- প্রচ্ছদ
-
- ঢাকা
- শরীয়তপুরে ভূয়া দুদক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আ.লীগ নেতার মামলা
শরীয়তপুরে ভূয়া দুদক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আ.লীগ নেতার মামলা
প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১২:৫৭ অপরাহ্ণ
শরীয়তপুর প্রতিনিধি:শরীয়তপুরের সখিপুর থানা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও চরসেনসাস ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান জিতু মিয়া বেপারী বাদী হয়ে এম.এ ইদ্রিস খান নামে এক ভূয়া দুদক কর্মকর্তাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে শরীয়তপুর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। বরিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এ মামলা করেন তিনি।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, প্রতিপক্ষের ইন্দনে জিতু মিয়া বেপারীর ক্ষতি করার জন্য চাঁদপুরের মতলব উপজেলার সুজাত খানের ছেলে এম.এ ইদ্রিস খান এক ব্যক্তি দুদক কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ও শরীয়তপুর সদর উপজেলার উত্তর বালুচড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে এমএ ওয়াদুদ মিয়া নামে এক ব্যক্তি তাঁর মোবাইলে ফোন করে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এছাড়াও জিতু মিয়াকে ঢাকায় দুদুক কার্যালয়ে যেতে বলেন। সেখানে গিয়ে ওই নম্বরে কল করলে তাকে মগবাজার যেতে বলে। এসময় ইদ্রিস খান নিজেকে দুদুক কার্যালয়ের স্টাফ পরিচয় দিয়ে বলে, আপনার বিরুদ্ধে শত কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আছে। তবে আমি আপনাকে মুক্ত করতে পারি। যদি আমাকে ২০ লক্ষ টাকা দেন। এসময় তাকে আমার ভুয়া প্রমানিত হলে আমি তার পরিচয়পত্র দেখতে চাই। তখন সে বলে, আমি দুদকের লোক নই। আমি এনটিভি চ্যানেলের রিপোর্টার। আমি তখন সেই পরিচয়পত্র দেখতে চাইলে সে বলে পরিচয়পত্র সাথে নেই। আপনার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তথ্য তুলে ধরে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। পরে একটি পোর্টালে সংবাদ প্রকাশ করে। এঘটনায় স্থানীয় এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এঘটনায় বরিবার জিতু মিয়া বাদী হয়ে ৬ জনের নামে শরীয়তপুর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী জিতু মিয়া বেপারী বলেন, আমি চরসেন্সাস ইউনিয়নের প্রথম নির্বাচিত সহ দুই বারের চেয়ারম্যান। আমি দীর্ঘদিন যাবৎ জনগনের কল্যাণে কাজ করে চলছি। আমি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। আমার ঠিকাদারী ব্যবসা, ঘাটের ডাক, আড়ৎ, ইটের ভাটা সহ বিভিন্ন ব্যবসা রয়েছে। প্রতি বছর আমি রাজস্ব ও আয়কর প্রদান করে থাকি। সম্প্রতি আমার প্রতিপক্ষের ইন্দনে একটি কুচক্রীমহল আমার মানহানির লক্ষে আমাকে হয়রানি করছে। আমি এর বিচার চাই।
Please follow and like us:
20 20