আজ বৃহস্পতিবার | ২৯শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৪ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |১২ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১১:১৪
হাসিনার দোসরদের একের পর এক প্রাইজ পোস্টিং দিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মিশন লন্ডনে। এবার সেখানে পোস্টিং পেতে যাচ্ছেন কট্টর আওয়ামী লীগার, হাসিনার একনিষ্ঠ কর্মী-ভক্ত হিসেবে পরিচিত মেক্সিকোর রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম। ইতোমধ্যে লন্ডনে তার নিয়োগের বিষয়ে ইউকে সরকারের অনুমোদনের জন্য কূটনেতিক পত্র প্রেরণ করা হয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে।
জানা গেছে, আবিদা ইসলাম বিগত ৭ বছর রাষ্ট্রদূত হিসেবে শেখ মুজিব, শেখ হাসিনা এবং পতিত আওয়ামীলীগের বন্দনা আর অফিসার-স্টাফদের সাথে খারাপ ব্যবহার, উগ্র ও বদমেজাজ দেখানো ছাড়া আর কিছুই করেন নি। তার উগ্র বদমেজাজের কারণে ২৭ ব্যাচের অফিসার কাউন্সিলর শাহনাজ রানু সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের (জাপানে এক সাথে কাজ করার সুবাদে পূর্ব পরিচিত) নিকট অনেক অনুনয়-বিনয় করে নির্ধারিত সময়ের এক বছর আগেই আবুধাবিতে পোস্টিং নিয়ে রক্ষা পান। আবিদা ইসলাম মেক্সিকোতে যোগদানের ৫ মাসের মাথায় নিজের পকেট থেকে ৫ লাখ টাকা খরচ করে শেখ মুজিবের আবক্ষমুর্তি দূতাবাসে স্থাপন করেন। ভাড়া করা অফিসে মূর্তি স্থাপনের কোন বাধ্যবাধকতা না থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র দলীয় আনুগত্যের কারণে তিনি এ কাজ করে নিজেকে মুজিবের ভক্ত হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেন।
এছাড়াও আগস্ট বিপ্লবের প্রথম সপ্তাহে শেখ মুজিবের আত্মজীবনীর উপর স্প্যানিশ ভাষায় অনুদিত বইটি তৃতীয় দফায় ১০ লাখ টাকা খরচ করে কয়েক হাজার বই ছাপান। সেগুলো নিয়ে তিনি বর্তমানে অনেক বিপাকে রয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, হাসিনা ক্ষমতা হারিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে তিনি এখনও শোক কাটিয়ে উঠতে পারেননি। ৫ আগস্টের পর থেকে অফিসেও অনিয়মিত। সপ্তাহে একদিন অফিস করেন। বাসা থেকেই সরকারি ফাইলপত্র স্বাক্ষর করেন।
জানা গেছে, আবিদা ইসলামকে লন্ডনে হাইকমিশনার হিসেবে নিয়োগের পক্ষে দূতিয়ালী করেছেন তারই ব্যাচমেট ব্রাসেলসে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মাহবুব হাসান সালেহ। যাকে ইতোমধ্যে ঢাকায় ফেরত আসার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। সালেহ ছাত্রজীবনে বুয়েট ছাত্রলীগের উপরের সারির নেতা ছিলেন। মাহবুব হাসান সালেহ উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সাথে কলকাতায় এক সাথে কাজ করার সুবাদে ব্যাপক সখ্যতা গড়ে তোলেন। এই সালেহ মূলত: উপদেষ্টাকে রাজি করিয়ে তার দীর্ঘদিনের ‘বান্ধবী’ আবিদার লন্ডনে হাইকমিশনার হিসেবে পোস্টিং নিশ্চিত করেন।
সূত্র জানায়, সালেহ দিল্লিতে কাজ করার সময় ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর সাথে বোঝাপড়ার সম্পর্ক গড়ে তুলেন। মন্ত্রণালয়ে সবাই সালেহকে র-এর এদেশীয় এজেন্ট হিসেবে জানে। পতিত হাসিনার লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার লক্ষ্যে এবং তারেক রহমানের বিরুদ্ধে লন্ডন সরকারের নিকট অবস্থান নেয়া নিশ্চিত করার জন্য মাহবুব সালেহ তার বান্ধবী আবিদাকে লন্ডনে পোস্টিং নিশ্চিত করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা মনে করেন, আবিদা ইসলামের লন্ডনে হাই কমিশনার হিসেবে নিয়োগ হবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা’র আন্দোলনের উপর চরম চপেটাঘাত। পরবর্তী রাজনৈতিক সরকারের ক্ষমতায় আসার বিষয়েও হাসিনার দোসর আবিদা বাধা হিসেবে কাজ করতে পারে।
Dhaka, Bangladesh বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 4:54 AM |
Sunrise | 6:12 AM |
Zuhr | 11:43 AM |
Asr | 2:51 PM |
Magrib | 5:13 PM |
Isha | 6:31 PM |