাদের জিজ্ঞেস করেন। অফিস করছেন না কেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার সুবিধামতো সময়ে অফিস করবো। কালও যেতে পারি। রোববারও যেতে পারি। এ বিষয়ে আনিছুর রহমানের একান্ত সচিব শাহ মো. কামরুল হুদার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্যারের অফিস কক্ষটি ডেকোরেশন করা হচ্ছে। ডেকোরেশনের কাজ আগামী রোববার শেষ হতে পারে। কাজ শেষ হলে হয়তো উনি অফিস করবেন। এদিকে বিষয়টি নিয়ে গত সোমবার ইসি রাশেদা সুলতানা বলেন, হইচই করাটা তাদের ঠিক হয়নি। পরিবেশটা তৈরি হওয়া কোনোভাবেই ঠিক হয়নি। সাময়িকভাবে বলবো- মনে একটু খারাপ লাগছে। বিব্রত তো বটেই কারণ ওরকম একটা ঘটনা কে চায়? মাথার মধ্যেই তো আনতে পারি নাই যে, ওরকম একটা পরিস্থিতি তৈরি হবে।
তিনি বলেন, যে প্রসঙ্গ নিয়ে হঠাৎ উত্তেজনাকর অবস্থার সৃষ্টি হলো সেগুলো যে খুব মিথ্যা তা কিন্তু না। প্রসঙ্গগুলো যে আমাদের সমাজে নাই তা কিন্তু না। প্রসঙ্গগুলো সত্য। হয়তো বলার ধরনটা ওনারা নিতে পারেন নাই। বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, হয়তো সামান্য একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এটা নিয়ে এত চিন্তা-ভাবনার কোনো কারণ নাই। ওদিকে বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী যাদের কাজ করার কথা, তারা নির্দেশনা শুনে হইচই করেছে। নির্বাচন কমিশন অসহায়ভাবে তা মেনে নিচ্ছে। এ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, এই যদি নির্বাচন কমিশনের অবস্থা হয়, তবে নির্বাচনের সময়ে পরিস্থিতি কেমন হতে পারে? এখনই নির্বাচন কমিশন যাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না বা করছে না, নির্বাচনের সময় কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে?
Dhaka, Bangladesh সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:58 AM |
Asr | 2:58 PM |
Magrib | 5:18 PM |
Isha | 6:39 PM |