আজ বৃহস্পতিবার | ২৫শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৯ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |৯ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১২:৪৫
বিডি দিনকাল ডেস্ক :–‘
বৃহস্পতিবার দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব এই অভিযোগ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘‘ এই লকডাউনকে কেন্দ্র করে তারা(সরকার) একটা ক্র্যাকডাউনে নেমেছে। এই ক্র্যাক ডাউনে নেমে তারা সমস্ত বিরোধী দলের নেতা-কর্মী, আমাদের দলের নেতা-কর্মী, অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী, অন্যান্য সংগঠনের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করছে, হয়রানি করছে, মিথ্যা মামলা দিচ্ছে।”
‘‘ ক্র্যাকডাউনের এই সুযোগটা(লকডাউন) নিয়ে তারা (সরকার) বিরোধী দলের বাড়িতে হামলা করছে। সারাদেশে দলের নেতা-কর্মীরা কেউ বাড়িতে থাকতে পারছে না।”
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ আজকের এই সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আমরা আহবান জানাচ্ছি অবিলম্বে আমাদের নেতা-কর্মীদের মুক্তি দিন এবং তাদের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে তা প্রত্যাহার করুন। দেশে একটা গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করুন, গণতান্ত্রিক স্পেস তৈরি করুন।”
‘‘ অন্যথায় এর খেসারত আপনাদেরকে অবশ্যই দিতে হবে। জনগনের কাছে তার দায়-দায়িত্ব আপনাদেরকে বহন করতে হবে।”
২৬ মার্চে স্বাধীনতা সূবর্ণ জয়ন্তী দিন থেকে নানা ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘‘ আওয়ামী লীগ সরকার যারা জনগনের ভোটে নির্বাচিত নয় তারা রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে, বিশেষ করে পুলিশ বাহিনীকে ব্যবহার ঢাকা, চট্টগ্রাম, ব্রাক্ষনবাড়ীয়াসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় অসংখ্য মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করতে শুরু করেছে।”
‘‘ আপনারা দেখেছেন বিভিন্ন সংগঠনের বিরুদ্ধে হয়রানি অভিযান, রাতে গ্রেপ্তার অভিযান তারা চালিয়ে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত আমরা যে হিসাব পেয়েছি তাতে বিএইপির ১৮১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, পাবনায় একজন গ্রেপ্তার হওয়ার পরে তার মৃত্যৃ হয়েছে। আমাদের ছাত্র দলের গ্রেপ্তার হয়েছেন ৮১ জন, যুব দলের গ্রেপ্তার হয়েছেন ৩০ জন, স্বেচ্ছাসেবক দলের গ্রেপ্তার হয়েছে ১১ জন। আগে গ্রেপ্তার হওয়া ঢাকা মহানগর দক্ষিনের সভাপতি রফিকুল আলম মজনু গতকাল জামিনে মুক্ত হলেও জেলগেট থেকে গ্রেপ্তার করে আবার পুলিশ নতুন করে মামলা দিয়েছে, আমাদের দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরীকেও একভাবে নতুন করে আরেকটি মামলায় জড়িত করে চারদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।”
ফখরুল বলেন, ‘‘ এই যে অবস্থাটা তৈরি হয়েছে এটাকে আমাদের হালকা করে দেখার অবকাশ নেই। আমরা যেটা দেখছি যে, আওয়ামী লীগ বরাবরই যেটা করে এসছে তা হচ্ছে যে, যেহেতু জনগনের তাদের কাছে নেই, গণভিত্তি নেই এবং এভাবে অত্যাচার-নির্যাতন-গ্রেপ্তার-
‘‘ তাদের চক্রান্ত-ষড়যন্ত্রটা হচ্ছে এটাই- যে তারা যে করেই হোক গ্রেপ্তার-হত্যা-গুম-নির্যাতনের মধ্য দিয়ে বিরোধী দলের যে সংবিধান সম্মত অধিকার মত প্রকাশ করবার স্বাধীনতা, কথা বলার স্বাধীনতা, লেখার স্বাধীনতা সব কিছুকেই দমন করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা তারা স্বপ্ন দেখেছিলো অতীতে সেটাকে তারা বাস্তবায়িত করতে চায়- সেই লক্ষ্যে তারা কাজ করে যাচ্ছে।”
সরকার হেফাজত ইসলামকে নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে কি বিএনপির ওপর নির্যাতন বাড়াচ্ছে কিনা জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘‘ সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে একটা কর্তৃত্ববাদী এক দলীয় সরকারকে পুরোপুরিভাবে প্রতিষ্ঠা করা। সেই লক্ষ্যে তারা শুধু বিএনপি নয়, শুধু বাম জোট নয় বা অন্যান্য দলগুলো নয় বা ইসলামী দলগুলো নয় বা হেফাজত নয়। সকলের উপরে নিপীড়ন-নির্যাতন চালাচ্ছেন যাতে করে কোনো বিরোধী কন্ঠ উচ্চারিত না হয়, ভিন্ন মত না আসে –এটাই হচ্ছে তাদের প্রধান লক্ষ্য।”
‘‘ পুরোপুরিভাবে একটা কর্তৃত্ববাদী, একদলীয় রাষ্ট্র ব্যবস্থা তৈরি করা –এটাই হচ্ছে এই সরকারের লক্ষ্য।”
তিনি বলেন, ‘‘ আমরা বিশ্বাস করি, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে জনগন যে স্বপ্ন নিয়ে, আশা-আকাংখা নিয়ে এদেশে যুদ্ধ করেছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ঘোষণার মধ্য দিয়ে, সেই জাতি সেই দেশের জনগন কখনোই এই ধরনের কর্তৃত্বাবাদী, একনায়কোতন্ত্র, একদলীয় শাসনব্যবস্থা মেনে নেবে না। অবশ্যই দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই কর্তৃত্ববাদী নির্যাতনকারী সরকার তাকে সরাতে বাধ্য করবে।”
ভার্চুয়াল এই সংবাদ সম্মেলনে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াসহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও সংবাদ সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
Dhaka, Bangladesh বুধবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:22 AM |
Sunrise | 6:42 AM |
Zuhr | 12:05 PM |
Asr | 3:07 PM |
Magrib | 5:28 PM |
Isha | 6:48 PM |