লড়াই করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো,আমাদের নেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনবো:কাফরুলে মির্জা ফখরুল
লড়াই করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো,আমাদের নেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনবো:কাফরুলে মির্জা ফখরুল
সম্মেলে যোগদানের আগে বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতা অসুস্থ এস এ খালেককে দেখতে তারা বাসায় যান বিএনপি মহাসচিব।
প্রকাশ: ৯ জুন, ২০২২ ২:৩৩ অপরাহ্ণ
বিডি দিনকাল ডেস্ক:- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা এর আগেও বাজেট নিয়ে কথা বলেছি, প্রতিক্রিয়া জানিয়েছি। এইবার কোন প্রতিক্রিয়া জানাতে চাই না। কারণ আমরা কোন বাজেটের প্রতিক্রিয়া দিবো না। এটা কার বাজেট? কারা এই বাজেট করছে? যারা আজকে বাজেট ঘোষণা করছে তারাতো জনগণের প্রতিনিধি নয়। বাজেট ঘোষণা করার কোন অধিকারতো তাদের নেই। সরকার বাজেট তৈরী করছেন নিজেদের লুটপাটের জন্য। ভবিষ্যতে কিভাবে আরো লুটপাট করতে তারা এই হিসাব করে। তাই এবারের বাজেট আমাদের কাছে কোন গুরুত্ব পায়নি।
বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির কাফরুল থানার ৪টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন । এর আগে সাবেক সাংসদ ও বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতা অসুস্থ এস এ খালেককে দেখতে তারা বাসায় যান বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা অত্যন্ত খারাপ সময় অতিবাহিত করছি। এটা শুধু বিএনপির জন্য নয়, গোটা জাতির জন্য একটি খারাপ সময় যাচ্ছে। এখন যারা জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে তারা দেশের মানুষের সকল অধিকারগুলো কেড়ে নিয়েছে। শুধু তাই নয়, তারা এই দেশটাকে একটা লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে।
তিনি বলেন, আপনাদের কাছে অনুরোধ করবো আমাদের এই দেশকে বাঁচাতে হবে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়ার রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। আমরা যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। আমরা কোন পরিবার, দল বা গোষ্ঠীর জন্য যুদ্ধ করিনি। আমরা এই দেশের মানুষের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছি। আমাদের দু:ভাগ্য আজকে স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে এসেও আমাদের কোন স্বাধীনতা নেই। আমাদের কথা বলার স্বাধীনতা নেই। আজকে দেখেন খালেক সাহেবের বাসায় এসে আপনাদের সম্মেলন করতে হয়েছে। কেন আজকে আমরা বড় একটা টাউন হলে প্রোগ্রাম করতে পারছি না। কারণ পুলিশ আমাদের প্রোগ্রাম করতে দিতে চায় না। সরকারী গুন্ডারা, আওয়ামী লীগের গুন্ডারা আমাদের প্রোগ্রামে বাধা দেয়। এটাতো হওয়ার কথা না। তাদের যে অধিকার, আমাদেরওতো সেই অধিকার রয়েছে। এই দেশটাতো সকলের। আওয়ামী লীগ যতোদিন ক্ষমতায় থাকবে দেশ ততোদিন ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
সরকারের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, সরকার উন্নয়ন উন্নয়ন বলে পাগল হয়ে যাচ্ছে। আরে উন্নয়নটা কোথায়? তারা অবকাঠামো বানাচ্ছে আর নিজের পকেট ভরছে। শতকরা ৪২ ভাগ লোক এখন দারিদ্র সীমার নিচে চলে গেছে। একটা মানুষ আজকে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা পায় না। বেশি টাকা না থাকলে মানুষ হাসপাতালে যেতে পারে না। আর সরকারী হাসপাতালে গেলেতো কোন চিকিৎসাই পাওয়া যায় না। আজকে শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। শিক্ষার অবস্থা এতোটাই নিচে নেমে গেছে যে, আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যায়, কলেজ থেকে যারা বের হয় তারা বাইরে কোথাও জায়গা পায় না। সাধারণ মানুষের জন্য এই সরকার কোন কাজ করে না।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের সারাদেশে সম্মেলন করে প্রতিনিধি নির্বাচন করার লক্ষ্য একটাই, এদেশে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা গণতান্ত্রিকভাবে সংগ্রাম করবো, লড়াই করবো। এই লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে আবার আমরা এই দেশটাকে স্বাধীন করবো। গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনবো, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো, আমাদের নেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনবো। আপনাদের একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, আজকে এই সংগ্রাম কোন ব্যক্তির জন্য নয়। এটা দেশকে রক্ষা করার জন্য। ১৯৭১ সালে আমরা যে সংগ্রাম করেছিলাম সেই একইভাবে এই দেশকে বাঁচানোর জন্য আমাদের আবার যুদ্ধ করতে হবে। এই যুদ্ধে আমাদের জয়লাভ করতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে আমাদের দলের নেতাকর্মীরা কোথাও সংগঠিত হতে গেলেই তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। গতকাল (বুধবার) ঢাকা বারে দুই জন উকিলকে গ্রেপ্তার করে তাদেরকে রিমান্ডে দিয়েছে। কোন জায়গায় আছি আমরা যে, একজন উকিলকেও রিমান্ডে নেয়া হয়। আজকে আমাদের কোন পথ নেই, কোন বিকল্প নেই, আমরা যদি বাঁচতে চাই, দেশকে বাঁচাতে চাই এর জন্য একটাই পথ আন্দোলন আর আন্দোলন।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন- ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আহবায়ক আমানউল্লাহ আমান, সদস্য সচিব আমিনুল হক, দারুসসালাম থানা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস এ সিদ্দিক সাজু প্রমূখ।
এস খালেকের শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেয়ার সময় বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে ছিলেন- ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আহবায়ক আমানউল্লাহ আমান, সদস্য সচিব আমিনুল হক, দলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, নির্বাহী কমিটি সদস্য সাঈদ সোহরাব, চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান প্রমূখ।